গাজীপুর প্রতিনিধি
শ্বশুরবাড়িতে স্বামীকে হত্যার অভিযোগে নিহতের স্ত্রী, শ্বশুর, শ্যালকসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শ্বশুরবাড়িতে স্বামীকে হত্যার অভিযোগে নিহতের স্ত্রী, শ্বশুর, শ্যালকসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত আসামিরা নিহতের বাহুতে কামড় দিয়ে চোখ, মুখ ও বিশেষ অঙ্গে আঘাত করে হত্যা করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গত শনিবার গাজীপুরের মেট্রোপলিটন পুলিশের পূবাইল থানা পুলিশ এই তথ্য নিশ্চিত করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- রবিউলের স্ত্রী কারিমা বেগম (২২), শ্বশুর আবুল কালাম আজাদ (৪৫), শ্যালক হুমায়ুন কবির (১৯) ও প্রতিবেশী লিটন মিয়া (৪৬)। প্রথম তিনজনের স্থায়ী বাড়ি শেরপুরের শ্রীবর্দী থানার বালুঘাট গ্রামে। লিটনের স্থায়ী বাড়ি শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার আইটপাড়া গ্রামে। তারা সবাই পূবাইলের সাতানিপাড়া এলাকায় থাকতেন।
জানা যায়, গত রোববার গাজীপুরের পূবাইল এলাকার সাতানিপাড়া গ্রামে রবিউল ইসলাম (২৮) নামে একজনকে শ্বশুরবাড়িতে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। রবিউল টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকার দুই নাম্বার ব্লকের তুহিন তালুকদারের ছেলে। এরপর আহতকে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত শুক্রবার তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় নেয়ার পথে তিনি মারা যান। পুলিশ জানায়, প্রায় এক বছর আগে গাজীপুরের পূবাইল থানার সাতানিপাড়া এলাকার কালাম মিয়ার মেয়ে করিমার সঙ্গে বিয়ে হয়। গত রোববার স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন রবিউল। ওই দিন রাতেই স্ত্রী করিমার সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় রবিউলের। একপর্যায়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন সবাই মিলে তাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় বাঁশের মোটা লাঠি দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে।
পুলিশ আরো জানায়, আসামিরা নিহতের বিশেষ অঙ্গে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। তারা তার ডান হাতের বাহুতে কামড় দিয়ে জখম করে এবং দুই চোখে আঘাত করে রক্তাক্ত করে ঘরে ফেলে রাখে। পরে আহত অবস্থায় রবিউলকে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকার নিজ বাড়িতে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে আবার তাকে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পূবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, সুরতহাল শেষে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মো. তুহিন তালুকদার (৬০) বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার এজাহারে থাকা চার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
![](https://dainikjanata.net/public/ads/65fd544197946.png)