ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫ , ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সরকারি চাকরি আইন বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভে কর্মচারীরা ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড ৬ জনের যাবজ্জীবন বহাল কালো টাকা সাদা করার বিধান সংস্কারের সম্পূর্ণ বিপরীত-টিআইবি দূরত্ব ঘুচিয়ে চমৎকার জুলাই সনদ তৈরির প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার সারাদেশে একযোগে ২৫২ বিচারককে বদলি টেকসই অর্থনীতির বাজেট এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বঞ্চনার গল্প যেন অরণ্যেরোদন চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলে ৩ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিলেন কর্মচারীরা রাষ্ট্র সংস্কারে উপেক্ষিত নারী তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু-আইন উপদেষ্টা শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি প্রথমবারের মতো বিটিভির স্টুডিও থেকে হচ্ছে বাজেট ঘোষণা ঘাটতি কমানোর লক্ষ্য নিয়ে নতুন বাজেট আজ দুধ শুধু পণ্য নয় এটি সংস্কৃতির অংশÑ মৎস্য উপদেষ্টা রাঙামাটিতে টানা বৃষ্টি পাহাড় ধসের ঝুঁকি সিলেটে টিলা ধসে একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু বিজিএমইএ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে ‘ফোরাম’ প্যানেল বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে লাশ নিয়ে গেছে বিএসএফ জাপা চেয়ারম্যানসহ ২৮০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার মামলা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৮০০ কোটি টাকা চায় ইসি

  • আপলোড সময় : ১৩-০২-২০২৫ ০৫:৩৪:০৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৩-০২-২০২৫ ০৫:৩৪:০৩ অপরাহ্ন
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৮০০ কোটি টাকা চায় ইসি
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচনের জন্য পাঁচ হাজার ৯২১ কোটি টাকা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে প্রায় দুই হাজার ৮০০ কোটি টাকা জাতীয় নির্বাচনে ব্যয় হতে পারে বলে জানিয়েছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ। নির্বাচন কমিশনের তিন অর্থবছরের মধ্যমেয়াদি বাজেট প্রাক্কলনের কার্যবিবরণী থেকে ইসির চাহিদাপত্র পাওয়া গেছে। ইসির কর্মকর্তারা জানান, ‘নির্বাচন’ খাতে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের সাধারন নির্বাচন ও স্থানীয় সরকারের অন্যান্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পাঁচ হাজার ৯২১ কোটি ৭২ লাখ ৬০ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ঘাটতি আছে পাঁচ হাজার ৮৫৩ কোটি টাকা। এছাড়া ২০২৬-২৭ অর্থবছরের জন্য দুই হাজার ৮২৯ কোটি ৪৫ লাখ ৯৭ হাজার টাকা এবং ২০২৭-২৮ অর্থবছরে ৭২৪ কোটি তিন লাখ ৩৭ হাজার টাকা। ইসির অতিক্তি সচিব জানান, ২৮০০ কোটি টাকা সংসদ নির্বাচনের জন্য চাহিদা দিলেও তা কমে আসতে পারে। সবকিছু ভোটের সময়কার পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। ইসি সচিবালয়ের সঙ্গে বৈঠকের পরই সম্ভাব্য ব্যয়ের সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যাবে। ২০২৪ সালের গত সাত জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় দুই হাজার ২৭৬ কোটি ২২ লাখ টাকা। এর মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চাহিদা অনুযায়ী সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয় এক হাজার ২২৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা। নির্বাচন পরিচালনা খাতে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয় এক হাজার ৫০ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ২০১৮ সালে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা ও নির্বাচন পরিচালনার জন্য মোট ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। পরে তা আরও বেড়ে যায়। ২০১৪ সালের পাঁচ জানুয়ারির ভোটে মোট ব্যয়ের পরিমাণ ছিল প্রায় ২৬৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে নির্বাচন পরিচালনায় ৮১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পেছনে ব্যয় হয় ১৮৩ কোটি টাকা। এ নির্বাচনে ১৪৭ আসনে ভোট হয়, ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন একক প্রার্থীরা। অর্ধেক এলাকায় বরাদ্দের তুলনায় খরচ অনেক কমে আসে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের ভোটে ১৬৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়, যাতে ভোটার ছিল ৮ কোটি ১০ লাখের বেশি। উপকরণ ও ব্যবস্থাপনাসহ সব খাতে ব্যয় বাড়ার কারণে ধীরে ধীরে নির্বাচনী বরাদ্দও বাড়ে। অষ্টম সংসদ নির্বাচনে মোট ব্যয় হয় ৭২ কোটি ৭১ লাখ টাকা। সপ্তম সংসদ নির্বাচনে পরিচালনা বাবদ ব্যয় ১১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। ষষ্ঠ জাতীয় নির্বাচন: মোট ৩৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়। পঞ্চম সংসদ নির্বাচন: পরিচালনা ও আইনশৃঙ্খলা খাতে ব্যয় হয় ২৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। চতুর্থ সংসদ নির্বাচন: পাঁচ কোটি ১৫ লাখ টাকা। তৃতীয় সংসদ নির্বাচন: পাঁচ কোটি ১৬ লাখ টাকা। দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচন: ব্যয় হয় দুই কোটি ৫২ লাখ টাকা। প্রথম সংসদ নির্বাচন: ১৯৭৩ সালের সাত মার্চ তিন কোটি ৫২ লাখ পাঁচ হাজার ৬৪২ জন ভোটারের এ নির্বাচনে ব্যয় ছিল ৮১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স