ঢাকা , রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫ , ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
ছুটির দিনে নিউমার্কেটে উপচেপড়া ভিড় ১০ শতাংশের বেশি খেলাপি ঋণ থাকা ব্যাংক লভ্যাংশ দিতে পারবে না ঢিলেঢালার কারণে দুষ্কৃতকারীরা আসকারা পাচ্ছে- রিজভী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০ জন হাসপাতালে ভর্তি সাংবাদিকদের চাকরি ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান হাসনাত আবদুল্লাহর চালের পাশাপাশি বেড়েছে সবজির দাম ভূমিকম্পের উচ্চঝুঁকিতে ঢাকার ৫৬ শতাংশ ভবন স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে অন্তত দুই বছর লাগবে-মান্না বাজেটের মধ্যে মিলছে না পছন্দের পোশাক ধর্ষকের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিলো জনতা জনপ্রশাসনের কর্মচারীদের বেতন-ভাতায় প্রতি বছরই বাড়ছে ব্যয় অনলাইনে আধা ঘণ্টায় ২০ লাখ হিট ঈদযাত্রায় কঠোর নিরাপত্তা : যানজটের ১৫৯ স্পট চিহ্নিত বিপুলসংখ্যক কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়-জাতিসংঘ মহাসচিব সংক্ষিপ্ত সংস্কার হলে নির্বাচন ডিসেম্বরে, বৃহত্তর হলে আগামী জুনে : ড. ইউনূস নারী-শিশু নির্যাতন রোধে সহায়তা সেল গঠন বিএনপি’র আগামী ঈদ নিজ দেশে করবে রোহিঙ্গারা, প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিবের সরকার সংস্কার কমিশন করলেও নদীর ক্ষেত্রে প্রতিফলন নেই-আনু মুহাম্মদ

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৮০০ কোটি টাকা চায় ইসি

  • আপলোড সময় : ১৩-০২-২০২৫ ০৫:৩৪:০৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৩-০২-২০২৫ ০৫:৩৪:০৩ অপরাহ্ন
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৮০০ কোটি টাকা চায় ইসি
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচনের জন্য পাঁচ হাজার ৯২১ কোটি টাকা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে প্রায় দুই হাজার ৮০০ কোটি টাকা জাতীয় নির্বাচনে ব্যয় হতে পারে বলে জানিয়েছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ। নির্বাচন কমিশনের তিন অর্থবছরের মধ্যমেয়াদি বাজেট প্রাক্কলনের কার্যবিবরণী থেকে ইসির চাহিদাপত্র পাওয়া গেছে। ইসির কর্মকর্তারা জানান, ‘নির্বাচন’ খাতে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের সাধারন নির্বাচন ও স্থানীয় সরকারের অন্যান্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পাঁচ হাজার ৯২১ কোটি ৭২ লাখ ৬০ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ঘাটতি আছে পাঁচ হাজার ৮৫৩ কোটি টাকা। এছাড়া ২০২৬-২৭ অর্থবছরের জন্য দুই হাজার ৮২৯ কোটি ৪৫ লাখ ৯৭ হাজার টাকা এবং ২০২৭-২৮ অর্থবছরে ৭২৪ কোটি তিন লাখ ৩৭ হাজার টাকা। ইসির অতিক্তি সচিব জানান, ২৮০০ কোটি টাকা সংসদ নির্বাচনের জন্য চাহিদা দিলেও তা কমে আসতে পারে। সবকিছু ভোটের সময়কার পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। ইসি সচিবালয়ের সঙ্গে বৈঠকের পরই সম্ভাব্য ব্যয়ের সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যাবে। ২০২৪ সালের গত সাত জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় দুই হাজার ২৭৬ কোটি ২২ লাখ টাকা। এর মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চাহিদা অনুযায়ী সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয় এক হাজার ২২৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা। নির্বাচন পরিচালনা খাতে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয় এক হাজার ৫০ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ২০১৮ সালে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা ও নির্বাচন পরিচালনার জন্য মোট ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। পরে তা আরও বেড়ে যায়। ২০১৪ সালের পাঁচ জানুয়ারির ভোটে মোট ব্যয়ের পরিমাণ ছিল প্রায় ২৬৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে নির্বাচন পরিচালনায় ৮১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পেছনে ব্যয় হয় ১৮৩ কোটি টাকা। এ নির্বাচনে ১৪৭ আসনে ভোট হয়, ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন একক প্রার্থীরা। অর্ধেক এলাকায় বরাদ্দের তুলনায় খরচ অনেক কমে আসে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের ভোটে ১৬৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়, যাতে ভোটার ছিল ৮ কোটি ১০ লাখের বেশি। উপকরণ ও ব্যবস্থাপনাসহ সব খাতে ব্যয় বাড়ার কারণে ধীরে ধীরে নির্বাচনী বরাদ্দও বাড়ে। অষ্টম সংসদ নির্বাচনে মোট ব্যয় হয় ৭২ কোটি ৭১ লাখ টাকা। সপ্তম সংসদ নির্বাচনে পরিচালনা বাবদ ব্যয় ১১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। ষষ্ঠ জাতীয় নির্বাচন: মোট ৩৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়। পঞ্চম সংসদ নির্বাচন: পরিচালনা ও আইনশৃঙ্খলা খাতে ব্যয় হয় ২৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। চতুর্থ সংসদ নির্বাচন: পাঁচ কোটি ১৫ লাখ টাকা। তৃতীয় সংসদ নির্বাচন: পাঁচ কোটি ১৬ লাখ টাকা। দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচন: ব্যয় হয় দুই কোটি ৫২ লাখ টাকা। প্রথম সংসদ নির্বাচন: ১৯৭৩ সালের সাত মার্চ তিন কোটি ৫২ লাখ পাঁচ হাজার ৬৪২ জন ভোটারের এ নির্বাচনে ব্যয় ছিল ৮১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স