ঢাকা , বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫ , ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
রোহিঙ্গাদের সাথে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিব জনগণের সমস্যা সমাধানে রাজনীতিবিদদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে দেশে এখন যুদ্ধ পরিস্থিতি চলছে-তথ্য উপদেষ্টা সর্বনিম্ন ফিতরা ১১০ সর্বোচ্চ ২ হাজার ৮০৫ টাকা চলতি বছরের মধ্যে পাচারকৃত অর্থের কিছু অংশ ফিরিয়ে আনা সম্ভব-অর্থ উপদেষ্টা পদযাত্রায় সংঘর্ষে শিক্ষার্থী-পুলিশ আহত ধর্ষকের শাস্তি জনসম্মুখে করাসহ ৬ দাবি ঈদের পর এনসিপির চূড়ান্ত রাজনৈতিক এজেন্ডা শ্রমিকদের ওপর হামলার বিচার ও বেতনের দাবি ঝিমিয়ে পড়েছে বিদেশী বাজেট সহায়তার প্রতিশ্রুত অর্থছাড় প্রক্রিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোচিং ক্লাস-প্রাইভেট পড়ানো যাবে না ন্যায়বিচার-মানবাধিকার নিশ্চিতের আহ্বান চার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার প্রবাসীদের জন্য ‘প্রক্সি ভোট’ নিয়ে ভাবছে ইসি শেখ পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ট্রেনের যাত্রী জিম্মি উদ্ধারে গিয়ে ২০ সেনা নিহত ট্রেনে জঙ্গি হামলা জিম্মি ৫শ’ যাত্রী পল্লবী থানায় ঢুকে হামলা ওসিসহ আহত ৩ রাখাল রাহার ৪শ’ কোটি টাকা বাণিজ্যের তথ্য ভুয়া ব্যবসায়ী হত্যায় ৪ জনের যাবজ্জীবন ডিএফপি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির নতুন কমিটি
নিয়োগ বাতিল হওয়া নারীসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক আহত

প্রাথমিক শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ

  • আপলোড সময় : ০৮-০২-২০২৫ ০৪:১০:১০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৮-০২-২০২৫ ০৪:১০:১০ অপরাহ্ন
প্রাথমিক শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ
* নিয়োগ বাতিলের রায়ে আদালতে শিক্ষকদের বিক্ষোভ-কান্না


উচ্চ আদালতের রায়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বাতিল হওয়া প্রার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে তাদের ওপর জলকামান থেকে পানি ছিটিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।
গতকাল শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে এ ঘটনা ঘটে। এতে নারীসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এর আগে সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হয়ে সমাবেশ করেন নিয়োগ বাতিল হওয়া প্রার্থীরা। পরে তারা এক মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে চলে আসেন। এসময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে তারা পুলিশের বাধা ডিঙিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। তখন পুলিশের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ ও জলকামান ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
নিয়োগ বাতিলের রায়ে আদালতে শিক্ষকদের বিক্ষোভ-কান্না: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগের কার্যক্রম বাতিল করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই সংক্রান্ত রায় ঘোষণার পরপরই আদালতে উপস্থিত চাকরিপ্রার্থীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এসময় তারা হাইকোর্টের এজলাস কক্ষের সামনের বারান্দায় হইচই ও হট্টগোল করেন। এরপর চাকরিপ্রার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে। এর আগে জারি করা এ সংক্রান্ত রুল যথাযথ ঘোষণা (অ্যাবসোলুট) করে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন।
হাইকোর্ট তার রায়ে আপিল বিভাগের কোট সংক্রান্ত সর্বশেষ রায় অনুসরণ করে নতুন করে ফলাফল প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আখতার হোসেন মো. আবদুল ওয়াহাব।
এদিকে, বৃহস্পতিবার আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণরা। রায়ের পর সংশ্লিষ্ট হাইকোর্ট বেঞ্চের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন তারা। এসময় হাইকোর্টের দরজার সামনে থাকা পুলিশকে সরিয়ে আদালতের এজলাস কক্ষে ঢোকার চেষ্টা করেন তারা। এক পর্যায়ে, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল বিক্ষোভকারীদের শান্ত থাকতে এবং আদালতের সামনে বিক্ষোভ না করার অনুরোধ করে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। এর মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে নিয়োজিত অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা এসে ২৪ নম্বর এনেক্স ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেন। পরবর্তীতে তারা সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ ছাড়েন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা অনুসরণের অভিযোগে উত্তীর্ণদের ফলাফল প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগ বঞ্চিত ৩০ প্রার্থী হাইকোর্টে রিট করেন। সে রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। আদালত তার আদেশে এই নিয়োগ কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন। আর রুলে ৩১ অক্টোবর ফলাফল প্রকাশের বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগ বিষয়ে ১১ নভেম্বরের নির্দেশনা সংবলিত স্মারক কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায় দেন হাইকোর্ট।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত ২৩ জুলাই কোটাপদ্ধতি সংশোধনের পর প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবরের জারি করা পরিপত্রসহ আগের এ-সংক্রান্ত সব পরিপত্র বা প্রজ্ঞাপন বা আদেশ রহিত করা হলো। ফলে আগের কোনো আদেশ বহাল থাকছে না। তবে রিটকারী পক্ষের আইনজীবী বলেন এই ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নির্বাচন করে নিয়োগের ক্ষেত্রে আগের সেই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুসরণ করা হয়। যেখানে নারী কোটা ৬০ শতাংশ, পোষ্য কোটা ২০ শতাংশ, ৪ শতাংশ অন্যান্য কোটা ছিল। তাই এই ফলাফল ও নিয়োগের বিষয় চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স