ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫ , ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
নাম তার মৈশানি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে ব্যাটারিচালিত রিকশায় জরুরি অবস্থা ঘোষণায় মন্ত্রিসভার অনুমোদন লাগবে তারাকান্দায় ব্যক্তি মালিকানায় জমির উপর দিয়ে সরকারি রাস্তার প্রকল্প মামলা প্রত্যাহার না হলে বিএনপির সংবাদ বর্জনের হুঁশিয়ারি সংবাদিকদের সরকার সর্বক্ষেত্রেই ধারাবাহিক ব্যর্থতার প্রমাণ দিচ্ছে যশোর ক্ষণিকা পিকনিক কর্নারে বছরে কোটি টাকা লুটপাট ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪২০ দ্রুত নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে- আমীর খসরু অস্ত্র মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের বিরুদ্ধে চার্জশিট যশোরে দুই কোটি টাকার স্বর্ণের বারসহ আটক ৩ বাউল সংগীতে হৃদয় ছোঁয়া কণ্ঠস্বর রফিক সরকারের সার মজুতে বাফার গোডাউন নির্মাণ প্রকল্প এখনো শেষ হয়নি ভাঙনের কবলে উপকূলবাসী লাল চাঁদ হত্যার বিচারে বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবি- মির্জা ফখরুল শ্যামলীতে অস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাই খুলে নিয়ে গেলো জামা-জুতাও অদৃশ্য শত্রু ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে- তারেক রহমান দেশজুড়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ডাকসুর প্যানেল নিয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর লুকোচুরি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হবে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৩১ শয্যার হাসপাতালে ২২ পদ শূন্য, ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

  • আপলোড সময় : ০৫-০২-২০২৫ ০২:২৪:০০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৫-০২-২০২৫ ০২:২৪:০০ অপরাহ্ন
৩১ শয্যার হাসপাতালে ২২ পদ শূন্য, ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি মৌলভীবাজারের রাজনগর ৩১ শয্যা হাসপাতালে ডাক্তার, মেডিকেল অফিসার, নার্স, আয়া, কুক, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, মালিসহ ২২টি পদ শূন্য লোকবল সংকট নিয়ে চলছে স্বাস্থ্য সেবা। হাসপাতাল ভবন আছে, কিন্ত চিকিৎসা সরঞ্জাম, প্রয়োজনীয় ওষুধ ও জনবল সংকটের কারণে চিকিৎসা সেবা হচ্ছে ব্যাহত। চিকিৎসক সংকট থাকার কারণে অনেককে বেসরকারি ক্লিনিকে ব্যয়বহুল চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। আর আর্থিক অসহায় মানুষ ছুটতে হয় মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে বা সিলেট উসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এই চিত্র মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলা ৩১ শয্যাবিশষ্ট হাসপাতালের। হাসপাতালটিতে চিকিৎসক এবং নার্সসহ যে জনবল থাকার কথা তার অর্ধেকও নেই। চিকিৎসক সঙ্কট থাকার কারণে চিকিৎসা নিতে আসা ৮টি ইউনিয়নে মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। এই স্বল্প জনবল নিয়েই ৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে। হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২ শতাধিক রোগী সেবা নিয়ে থাকেন। অন্তঃবিভাগে প্রতিদিন প্রায় ৩০ জনের অধিক রোগী ভর্তি থাকেন। বর্তমানে রোগীদের সেবা দিতে ডাক্তার ও নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। চিকিৎসক সংকটের কারণে হাসপাতালের আউটডোরে উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসারদের ও সেবায় হাত লাগাতে হয়। পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদ ২টি। কিন্তু ২টি পদই শূন্য। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কর্মী না থাকায় হাসপাতালে আশপাশে প্রচুর আবর্জনা, লতা পাতা, আগাছা জমে আছে। যে কারণে হাসপাতালের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এ অবস্থায় পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়ে বিপাকে কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীদের সবাই জ্বর, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া আক্রান্ত। হাসপাতাল ঘুরে কোনো ডাক্তারের দেখা না পেয়ে দ্বারস্থ হতে হয় হাসপাতালের পরিসংখ্যান শাখায়। তিনি ব্যস্ত তথ্য প্রদান কাজে কথা বলার সময় নেই। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর পরিচয় দিয়ে হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে পরিসংখ্যানবিদ নিজের নাম প্রকাশ না করে জানান, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সভায় আছেন। আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ছুটিতে আছেন। হাসপাতালের ৮ ডাক্তারের বিপরীতে ৫ জন ডাক্তার কর্মরত আছেন। তিনতলা বিশিষ্ট হাসপাতালের ঢালাই ছুয়ে পানি পড়ে নীচের রুমগুলোতে। ফলে অফিসের কাজ করতে যেমন সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে, তেমনি মূল্যবান ডকুমেন্ট নষ্ট হচ্ছে। হাসপাতালে একটি এ্যাম্বুলেন্স থাকলেও এটি প্রায় সময় নষ্ট থাকে। জরুরি ভিক্তিতে রোগী জেলা সদরে বা সিলেট স্থনান্তর করতে হলে প্রাইভেট গাড়ি ভাড়া করতে হয়। হাসপাতালে আসা রোগীর সাথে আসা একাধিক ব্যক্তি জানান, সময়মতো ডাক্তার, নার্স পাওয়া যায় না। আর ওষুধ নাই বললে চলে। আর পরীক্ষা-নিরীক্ষা হাসপাতালের ভিতর হয় না। যা করতে হয় সব কিছু বাইরে করতে হয়। হাসপাতালে এলে ভোগান্তির সীমা থাকে না। হাসপাতালের কর্মচারীরা জানান, নার্স, ডাক্তার ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী সংকটের কারণে রোগীর সেবা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় খুব সমস্যা হচ্ছে। বিষয় উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। উপজেলা ভারপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. পিয়তী কর জানান, রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট রয়েছে। ৩১ শয্যার হাসপাতালটিতে ডাক্তারের পোস্ট ৮টা, এরমধ্যে ৩ টি পদ শূন্য রয়েছে। ১ জন ডাক্তার অনুপস্থিত রয়েছেন বিনা অনুমতিতে। আবাসিক মেডিকেল অফিসারের পদ ২২টি। এই মূহূর্তে আছে ১ জন। স্টাফ নার্সের ২৬টি পদের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ১৬ জন। মিডওইফ পদ ৪টি, কর্মরত আছেন ২ জন। কুকের ২টি পদের একটি শূন্য। আয়ার ২টি পদে একজন, আর মালিক শূন্য পদে কোনো লোক নেই। এতগুলো শূন্য পদে নিয়ে মানুষের কাক্সিক্ষত সেবা দিতে আমরা চেষ্টা করছি। এটা প্রাথমিক চিকৎসা কেন্দ্র। সাধ্যের মধ্যে যতটুকু সেবা দেয়া সম্ভব তা আমাদের ডাক্তার, নার্সরা রোগীদের দিচ্ছেন। জনবল সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করা যায় দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে। আর ওষুধ সরকারিভাবে যে যে আইটেম দেয়া হয় তাই আমরা রোগীদেরে দিয়ে থাকি। এখানে পরীক্ষা মেশিনপত্র না থাকায় রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালের নির্মাণ কাজের যে ক্রুটি রয়েছে এ জন্য জন স্বাস্থ্য বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার মাঝে মধ্যে এসে অস্থায়ীভাবে সমস্যা সমাধান করে দেন। আমরা স্থায়ী সমাধানের জন্য তাদেরে বলেছি। তারা স্থায়ী সমাধান করে দিলে ছাদ পানি জমে স্যাতসেঁতে হওয়া ও ময়লার পাইপ লাইন বন্ধ হয়ে ওভার ফ্লু হয়ে সেবা প্রার্থীদের যে সমস্যা তা আর হবে না।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য

সর্বশেষ সংবাদ