![](https://dainikjanata.net/public/ads/65fd544197946.png)
রমজান মাসে গ্যাস বিদ্যুতের বড় সংকটের শঙ্কা
- আপলোড সময় : ০৪-০২-২০২৫ ০৪:৩৬:১১ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৪-০২-২০২৫ ০৪:৩৬:১১ অপরাহ্ন
![রমজান মাসে গ্যাস বিদ্যুতের বড় সংকটের শঙ্কা রমজান মাসে গ্যাস বিদ্যুতের বড় সংকটের শঙ্কা](https://dainikjanata.net/public/postimages/67a1ed9b34a2d.jpg)
![](https://dainikjanata.net/public/ads/65fd544197946.png)
একদিকে গ্যাসসংকট, অন্যদিকে পুরনো বিপুল পরিমাণ দেনার ঘানি। সঙ্গে আছে ডলার সংকট। এ ছাড়া গরমে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। এই চার কারণে আসন্ন গ্রীষ্ম ও রমজানে এবারও গ্যাস-বিদ্যুৎ নিয়ে বড় সংকটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি যতটা সামাল দেয়া যায়, সেই চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
মার্চ মাসে রমজান। এ সময় গরমও শুরু হবে। আর ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় সেচ মৌসুম। ফলে মার্চ থেকে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়বে। চাহিদার অতিরিক্ত সক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র থাকলেও প্রয়োজনীয় জ্বালানির অভাবে এবারও গ্রীষ্মে বিদ্যুৎসংকটে লোডশেডিং বাড়বে। লোডশেডিং কমাতে বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ বাড়ালে বাড়বে গ্যাসেরও সংকট। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়বে সাধারণ মানুষ।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিগত সরকার একের পর এক প্রয়োজনের অতিরিক্ত বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে। কিন্তু সে অনুযায়ী জ্বালানির সংস্থানে কোনো নজর দেয়নি। দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রমে অবহেলা করে আমদানিতে ঝোঁক ছিল বেশি। অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ আমদানি প্রবণতার কারণে উৎপাদনব্যয় বৃদ্ধির পাশাপাশি বেড়েছে বকেয়ার পরিমাণ। বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের এমন নাজুক পরিস্থিতি মোকাবিলায় কার্যত অসহায় হয়ে পড়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
পিডিবির কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমানে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতে প্রতিষ্ঠানের গড়ে প্রায় ৪ থেকে ৫ টাকা লোকসান হচ্ছে। এই টাকা অর্থ বিভাগ থেকে ভর্তুকি হিসেবে দেয়া হয়। কিন্তু অর্থের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ডলার সংকটের কারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পাওনা পরিশোধ করতে পারছে না পিডিবি।
অর্থসংকটে কয়লা, ফার্নেস অয়েল ও গ্যাস আমদানি ব্যাহত হওয়ায় গত বছর গরম মৌসুমে বিভিন্ন সময় পায়রা, রামপাল, এস আলমসহ অনেক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ ছিল। এ কারণে লোডশেডিং বেড়ে গিয়েছিল। বাধ্য হয়ে সরকার তালিকা করে লোডশেডিং দিয়েছিল দেশ জুড়ে। গত বছরের গ্রীষ্ম, রমজান ও সেচ মৌসুমে সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল সাড়ে ১৬ হাজার মেগাওয়াটের কাছাকাছি। এবার চাহিদা হতে পারে প্রায় ১৮ হাজার মেগাওয়াট। এ সময় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজন দেড় লাখ টন ফার্নেস অয়েল ও ১৫-১৬ হাজার টন ডিজেল। দৈনিক কয়লার চাহিদা ৪০ হাজার টন। বিদ্যুতের জন্য গ্যাস লাগবে দিনে কমপক্ষে ১৩০ কোটি ঘনফুট। গতবার বিদ্যুৎ খাতে গড়ে ১১০-১১৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস দিয়েছিল পেট্রোবাংলা। এবার তা সেটুকু দিতে পারবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। অন্যদিকে বকেয়ার কারণে বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি আমদানি ব্যাহত হতে পারে বলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিম বলেন, এবার গ্রীষ্মে ১৭ হাজার মেগাওয়াটেরও বেশি বিদ্যুতের চাহিদা থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সে অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর জন্য আলোচনা হয়েছে পেট্রোবাংলার সঙ্গে। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো পুরোদমে চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এরপর যতটুকু ঘাটতি থাকে, তা তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দিয়ে যতটা সম্ভব পূরণ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ফারজানা মমতাজ বলেন, সম্ভাব্য যতটুকু বিদ্যুৎ পাব, এর ওপর ভিত্তি করেই পরিকল্পনা করছি, যাতে সাধারণ মানুষকে সর্বোচ্চ কমফোর্ট দেয়া যায়। গ্রাহককে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সব ধরনের চেষ্টা করছে সরকার। লোডশেডিং কতটা সামাল দেয়া যাবে, সেই প্রশ্নে বিদ্যুৎ সচিব বলেন, গ্রীষ্মে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়বে। আবার জ্বালানিরও সংকট রয়েছে। ফলে লোডশেডিং হতেই পারে। তবে আমাদের চেষ্টার কোনো কমতি থাকবে না। যতটা সম্ভব লোডশেডিং কমানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ