ঢাকা , রবিবার, ০১ জুন ২০২৫ , ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সেন্টমার্টিনে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন খাদ্য ও জ্বালানি সংকট ফ্যাসিবাদী রাজনীতির শূন্যস্থান পূরণের অপচেষ্টায় জামায়াত-শিবির ঈদের পর রাজপথ কাঁপাবে জামায়াত টানা বৃষ্টিতে লোকালয়ে ঢুকছে পানি জুলাই আন্দোলনে ১৬৮ পথশিশু নিহত: লিডো গ্যাস সংকট নিয়ে শিল্প মালিকদের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন জ্বালানি উপদেষ্টা ২ জুন বিএনপিকে যমুনায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশসহ ১৪ দেশের ‘ব্লক ওয়ার্ক ভিসা’ স্থগিত করেছে সৌদি আরব পর্দার অন্তরালে ত্রিমুখী আলোচনায় নির্বাচন সুগন্ধি চাল রফতানির অনুমতি পেলো আরও ৫২ প্রতিষ্ঠান ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ঈদযাত্রায় ভোগান্তির শঙ্কা আম উৎপাদনে উত্তম কৃষি চর্চা সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে : কৃষি সচিব বনানীতে পেট্রোল ঢেলে প্রাইভেটকারে আগুন বনানীতে পেট্রোল ঢেলে প্রাইভেটকারে আগুন সেনাবাহিনীর হাতে এনসিপি নেতা গ্রেফতার সিরাজগঞ্জে ১৬ টন সরকারি চাল জব্দ আটক ৮ ঝিনাইদহ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আহত বাংলাদেশির মৃত্যু টাঙ্গাইলে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা, স্বামী পলাতক যশোরের শার্শা সীমান্তে বিদেশি অস্ত্রসহ দুই ব্যবসায়ী আটক শৈশবের ক্লাবে ফিরে গেলেন ডি মারিয়া

ফুলে শত কোটি টাকার হাতছানি

  • আপলোড সময় : ০৩-০২-২০২৫ ১২:২৮:৫৪ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৩-০২-২০২৫ ১২:২৮:৫৪ পূর্বাহ্ন
ফুলে শত কোটি টাকার হাতছানি
যশোর প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারিতে তিন দিবস-পহেলা ফাল্গুন, বিশ্ব ভালোবাসা ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। হাতে রয়েছে আর মাত্র কয়েক দিন। শেষ মুহূর্তে তাই ব্যস্ত সময় পার করেছেন ফুল চাষিরা। ফুলের রাজধানী হিসেবে পরিচিত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালি, পানিসারা ও আশপাশের এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে গোলাপ, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, রজনিগন্ধা, গাঁদা, লিলিয়াম, জিপসি ও চন্দ্রমল্লিকাসহ নানা ধরনের ফুল। চলতি মৌসুমে অতিবৃষ্টির কারণে ফুলের উৎপাদন কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও আসন্ন তিনটি বিশেষ দিবস ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন ফুল চাষিরা।
ঝিকরগাছা কৃষি বিভাগ জানায়, যশোরে প্রায় ৬০০ হেক্টর জমিতে ফুলের চাষ হয় এবং এ ব্যবসার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে লক্ষাধিক মানুষ জড়িত। আসন্ন বসন্ত, ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ব্যাপক ফুল বিক্রি হলে চাষিদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।
সরেজমিন যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বিভিন্ন ফুলের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, মাঠজুড়ে ফুটেছে নানা রঙের ফুল। চাষিরা দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ফুলের পরিচর্যায়। উৎসব পর্যন্ত ফুল ধরে রাখতে এবং পোকামাকড় ও পচন রোধে নেয়া হচ্ছে বিভিন্ন পদক্ষেপ।
উপজেলার পানিসারা গ্রামের ফুলচাষি আক্তার জানান, আমরা যারা ফুলের চাষ করি, তারা মূলত উৎসবকেন্দ্রিক চাষ করি। বসন্ত দিবস, ভালোবাসা দিবস ও ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় বাজার। এ বছর উৎপাদনে ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি ৮ লাখ টাকার ফুল বিক্রি করতে পারব।
অপর ফুলচাষি রমিজ উদ্দিন বলেন, কয়েক বছর ধরে ফুল চাষ করে বেশ সফলতা পেয়েছি। বিশেষ তিনটি দিবস সামনে রেখে চাষিদের প্রস্তুতি বেশ ভালো। মৌসুমের শুরুতে অতিবৃষ্টির কারণে কিছুটা ক্ষতি হলেও এবার ফুলের ভালো দাম পাব বলে আশা করছি। সরকারি সহায়তা পেলে উৎপাদন আরো বাড়ানো যেত।
গদখালি গ্রামের চাষি কালাম বলেন, আমার জমিতে জারবেরা, চন্দ্রমল্লিকা, গোলাপ ও লিলিয়াম চাষ করেছি। সব খেতেই ফুল ভরা। এখন প্রতি পিস জারবেরা পাইকারি সাত থেকে আট টাকা এবং গোলাপ তিন টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সামনে এসব ফুলের দাম তিন গুণ হয়ে যাবে বলে আশা করছি। এ বছর পাঁচ লাখ টাকার ফুল বিক্রি করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। সরকার যদি রফতানির উদ্যোগ নেয় তাহলে ফুল চাষী ও সরকার উভয়ই লাভবান হবে।
সৈয়দপাড়ার আফজাল হোসেন বলেন, পাঁচ বিঘা জমিতে গাঁদা ও দুই বিঘায় রজনিগন্ধা চাষ করেছি। ভালোবাসা দিবসে রজনিগন্ধা ও ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা দিবসে গাঁদা ফুল বিক্রি করব। এখন ফুল ধরে রাখতে এবং পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করতে ভিটামিন ও কীটনাশক ব্যবহার করছি। আশা করছি এক একটি গোলাপের পাইকারি দাম ২৫-৩০ টাকা করে পাব। কিরণ গাঙ্গুলি নামে এক চাষি জানান , উৎসবের বাজার ধরতে গোলাপগুলো ক্যাপ পরিয়ে রাখা হচ্ছে। এছাড়া নানা ধরনের ওষুধ স্প্রে করা হচ্ছে যাতে ফুল নষ্ট না হয়। এ বিক্রির ওপর সারা বছরের লাভ-লোকসানের হিসাব নির্ভর করবে।
গদখালি ফুল চাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর বলেন, এ বছর অতিবৃষ্টির কারণে দেরিতে চাষাবাদ হলেও ব্যাপক ফুলের উৎপাদন হয়েছে। আসন্ন তিনটি উৎসব ঘিরে ফুল সংরক্ষণের উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। ফুলের দাম বাড়তে শুরু করেছে এবং তা আরও বাড়বে। আশা করছি শত কোটি টাকার ফুল বিক্রি হবে বলে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য