ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫ , ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
অবশেষে মামলা নিয়ে মুখ খুললেন যশ দয়াল ফাঁস হলো আর্জেন্টিনার ২০২৬ বিশ্বকাপের জার্সি! ফ্লুমিনেন্সকে কাঁদিয়ে ফাইনালে চেলসি ইনজুরিতে টি-টোয়েন্টি দল থেকে ছিটকে গেলেন হাসারাঙ্গা টিভি স্বত্ব বিক্রি করতে পারছে না বিসিবি টি-টোয়েন্টিতে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশায় আজ মাঠে নামবে টাইগাররা বৈষম্য নিরসনে ৮ দফা বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর অব্যাহতি বেআইনি চুন্নু এখনো মহাসচিব-আনিসুল নওগাঁর পোরশায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে ইউপি মেম্বার মৃত্যু ৬ দাবিতে সিলেটে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলসহ কয়েকটি সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার রায় প্রকাশ রাজধানীতে মহা-শোডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াত পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল ডিপোতে সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট ১১৯ বার পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন সাংবাদিক দম্পতি শাকিল-রুপার গ্রেফতারের বিষয়ে জাতিসংঘকে ব্যাখ্যা দিল সরকার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ৩ মৃত্যু ৪২৫ হাসপাতালে ভর্তি দুই শতাধিক এনবিআর কর্মকর্তার ক্ষমা প্রার্থনা শৃঙ্খলায় ফেরার ইঙ্গিত ৩ দাবিতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কাজ করছে সরকার-উপদেষ্টা

এই প্রজন্মের প্রতি কৃতজ্ঞতা আদায় করা প্রয়োজন-জামায়াতের আমির

  • আপলোড সময় : ০৬-০২-২০২৫ ০২:৪৮:৫৯ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৬-০২-২০২৫ ০২:৪৮:৫৯ অপরাহ্ন
এই প্রজন্মের প্রতি কৃতজ্ঞতা আদায় করা প্রয়োজন-জামায়াতের আমির
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, একটা দায়িত্বশীল দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর কিছু করণীয় আছে বলে আমরা মনে করি। ২৪ এর আন্দোলনে আমরাও শহীদ ছিলাম। আন্দোলনের মাধ্যমে পুরো জাতি যেমন মুক্তি পেয়েছে, তেমনই সবচেয়ে নির্যাতিত রাজনৈতিক দলটিও একইভাবে মুক্তি পেয়েছে। সুতরাং, এই প্রজন্মের প্রতি কৃতজ্ঞতা আদায় করা প্রয়োজন। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ‘জুলাই ২০২৪ বিপ্লবের শহীদ স্মারকের’ মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জামায়াতের আমির বলেন, আমরা শহীদ পরিবারগুলোর কাছে গিয়েছি, তাদের প্রতি সম্মান দিতে ও তাদের থেকে দোয়া নিতে। কারণ তারা সৌভাগ্যবান, তাদের পরিবার দেশের জন্য জীবন দিয়েছে। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, কিছু ইতিহাস মানুষের জন্য হয় আনন্দের, কিছু হয় বিষাদের, আর কিছু হয় গৌরবের। বিশেষত যারা দেশের জন্য জীবন দেন, অতীতেও দিয়েছেন ৪৭ সালে, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন ও ৭১ সালে এবং সর্বশেষ ২৪ এর জুলাইয়ে। তাদের ইতিহাসটা গৌরবের। তিনি বলেন, আজ যে গণমাধ্যমগুলো এখানে এসেছে, তারাও কিন্তু ফ্যাসিবাদের থাবা থেকে মুক্ত ছিলেন না। সেসময় তাদেরকেও জীবন দিতে হয়েছে, রিমান্ডের নামে নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে। বিদেশে বসে যারা বাক এবং কলমযুদ্ধ চালিয়েছিলেন, দেশের মাটিতে তাদের পরিবারকে হেনস্থা করা হয়েছে, জেলে পুরে দেওয়া হয়েছে। এমনকি নারীদেরকেও ছাড় দেওয়া হয়নি। তাদের রুচি যে কত নিম্নস্তরের ছিল, এসব কর্মকাণ্ড থেকেই তা বোঝা যায়। যারা নিজেদের জীবনটা বিলিয়ে দিয়ে আমাদের আজকের এই পরিবেশটি উপহার দিলেন, তাদের প্রতি আমি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। জামায়াতের আমির বলেন, দেশ আমাদের সবার। কিন্তু দিন শেষে দেশের পাহারাদারিত্ব করা কিন্তু সব নাগরিকের কর্ম নয়। এই কাজ কিছু লোক করে। আবার কিছু লোক নাগরিকদের শান্তি কেড়ে নেওয়ার মতো অপকর্মে লিপ্ত হয়। আর অপকর্মটি যারা করে, তারা এটিকে তাদের পেশা মনে করেই করে। একটা সময় তা নিজের অধিকার বলেই মনে করে, আর জনগণকে নিজের প্রজা মনে করে, আর নিজেরা রাজা হয়ে বসে। কিন্তু গাছের ডালে যখন ঝাঁকুনি দেওয়া হয়, ডালের রাজারা তখন উড়ে গিয়ে পড়ে যায়। তিনি বলেন, আমরা এখনও পরিপূর্ণভাবে ইতিহাস রচনা করতে পারিনি। জুলাই আন্দোলনে আহতরা এখন হতাশায় পড়ে যাচ্ছেন। এসময় জাতির পক্ষ থেকে একটি দায়িত্বশীল ভূমিকা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া দরকার। অতীতে যারা ফ্যাসিস্ট শাসক ছিল, তাদের নাম ধর্মগ্রন্থেও উঠে এসেছে। একই পরিণতি সবাইকে ভোগ করতে হয়। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, ফ্যাসিস্টরা ইতিহাস পড়ে, কিন্তু তার থেকে শিক্ষা নেয় না। আমাদের দেশের ইতিহাস বিকৃতির ইতিহাস। দেশের ইতিহাস অনেকে যার যার মতো রচনা করেছেন। শফিকুর রহমান বলেন, আবু সাঈদের শাহাদাত ছিল জুলাই আন্দোলনের একটি টার্নিং পয়েন্ট। একটা নিভৃত পরিবারের ছেলেটি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। সে জেনেশুনেই শহীদ হওয়ার জন্য বুক পেতে দিয়েছিল। তার পথ ধরে বাকি শহীদরা বলেছে, আবু সাঈদ আমার ভাই, আমরাও শাহাদাতের সিঁড়িতে পা রাখতে চাই। শহীদ ভাইয়েরা তার পরিবারকে বলেছে, আমরা যদি শহীদ হয়ে যাই, তোমরা তাতে কেঁদো না। এতেই বোঝা যায়, দেশের মানুষ কতটা নির্যাতিত ছিল। তিনি বলেন, আমরা একটি বৈষম্যহীন, মানবিক ও সুন্দর বাংলাদেশ পেয়েছি। তাই রাজনৈতিক দল ও এর অংশীজনদের বলতে চাই, বিপ্লবের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ কোনও কাজ আপনারা করবেন না। যদি করেন, তাহলে শহীদদের আত্মা কষ্ট পাবে, তাদের রক্তকে অপমান করা হবে। আর যারা জীবিত শহীদ রয়েছেন, তারা ভীষণ কষ্ট পাবে ও অভিশাপ দেবে। এ সময় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতাসহ বিভিন্ন দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
রাজধানীতে মহা-শোডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াত

রাজধানীতে মহা-শোডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াত