ঢাকা , বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫ , ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
রোহিঙ্গাদের সাথে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিব জনগণের সমস্যা সমাধানে রাজনীতিবিদদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে দেশে এখন যুদ্ধ পরিস্থিতি চলছে-তথ্য উপদেষ্টা সর্বনিম্ন ফিতরা ১১০ সর্বোচ্চ ২ হাজার ৮০৫ টাকা চলতি বছরের মধ্যে পাচারকৃত অর্থের কিছু অংশ ফিরিয়ে আনা সম্ভব-অর্থ উপদেষ্টা পদযাত্রায় সংঘর্ষে শিক্ষার্থী-পুলিশ আহত ধর্ষকের শাস্তি জনসম্মুখে করাসহ ৬ দাবি ঈদের পর এনসিপির চূড়ান্ত রাজনৈতিক এজেন্ডা শ্রমিকদের ওপর হামলার বিচার ও বেতনের দাবি ঝিমিয়ে পড়েছে বিদেশী বাজেট সহায়তার প্রতিশ্রুত অর্থছাড় প্রক্রিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোচিং ক্লাস-প্রাইভেট পড়ানো যাবে না ন্যায়বিচার-মানবাধিকার নিশ্চিতের আহ্বান চার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার প্রবাসীদের জন্য ‘প্রক্সি ভোট’ নিয়ে ভাবছে ইসি শেখ পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ট্রেনের যাত্রী জিম্মি উদ্ধারে গিয়ে ২০ সেনা নিহত ট্রেনে জঙ্গি হামলা জিম্মি ৫শ’ যাত্রী পল্লবী থানায় ঢুকে হামলা ওসিসহ আহত ৩ রাখাল রাহার ৪শ’ কোটি টাকা বাণিজ্যের তথ্য ভুয়া ব্যবসায়ী হত্যায় ৪ জনের যাবজ্জীবন ডিএফপি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির নতুন কমিটি
আর কোথায় কী হলো

সাভারে আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে হামলার সময় এলাকাবাসীর ধাওয়া

  • আপলোড সময় : ০৭-০২-২০২৫ ০৭:০৭:৩১ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৭-০২-২০২৫ ০৭:০৭:৩১ অপরাহ্ন
সাভারে আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে হামলার সময় এলাকাবাসীর ধাওয়া
ঢাকার সাভার উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে হামলার সময় প্রতিরোধ করেছে এলাকাবাসী। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজীব ও যুগ্ম সম্পাদক ফখরুল আলম সমরের পৈতিক বাড়ি রাজ মঞ্জিল ভাঙচুর করতে আসে বিক্ষুব্ধ জনতা। রাজীব ও সমর এই বাড়িতে বাস করলেও গত ৫ আগস্টের পর থেকে তারা পলাতক। 
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষুব্ধ জনতা বিকেলে সাভারের পাকিজা মোড়ে জড়ো হন এবং সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাজ মঞ্জিলের সামনে আসেন। তারা হ্যান্ডমাইকে ঘোষণা দেন, দেশ থেকে সব স্বৈরাচারকে বের করে দেওয়া হবে, স্বৈরাচারের আস্তানা ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হবে, শহীদদের অবদান বৃথা হতে দেওয়া হবে না।
এরপর তারা রাজ মঞ্জিলের প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে জানলার কাঁচ ভাঙচুর করেন। ভবনের বাইরের একটি অংশে আগুন দিতে গেলে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা তাদের বাধা দেন। বিক্ষুব্ধ জনতা বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লে শতাধিক এলাকাবাসী তাদের ধাওয়া দেন এবং কয়েকজনকে ধরে পিটুনি দেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, তারা (রাজীব-সমর) তো বাড়িতে নেই, তাহলে ভাংচুর কেন করতে হবে! এখানে আগুন দিলে আশেপাশের বাড়ি-ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়বে।
প্রথমে আমরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কথা না শোনায় আমরা ধাওয়া দিয়ে তাদের সরিয়ে দিয়েছি। আবারও কেউ এমন কাজ করতে এলে প্রতিহত করবে, যোগ করেন তিনি।
আনোয়ার আরও বলেন, রাজীব-সমরের নামে মামলা আছে, দেশের আইনে তাদের বিচার হবে।
আরেক বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, ওরা (ভাঙচুরকারী) আজকে এই বাড়িতে আগুন দিতে আসছে। এখানে আগুন দিলে এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়বে। আমরা এটা হতে দিতে পারি না।
বিক্ষুব্ধ জনতার ভিড়ে ছিলেন মাহিদ হাসান রাফসান। তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে রাজীবের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিলাম। এর মধ্যে রাজীবের আত্মীয়-স্বজন ও পেটোয়া বাহিনীর একটি অংশ নিজেরা পরিস্থিতি ঘোলাটে করে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমাদের দুই-তিনজন আহত হয়েছেন।'
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল দ্বিতীয়বারের মতো ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কলেজের দক্ষিণ ক্যাম্পাস এলাকায় স্থাপিত ম্যুরালটি হাতুড়ি-শাবল দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়। এর আগে গত ৫ আগস্ট ম্যুরালটি ভাঙচুর করা হয়েছিল।
শিক্ষার্থী বাইজিদুর রহমান সিয়াম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মুজিববাদী কোনো স্থাপনার ঠাঁই হবে না। যত জায়গায় এসব ম্যুরাল রয়েছে বা মুজিববাদের চিহ্ন রয়েছে, সবগুলো একে একে উচ্ছেদ করা হবে। আমাদের এই উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। আমরা রাজপথে আছি এবং থাকবো।'
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় বিন্নাটি মোড় এলাকায় কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কে অবস্থিত শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমেদ, মো. মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামান এবং সাত বীরশ্রেষ্ঠদের ম্যুরাল এস্কাভেটর দিয়ে ভেঙে ফেলে বিক্ষুব্ধ জনতা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুরু হয় ভাঙচুর। প্রত্যক্ষদর্শী কামাল উদ্দিন বলেন, কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়ক ও কিশোরগঞ্জ-পাকুন্দিয়া সড়কের চাররাস্তা মোড়ের ব্যস্ততম জায়গায় ভাঙচুরের কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়।
এর আগে বুধবার রাতে বিক্ষুব্ধ জনতা শহরের স্টেশন রোডে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আগুন দেয় এবং পাবলিক টয়লেট ঘোষণা করে। এছাড়া শহরের খরমপট্টি এলাকায় শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয়।
জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রাতে মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ে শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভাঙচুর এবং আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা শুনেছি। তবে বিন্নাটি মোড়ে ম্যুরাল ভাঙচুরের কথা শুনিনি।'
এদিকে বাজিতপুর উপজেলায় সাবেক চার রাষ্ট্রপতির ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বিক্ষুব্ধ জনতা ম্যুরাল ভাঙচুর করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মো. জিল্লুর রহমান ও মো. আবদুল হামিদের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায়। বাজিতপুর বাজারে সিনেমা হল মোড়ে ওই তিন নেতার পাশাপাশি শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল নির্মাণ করা হয়। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কয়েক শ মানুষ ম্যুরালের সামনে অবস্থান নিয়ে ভাঙচুর করতে শুরু করেন। দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে ভাঙচুর।
বাজিতপুর-নিকলী উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে টানা চারবার সংসদ সদস্য ছিলেন মো. আফজাল হোসেন। তিনি বাজিতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। ম্যুরালের পাশেই তার মালিকানাধীন একটি মার্কেট রয়েছে। এর আগে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর এই মার্কেটে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট হয়।
গতকাল ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করেন, আবারও এই মার্কেটে হামলা হতে পারে।
ব্যবসায়ী টিটু মিয়া বলেন, এই মার্কেটে আফজাল হোসেনের রাজনৈতিক কার্যালয় ছিল। হামলা হতে পারে ভেবে আমরা দোকান থেকে পণ্য অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছি।'
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের দাদা খান সাহেব ওসমান আলীর মালিকানাধীন এ ভবনটিতে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন একাধিক সভা অনুষ্ঠিত হয়?
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে শহরের মিশনপাড়া এলাকা থেকে মহানগর বিএনপির একটি মিছিল বের হয়?
মিছিলে নেতৃত্ব দেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু?
মিছিলটি শহরের চাষাঢ়ায় বায়তুল আমানের সামনে এসে পৌঁছালে শুরুতে একটি হাতুড়ি দিয়ে ভবনটির দেয়াল ভাঙা শুরু হয়? পরে একটি এক্সাভেটর দিয়ে ভবনটি ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়? ভবনটির ভেতরের একটি অংশে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স