
দৈনিক জনতার জেলা প্রতিনিধি নুরুজ্জামান শেখের উপর সন্ত্রাসী হামলা, সুশীল সমাজের ক্ষোভ


মাদারীপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য, গত আওয়ামী লীগ সরকার আমলের শরীয়তপুর জজ কোর্টের জিপি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলার আসামি এডভোকেট আলমগীর মুন্সী ও তার ভাই আওয়ামী লীগ নেতা মুরাদ মুন্সীর ভাতিজা দৈনিক সমকাল শরীয়তপুর প্রতিনিধি জেলার শীর্ষ চাঁদাবাজ সোহাগ খান সুজন, সাংবাদিক নামধারী ছাত্রলীগ নেতা বিধান মজুমদার, নয়ন দাসসহ অন্য ছাত্রলীগ নেতাদের বাঁচাতে সাংবাদিকদের একটি মহল দৌড়ঝাপ শুরু করেছে।
সম্প্রতি উল্লেখিত সাংবাদিক নামধারী ছাত্রলীগ নেতারা শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে গিয়ে এক ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করে। ওইসব চাঁদাবাজ সাংবাদিকরা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের সাথে উল্টা পাল্টা কথা বলার কারণে তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুর রহমানের নির্দেশক্রমে ডাক্তার কাজী মোহাম্মদ ইলিয়াস শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানায় কথিত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে একটি মানহানির অভিযোগ দায়ের করে। চাঁদাবাজ সাংবাদিকদের কর্মকান্ডের ঘটনা দৈনিক জনতা জেলা প্রতিনিধি নুরুজ্জামান শেখ প্রকৃত চিত্র তুলে ধরে শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেন। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ পন্থী সাংবাদিকরা হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তারদের চাপ প্রয়োগ করে ওই অভিযোগ তুলে নিতে বাধ্য করেন। এই ঘটনায় আওয়ামী লীগপন্থী সাংবাদিকদের নির্দেশে সোহাগ খান সুজন, নয়ন দাস, বিধান মজুমদারসহ অন্যান্যরা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কক্ষ থেকে সাংবাদিক নুরুজ্জামান শেখ কে টেনে হিচড়ে বের করে বেধম মারধর করে।
এ ঘটনায় সাংবাদিক নুরুজ্জামান শেখ পালং মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। পরের দিন দৈনিক জনতা পত্রিকা এবং অনলাইন পোর্টাল তালাশ বিডি এর জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক নুরুজ্জামান শেখ নিউজ সংগ্রহের জন্য জেলা আইনজীবী সমিতির মেইন ফটকের কিছু দূরে প্রধান সড়কে অবস্থান করলে সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে সোহাগ খান সুজন, নয়ন দাস ও বিধান মজুমদার মোটরবাইক যোগে একসাথে এসে সাংবাদিক নুরুজ্জামান শেখের উপর অতর্কিত হামলা করে। ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়রা চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের হাত থেকে সাংবাদিক নুরুজ্জামান শেখ কে উদ্ধার করে। বিগত দিনে আওয়ামী লীগের ছত্র ছায়া থেকে সোহাগ খান সুজন, নয়ন দাস, বিধান মজুমদার সাংবাদিকতার নামে চাঁদাবাজি করে জেলায় চষে বেরিয়েছে। আওয়ামী লীগের আমলে পৌরসভার উত্তর বালুচড়া গ্রামে ওএমএস চাউলের ডিলারের কাছ থেকে সাংবাদিকতার নামে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে পৌরসভার প্যানেল মেয়র বাচ্চু ব্যাপারীর লোকজনের হাতে গণধোলাইর শিকার হয়ে সোহাগ খান সুজন ও মহসিন শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দিন ছিল। ওই ঘটনার বিষয়টি ভধপবনড়ড়শসহ বিভিন্ন মিডিয়া প্রচারিত হয়।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ