ঢাকা , সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫ , ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
​এনসিপির মনোনয়ন নিলেন ১ হাজার ৮৪ জন সাক্ষাৎকার গ্রহণ শুরু ​গডফাদার-সন্ত্রাসীরা এমপি হয়, এই ধারণা আমরা ভাঙবো-তাসনিম জারা ​গুমের মামলায় শেখ হাসিনার পক্ষে লড়বেন জেড আই খান পান্না ​সলিমুল্লাহ-ঢাবি ও জবি বন্ধ ঘোষণা ​ভূমিকম্প আতঙ্কে সারারাত ঘরের বাইরে নরসিংদীর মানুষ ​নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার শঙ্কা নেই-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ​রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ যেদিন নামাজের ইমাম সমাজের ইমাম হবেন সেইদিন সত্যিকারের মুক্তি মিলবে-জামায়াত আমির ক্ষমতায় গেলে ‘ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ’ গড়ার অঙ্গীকার তারেক রহমানের অস্থিরতা কাটছে না বিএনপিতে ক্লিনিক ছেড়ে পালিয়েছে চিকিৎসক ​ভুয়া বন্ধকদাতা সাজিয়ে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ ​৮০ পর্যবেক্ষক সংস্থার সঙ্গে ইসির সংলাপ কাল ​ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের ছবি-অপমানজনক মন্তব্য সরানোর নির্দেশ ​গণতন্ত্র থেকে সরে যাওয়ার সুযোগ নেই-আমীর খসরু ​খাল-জলাধার দখলকারী ভূমিদস্যুরাই এখন নেতা-রিজভী ​রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১০৪৫ মামলা ​মানিকগঞ্জে বাউলশিল্পীদের ধাওয়া দিয়ে পুকুরে ফেললো তৌহিদী জনতা ​যারা আল্লাহর ঘরের দায়িত্ব পালন করেন, তাদের অবস্থান অত্যন্ত সুদৃঢ়-ধর্ম উপদেষ্টা ​ভোলা লালমোহনের ১৩ জেলে পরিবারের আহাজারি
নীলফামারী

ঘুরে দাঁড়াচ্ছে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা

  • আপলোড সময় : ১৪-০২-২০২৫ ০৭:৫৪:৫৭ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৪-০২-২০২৫ ০৭:৫৪:৫৭ অপরাহ্ন
ঘুরে দাঁড়াচ্ছে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা
নীলফামারী প্রতিনিধি
জনবল সংকটে নুইয়ে পড়া সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। মারাত্মক জনবল সংকটেও উৎপাদনে কোন প্রকার ব্যাঘাত ঘটছে না। অথচ গত বছরের আগস্ট মাস পর্যন্ত দেশের এই বৃহৎ রেলওয়ে কারখানা ঢিমেতালে চলছিল। ছিলো না শ্রমিক কর্মচারীর মাঝে কোনো সমন্বয়। এমন অবস্থায় কোচ মেরামতের সংখ্যাও ক্রমশ নিচে নামতে থাকে। শক্ত ও নিষ্ঠাবান ব্যবস্থাপনার অভাবে ওই পরিস্থিতি বিরাজ করছিলো বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শ্রমিক কর্মচারী জানিয়েছে।
অচলায়তন অবস্থায় এই রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে দায়িত্ব পান মোস্তফা জাকির হাসান। তিনি গত বছরের ২ অক্টোবর কারখানায় যোগদান করেন। দায়িত্ব নেয়ার চার মাস নয় দিনের মধ্যেই তিনি শ্রমিক কর্মচারীদের কাজের প্রতি মনোযোগ ফেরাতে সক্ষম হয়েছেন। বর্তমানে পুরোদমে চলছে উৎপাদন। রুটিন কোচ মেরামত বাদেও আসছে ঈদ-উল ফিতরে বাড়তি যাত্রী পরিবহনে বাড়তি কোচ নির্মাণে নিয়েছেন উদ্যোগ। ঈদে ঘরমুখো প্রায় এক লাখ যাত্রী পরিবহন করতে ১২০টি কোচ মেরামতের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মঞ্জুরী পদের বিপরীতে বর্তমানে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় কর্মরত রয়েছে শতকরা মাত্র ২৩ ভাগ জনবল। তাও প্রতিমাসে অবসরের কারণে কমছে। ২ হাজার ৮শ জনবলের স্থানে এখন আছে সবেমাত্র ৭১০ জন। অথচ প্রতি মাসে ৪০ থেকে ৪৫টি যাত্রীবাহি কোচের আউটটার্ন না হলে যাত্রী পরিবহনে মারাত্মক সংকট সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতো। এমন পরিস্থিতি কাটিয়ে তুলতে গত বুধবার ২১০ জন অস্থায়ী দক্ষ শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হয়। তাও অন্যান্য সময়ের চেয়ে চাহিদার তুলনায় এ নিয়োগের সংখ্যা শতকরা ৪০ ভাগেরও কম। রাষ্ট্রের আর্থিক সংকটের কারণে অস্থায়ী জনবল নিয়োগেও কৃচ্ছতার আশ্রয় নেয়া হয়েছে বলে সংশিষ্ট দপ্তর সূত্রে খবর মিলেছে। অতিরিক্ত জনবল সংকট থাকার পরেও কোচ মেরামতের টার্গেট পূর্বের ন্যায় ধরে রাখার বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে চমকপ্রদ তথ্য বেরিয়ে আসে। আর তাহলো গত বছরের আগস্ট মাস পর্যন্ত এ কারখানায় ছিলো না কোনো চেইন অব কমান্ড। কে কখন কর্মস্থলে আসছে আর যাচ্ছে তার কোনো ছিলো না জবাবদিহিতা। ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে জড়িত শ্রমিক কর্মচারী-দের বেশির ভাগেরই ছিলো কাজে ফাঁকি দেয়ার মানসিকতা। হর হামেশাই চুরি হতো কারখানার লোহা।
অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ছিলো না আইনের প্রয়োগ। ফলে কারখানায় কাজের গতি ছিলো বলতে গেলে অনেক মন্থর। এ অবস্থা থেকে উতরাতে সরকারের নীতি নির্ধারক মহল বিগত বছরের ২ অক্টোবর কারখানার ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব দেন প্রকৌশলী মোস্তফা জাকির হাসানকে। তিনি দায়িত্ব নেয়ার পরেই বেহাল অবস্থা থেকে কারখানাকে রক্ষা করতে কর্ম পরিকল্পনা ঠিক করেন। শক্ত হাতে বন্ধ করেন কাজে ফাঁকি দেয়া। জোরদার করেন নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যথোপযুক্তভাবে ব্যবহার শুরু করেন কাঁচামাে লর। যার কারণে উৎপাদনে নেই ঘাটতি।
বন্ধ হয়ে গেছে কাজে ফাঁকি। স্ক্রাপ লোহাও আর চুরি হচ্ছে না। সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানাকে গতিশীল করবার ক্যারিশমা সম্পর্কে জানতে কথা হয় বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (কারখানা) মোস্তফা জাকির হাসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, এটি রাষ্ট্রীয় সম্পদ। এর মালিক এদেশের মানুষ। তাই এই সম্পদকে বিকশিত করা আমার নৈতিক দায়িত্ব। এই কারখানায় দায়িত্ব পালনে কেউ ফাঁকির আশ্রয় নিবে তা বরদাস্ত করা হবে না। কারখানার কোনো সম্পদের অপচয় হতে দেয়া যাবে না। শ্রমিক কর্মচারীদের ৮ ঘন্টা দাযিত্ব পালন করতে হবে।
এমনকি কোনো কর্মকর্তাও কর্মঘন্টা অপচয় করার সুযোগ পাবেন না। এছাড়াও রেলওয়ে কারখানা থেকে কোনো প্রকার মালামাল চুরি গেলে নিরাপত্তা বাহিনীকে করতে হবে জবাবদিহি। তিনি আরো বলেন, জনগণের এই সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারের নিশ্চয়তা সৃষ্টি করাই আমার লক্ষ্য। তার মতে সময়, সুযোগ ও শ্রমিক কর্মচারী, কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা পেলে রেলওয়ের এই কোচ মেরামত কারখানায় আগামী দিনে যাতে নতুন কোচ নির্মাণ করা যেতে পারে সেই লক্ষ্যকে ঘিরেই এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় আমার।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য

সর্বশেষ সংবাদ