
সরিষার বাম্পার ফলন কৃষক খুশি


শেরপুর প্রতিনিধি
ঝিনাইগাতীতে সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সরিষার মাঠে কিছুদিন আগেও যেখানে বাতাসে দুলছিল হলুদ ফুল। আর ফুল ফুলে মধু আহরণে ভিড় ছিল মৌমাছিদের। এখন ওই সরিষার মাঠে চলছে সরিষা মাড়াইয়ের ধুম। কৃষকরা জানান, এ বছর আবহাওয়া অনকুলে থাকায় ভালো ফলন হয়েছে । চাহিদা অনুযায়ী ফলনে খুশি তারা। বাজারে প্রতিমণ কাঁচা সরিষা ২ হাজার ৬শ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা ও শুকনা সরিষা ৩ হাজার ৫শ টাকা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে ঝিনাইগাতী উপজেলায় এক হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আর আবাদ হয়েছে এক হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৯০ হেক্টর বেশি। উপজেলা কৃষি বিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা জানান, সরকারিভাবে বিনামূল্যে সার, বীজসহ পর্যাপ্ত সহযোগিতার পাশাপাশি আমন ও বোরো ফসলের মাঝের সময়ে বাড়তি ফসল হিসেবে সরিষার আবাদ লাভজনক হওয়ায় এর আবাদ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া সরিষা আবাদে সেচ ও সার খরচ কম হওয়ায় এর আবাদও বেড়েছে । বালিয়াগাঁও গ্রামের কৃষক আবু হারেজ বলেন, এবারের বন্যায় আমার চাষ করা আমন ধান নষ্ট হয়েছিল।
পরে কৃষিপ্রণোদনা হিসেবে কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে সার, বীজ দেওয়ায় উৎসাহিত হয়ে সরিষার চাষ করেছিলাম। আমি সরিষা কাটাই-মাড়াই শেষ করেছি। ফলন ভালো পেয়েছি এবং বাজারে দামও ভালো পাচ্ছি।বন্দভাটপাড়া গ্রামের কৃষক মো. মাসুদ মিয়া বলেন, ‘আমি ৪০ শতাংশ জমিতে সরিষা চাষ করেছিলাম। এতে খরচ হয়েছিল মাত্র ৩ হাজার ৫শ টাকা। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষার ফলন ভালো হয়েছে। সরিষা কাটাই-মাড়াই শেষ করে বাজারে ২২ হাজার টাকার সরিষা বিক্রি করেছি। ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, এ উপজেলায় প্রায় দশ হাজার কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে এক কেজি করে সরিষা বীজ ও ২০ কেজি করে রাসায়নিক সার দেওয়া হয়। এছাড়া সরিষা চাষের পদ্ধতি বিষয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। ধানের তুলনায় সরিষা চাষ লাভজনক হওয়ায় চাষির সরিষা চাষে ঝুঁকছে এবং অনেকটা বিনা খরচে লাভের মুখ দেখছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ