ঢাকা , শনিবার, ৩১ মে ২০২৫ , ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
আমতলীতে শহিদ রাষ্টপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকীতে সেচ্ছায় রক্তদান ও আলেচনা সভা মগবাজারে কুপিয়ে ব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার ৩ ২ জুন বাজেট ঘোষণা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নিহত বাংলাদেশের জন্য জাপান গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার : প্রেস সচিব বাড়ছে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা সরকারের আশ্বাসে প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ডিসেম্বরের আগেই জাতীয় নির্বাচন দেয়া সম্ভব -তারেক রহমান দেশে গণতন্ত্রের নিরাপদ যাত্রা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে : খালেদা জিয়া নির্বাচন ইস্যুতে এনসিপির সমালোচনায় ববি হাজ্জাজ আনু মুহাম্মদের স্ট্যাটাসে আসিফ নজরুলের বিস্ময় প্রকাশ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ উত্তাল নগর ভবনে পা রাখলেন ইশরাক আরও উজ্জীবিত আন্দোলনকারীরা সচিবালয়ে কর্মচারীদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা প্রশাসনে ১০ মাসেও ফেরেনি শৃঙ্খলা ভারী বৃষ্টিতে বন্যার শঙ্কা শেখ হাসিনার আমলে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে একসঙ্গে কাজ করবে সরকার, ইসি ও জাতিসংঘ মিডিয়ার হেডলাইন দেখে মন্তব্য করা যায় না-ইশরাক ইস্যুতে সিইসি নানামুখী চাপে দেশের অর্থনীতি
তালতলী

সেতু ভেঙে খালে, সংস্কারের উদ্যোগ নেই

  • আপলোড সময় : ০১-০২-২০২৫ ১১:৫৫:১৮ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০১-০২-২০২৫ ১১:৫৫:১৮ পূর্বাহ্ন
সেতু ভেঙে খালে, সংস্কারের উদ্যোগ নেই
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
বরগুনার তালতলী সদরের মাছ বাজার ও খোট্রারচর এলাকার সাথে সংযোগ বগীরদোনা খালের উপর দীর্ঘদিন ধরে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় দাড়িয়ে থাকা ব্রিজটি ভেঙে খালে পড়েছে। ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় দুই পাড়ের মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে প্রায় ১০ হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল শুক্রবার এ ব্রিজটি হঠাৎ খালে ভেঙে পড়ে। এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। জানা যায়, উপজেলার খোট্রারচর মাছ বাজার এলাকায় বগীরদোনা খালের ওপর ২০০০ সালের দিকে এ ব্রিজটি নির্মাণ করে এলজিইডি। ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডরে সেতুটির কয়েকটি স্থান দেবে যায়। এরপর ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি আর সংস্কার করা হয়নি। ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিদিন দুই পাড়ের কয়েক হাজার মানুষ পারাপার করতেন। হঠাৎ গতকাল শুক্রবার ভোর রাতে খালে জোয়ারের পানির তীব্র স্রোতে ধসে পড়ে এ ব্রিজটি। এতে ঐ ব্রিজের দুই পাড়ের এবং আসপাশের কয়েকটি গ্রাম ও খোট্টারচরের পর্যটন স্থানের প্রায় ১০ হাজার মানুষ যাতায়াতে ভোগান্তি। এ এলাকার মধ্যে ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি বাজার, ২টি এতিমখানা, ২টি মাদ্রাসা ও একটি পর্যটনস্থান সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বর্তমানে ছোট্ট একটি ডিঙি নৌকায় ঝুকি নিয়ে পারাপার করছে মানুষ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রিজটি সম্পূর্ণ ধ্বসে খালের পানির মধ্যে পড়ে আছে। ব্রিজটির দুই পাড়ের স্কুল শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা হাটবাজারে যাওয়ার জন্য পারাপারের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে। পারাপারের জন্য ঝুঁকি নিয়েই ডিঙি নৌকায় খাল পার হচ্ছেন। দুই পাড়ের ১০ হাজার মানুষের যাতায়াতের জন্য এই ব্রিজটিই একমাত্র মাধ্যম ছিলো। খালের ঐ পারের ব্যবসায়ী মোশারেফ, আমির হোসেন ও আল আমিনসহ একাধিক স্থানীয়রা বলেন, ব্রিজের কাছাকাছি আমাদের বসবাসের বাসা-বাড়ী। ভোর রাতের দিকে হঠাৎ বিকট শব্দ পাই। কাছে গিয়ে দেখি ব্রিজটি ভেঙে খালে পড়ে আছে। এই ব্রিজটি প্রায় ১৬-১৭ বছরেরও বেশি সময় ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ে আছে। স্থানীয়রা সংস্কার করে র্দীঘ দিন ঝুকি নিয়ে চলাচল করেছে। পরে একাধিক বার নতুন ব্রিজ নির্মানের আবেদন করা হলেও কোনো উদ্যোগ নেয়নি স্থানীয় প্রকৌশল বিভাগ। তাই দ্রুত নতুন একটি ব্রিজ নির্মান করা দরকার। উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালমা বলেন, আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিকল্পভাবে চলাচলের জন্য আপতত একটি কাঠের ব্রিজ তৈরি করে দেওয়া হবে। কোন দপ্তর ব্রিজটি নির্মাণ করেছে সেটা জেনে তাদের সাথে আলোচনা করে পরবর্তীতে নতুন ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রতিবেদন পাঠানো হবে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য