সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
একমাত্র আদরের সন্তানের লাশ কাঁধে নিয়ে চিতায় পুড়িয়ে সব স্বপ্ন ধূলিস্যাৎ করে দিলেন শিক্ষক পিতা। গত শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কামালকাটি শ্মশানে এ লাশ সৎকার করা হয়। নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শ্যামনগর পৌরসভার চন্ডীপুর গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক অচিন্ত কুমার মণ্ডলের একমাত্র সন্তান ডাক্তার অর্ঘ অমৃত মণ্ডল গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সোনাসুর নামক স্থানে ট্রাক চাপায় মারা যায়। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা তার স্ত্রী মিতু মারাত্মক জখম হয়। আশঙ্কাজনক থাকায় মিতুকে ওই রাতেই ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল থেকে ডাক্তার সন্তানের মৃতদেহ বুকে জড়িয়ে রাতে বাড়িতে নিয়ে আসেন বাবা। তারপর তাকে স্নান করিয়ে বুকে পাষাণ বেঁধে সন্তানের লাশ কাঁধে নিয়ে শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে গ্রামের বাড়ি কামালকাঠিতে চিতায় তুলে দিয়ে নিজ হাতে মুখাগ্নি করেন জন্মদাতা পিতা। তরুণ চিকিৎসকের মৃত্যুতে পরিবারসহ এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অপরদিকে ডাক্তার অর্ঘ অমৃত মণ্ডলের স্ত্রী ডাক্তার প্রতিভা সরকার মিতু ঢাকার পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর ঘোনাপাড় হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক আবুল হাশেম মজুমদার জানিয়েছেন, সাতক্ষীরা থেকে এই দম্পত্তি মোটরসাইকেলে করে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। পথে একটি ট্রাক তাদের মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিলে উভয়ই মারাত্মক আহত হন। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অর্ঘ অমৃত মণ্ডলকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata