ঢাকা , রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫ , ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
ছুটির দিনে নিউমার্কেটে উপচেপড়া ভিড় ১০ শতাংশের বেশি খেলাপি ঋণ থাকা ব্যাংক লভ্যাংশ দিতে পারবে না ঢিলেঢালার কারণে দুষ্কৃতকারীরা আসকারা পাচ্ছে- রিজভী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০ জন হাসপাতালে ভর্তি সাংবাদিকদের চাকরি ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান হাসনাত আবদুল্লাহর চালের পাশাপাশি বেড়েছে সবজির দাম ভূমিকম্পের উচ্চঝুঁকিতে ঢাকার ৫৬ শতাংশ ভবন স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে অন্তত দুই বছর লাগবে-মান্না বাজেটের মধ্যে মিলছে না পছন্দের পোশাক ধর্ষকের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিলো জনতা জনপ্রশাসনের কর্মচারীদের বেতন-ভাতায় প্রতি বছরই বাড়ছে ব্যয় অনলাইনে আধা ঘণ্টায় ২০ লাখ হিট ঈদযাত্রায় কঠোর নিরাপত্তা : যানজটের ১৫৯ স্পট চিহ্নিত বিপুলসংখ্যক কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়-জাতিসংঘ মহাসচিব সংক্ষিপ্ত সংস্কার হলে নির্বাচন ডিসেম্বরে, বৃহত্তর হলে আগামী জুনে : ড. ইউনূস নারী-শিশু নির্যাতন রোধে সহায়তা সেল গঠন বিএনপি’র আগামী ঈদ নিজ দেশে করবে রোহিঙ্গারা, প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিবের সরকার সংস্কার কমিশন করলেও নদীর ক্ষেত্রে প্রতিফলন নেই-আনু মুহাম্মদ

কৃষকের গলার কাঁটা আলু

  • আপলোড সময় : ১৪-০২-২০২৫ ০৮:০৭:২৫ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৪-০২-২০২৫ ০৮:০৯:৩৩ অপরাহ্ন
কৃষকের গলার কাঁটা আলু
কৃষকের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে তাদের উৎপাদিত আলু। এক কেজি আলুর উৎপাদন খরচ ১৪ থেকে ১৬ টাকা হলেও জমি থেকে তা ১০ থেকে ১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষকরা সাধারণত লোকসান থেকে বাঁচতে উৎপাদন মৌসুমে আলু না বেচে হিমাগারে রাখে। কিন্তু এবার সেখানেও বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এবার কেজিতে ১ টাকা বাড়িয়ে হিমাগার ভাড়া ৮ টাকা করা হয়েছে। তাতে কৃষককে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা বাড়তি গুনতে হবে। হিমাগার, কৃষক ও আলু ব্যবসায়ীদের সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, হিমাগার মালিকরা জোটবদ্ধ হয়ে প্রতি বছর ভাড়া বাড়াচ্ছে। এবারও বাড়িয়েছে। কৃষকরা যখন আলু বিক্রি করে তখন দাম থাকে না। কিন্তু যখন দাম বাড়ে, তখন মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভ করে। হিমাগারের এমন ভাড়া বৃদ্ধি কৃষকের পক্ষে আলু রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। অথচ সরকার সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে আলু কিনে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে পারে। তাতে একদিকে যেমন মধ্যস্বত্বভোগীদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে, অন্যদিকে সংকটও কমে আসবে। সূত্র জানায়, বর্তমানে দেশে চালু রয়েছে ৩৫০টি হিমাগার। ওসব হিমাগারে ৩০ লাখ টন (৩০০ কোটি কেজি) আলুর ধারণক্ষমতা রয়েছে। তাতে ৮ টাকা কেজি ভাড়া হলে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের মোট ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা দিতে হবে এমন পরিস্থিতিতে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা হিমাগারে আলু রাখতে অনীহা প্রকাশ করছে। তাছাড়া হিমাগার মালিকরা একতরফা ভাড়া বাড়ানো নিয়েও তাদের আপত্তি রয়েছে। দেশে বগুড়া ও জয়পুরহাট জেলায় ৫৫টি হিমাগার রয়েছে। সেগুলোর সম্মিলিত ধারণক্ষমতা প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার টন। ২০ ফেব্রুয়ারির পর থেকে আলু সংরক্ষণ শুরু হবে। মৌসুমে ১০-১২ দিনেই আলুতে ভরে যায় একটি হিমাগার। এতো অল্প সময়ে ২ লাখ টন আলু মাপা সম্ভব নয়। কিন্তু আস্তে আস্তে বের করা হয়। কোনো কোনো হিমাগার থেকে আলু বের হতে সময় লেগে যায় ছয় থেকে আট মাস। সেজন্য এবার হিমাগারের ভাড়া আলু বের করার সময় নেয়া হবে। অথচ গত বছরও আলু রাখার সময় ভাড়া নেয়া হয়েছে। সূত্র আরো জানায়, হিমাগারে আলু রাখার ভাড়া বাংলাদেশ কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন নির্ধারণ করে। সংগঠনটির পক্ষ থেকে শ্রমিক খরচ ও বিদ্যুৎ খরচ বেড়ে যাওয়ায় ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। আর সংরক্ষণ ভাড়া বাড়ার চাপ ভোক্তা পর্যায়েও পড়বে। সুযোগ বুঝে ব্যবসায়ীরা বাড়িয়ে দেবে আলুর দাম। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দিয়ে জেলায় জেলায় চিঠি পাঠিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, হিমাগারের বিপরীতে নেয়া ঋণের সুদ, বিদ্যুৎ খরচ, লোডিং-আনলোডিং ও পাল্টানোর খরচ, কর্মচারীদের বেতন, বোনাস, বীমা খরচ, গ্যাস বিল, মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ বিশ্লেষণ করে প্রতি কেজি আলুর সংরক্ষণ ব্যয় দাঁড়ায় ৯ টাকা ৬২ পয়সা। তারপরও ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে কেজিপ্রতি ৮ টাকা। গত বছর ব্যাংক সুদের হার ছিল ৯-১০ শতাংশ। এ বছর তা বেড়ে ১৬-১৭ শতাংশ হয়েছে। তবে বিদ্যুতের বিল অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিকে কৃষকদের দাবি, আগে কেজি হিসেবে নয়, বস্তা হিসেবে হিমাগারে আলু রাখা হতো। এবার বস্তা হিসেবে রাখতে দেয়া হচ্ছে না। আগে প্রতি বস্তার ভাড়া ছিল ৩২০-৩৫০ টাকা। আর এক বস্তায় ৭০ থেকে ৮০ কেজি পর্যন্ত আলু রাখা যেতো। এবার প্রতি বস্তায় ৫০ কেজির বেশি রাখা যাবে না। আর ভাড়া পড়বে ৮ টাকা হিসেবে ৪০০ টাকা। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু জানান, সব সময় বস্তাপ্রতি নয়, হিমাগারের ভাড়া কেজিতে নির্ধারিত ছিলো। সংরক্ষণশারীরা সেটা মানতেন না। তারা প্রতি বস্তায় ২০ থেকে ৩০ কেজি বাড়তি আলু রাখতেন। তাতে কৃষকের লাভ হলেও হিমাগার মালিকের লোকসান হতো। তবে আমরা কঠোর হয়েছি।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স