ঢাকা , শনিবার, ৩১ মে ২০২৫ , ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
আমতলীতে শহিদ রাষ্টপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকীতে সেচ্ছায় রক্তদান ও আলেচনা সভা মগবাজারে কুপিয়ে ব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার ৩ ২ জুন বাজেট ঘোষণা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নিহত বাংলাদেশের জন্য জাপান গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার : প্রেস সচিব বাড়ছে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা সরকারের আশ্বাসে প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ডিসেম্বরের আগেই জাতীয় নির্বাচন দেয়া সম্ভব -তারেক রহমান দেশে গণতন্ত্রের নিরাপদ যাত্রা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে : খালেদা জিয়া নির্বাচন ইস্যুতে এনসিপির সমালোচনায় ববি হাজ্জাজ আনু মুহাম্মদের স্ট্যাটাসে আসিফ নজরুলের বিস্ময় প্রকাশ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ উত্তাল নগর ভবনে পা রাখলেন ইশরাক আরও উজ্জীবিত আন্দোলনকারীরা সচিবালয়ে কর্মচারীদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা প্রশাসনে ১০ মাসেও ফেরেনি শৃঙ্খলা ভারী বৃষ্টিতে বন্যার শঙ্কা শেখ হাসিনার আমলে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে একসঙ্গে কাজ করবে সরকার, ইসি ও জাতিসংঘ মিডিয়ার হেডলাইন দেখে মন্তব্য করা যায় না-ইশরাক ইস্যুতে সিইসি নানামুখী চাপে দেশের অর্থনীতি

ফুলে শত কোটি টাকার হাতছানি

  • আপলোড সময় : ০৩-০২-২০২৫ ১২:২৮:৫৪ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৩-০২-২০২৫ ১২:২৮:৫৪ পূর্বাহ্ন
ফুলে শত কোটি টাকার হাতছানি
যশোর প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারিতে তিন দিবস-পহেলা ফাল্গুন, বিশ্ব ভালোবাসা ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। হাতে রয়েছে আর মাত্র কয়েক দিন। শেষ মুহূর্তে তাই ব্যস্ত সময় পার করেছেন ফুল চাষিরা। ফুলের রাজধানী হিসেবে পরিচিত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালি, পানিসারা ও আশপাশের এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে গোলাপ, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, রজনিগন্ধা, গাঁদা, লিলিয়াম, জিপসি ও চন্দ্রমল্লিকাসহ নানা ধরনের ফুল। চলতি মৌসুমে অতিবৃষ্টির কারণে ফুলের উৎপাদন কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও আসন্ন তিনটি বিশেষ দিবস ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন ফুল চাষিরা।
ঝিকরগাছা কৃষি বিভাগ জানায়, যশোরে প্রায় ৬০০ হেক্টর জমিতে ফুলের চাষ হয় এবং এ ব্যবসার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে লক্ষাধিক মানুষ জড়িত। আসন্ন বসন্ত, ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ব্যাপক ফুল বিক্রি হলে চাষিদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।
সরেজমিন যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বিভিন্ন ফুলের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, মাঠজুড়ে ফুটেছে নানা রঙের ফুল। চাষিরা দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ফুলের পরিচর্যায়। উৎসব পর্যন্ত ফুল ধরে রাখতে এবং পোকামাকড় ও পচন রোধে নেয়া হচ্ছে বিভিন্ন পদক্ষেপ।
উপজেলার পানিসারা গ্রামের ফুলচাষি আক্তার জানান, আমরা যারা ফুলের চাষ করি, তারা মূলত উৎসবকেন্দ্রিক চাষ করি। বসন্ত দিবস, ভালোবাসা দিবস ও ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় বাজার। এ বছর উৎপাদনে ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি ৮ লাখ টাকার ফুল বিক্রি করতে পারব।
অপর ফুলচাষি রমিজ উদ্দিন বলেন, কয়েক বছর ধরে ফুল চাষ করে বেশ সফলতা পেয়েছি। বিশেষ তিনটি দিবস সামনে রেখে চাষিদের প্রস্তুতি বেশ ভালো। মৌসুমের শুরুতে অতিবৃষ্টির কারণে কিছুটা ক্ষতি হলেও এবার ফুলের ভালো দাম পাব বলে আশা করছি। সরকারি সহায়তা পেলে উৎপাদন আরো বাড়ানো যেত।
গদখালি গ্রামের চাষি কালাম বলেন, আমার জমিতে জারবেরা, চন্দ্রমল্লিকা, গোলাপ ও লিলিয়াম চাষ করেছি। সব খেতেই ফুল ভরা। এখন প্রতি পিস জারবেরা পাইকারি সাত থেকে আট টাকা এবং গোলাপ তিন টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সামনে এসব ফুলের দাম তিন গুণ হয়ে যাবে বলে আশা করছি। এ বছর পাঁচ লাখ টাকার ফুল বিক্রি করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। সরকার যদি রফতানির উদ্যোগ নেয় তাহলে ফুল চাষী ও সরকার উভয়ই লাভবান হবে।
সৈয়দপাড়ার আফজাল হোসেন বলেন, পাঁচ বিঘা জমিতে গাঁদা ও দুই বিঘায় রজনিগন্ধা চাষ করেছি। ভালোবাসা দিবসে রজনিগন্ধা ও ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা দিবসে গাঁদা ফুল বিক্রি করব। এখন ফুল ধরে রাখতে এবং পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করতে ভিটামিন ও কীটনাশক ব্যবহার করছি। আশা করছি এক একটি গোলাপের পাইকারি দাম ২৫-৩০ টাকা করে পাব। কিরণ গাঙ্গুলি নামে এক চাষি জানান , উৎসবের বাজার ধরতে গোলাপগুলো ক্যাপ পরিয়ে রাখা হচ্ছে। এছাড়া নানা ধরনের ওষুধ স্প্রে করা হচ্ছে যাতে ফুল নষ্ট না হয়। এ বিক্রির ওপর সারা বছরের লাভ-লোকসানের হিসাব নির্ভর করবে।
গদখালি ফুল চাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর বলেন, এ বছর অতিবৃষ্টির কারণে দেরিতে চাষাবাদ হলেও ব্যাপক ফুলের উৎপাদন হয়েছে। আসন্ন তিনটি উৎসব ঘিরে ফুল সংরক্ষণের উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। ফুলের দাম বাড়তে শুরু করেছে এবং তা আরও বাড়বে। আশা করছি শত কোটি টাকার ফুল বিক্রি হবে বলে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য