ঢাকা , রবিবার, ০১ জুন ২০২৫ , ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সেন্টমার্টিনে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন খাদ্য ও জ্বালানি সংকট ফ্যাসিবাদী রাজনীতির শূন্যস্থান পূরণের অপচেষ্টায় জামায়াত-শিবির ঈদের পর রাজপথ কাঁপাবে জামায়াত টানা বৃষ্টিতে লোকালয়ে ঢুকছে পানি জুলাই আন্দোলনে ১৬৮ পথশিশু নিহত: লিডো গ্যাস সংকট নিয়ে শিল্প মালিকদের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন জ্বালানি উপদেষ্টা ২ জুন বিএনপিকে যমুনায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশসহ ১৪ দেশের ‘ব্লক ওয়ার্ক ভিসা’ স্থগিত করেছে সৌদি আরব পর্দার অন্তরালে ত্রিমুখী আলোচনায় নির্বাচন সুগন্ধি চাল রফতানির অনুমতি পেলো আরও ৫২ প্রতিষ্ঠান ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ঈদযাত্রায় ভোগান্তির শঙ্কা আম উৎপাদনে উত্তম কৃষি চর্চা সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে : কৃষি সচিব বনানীতে পেট্রোল ঢেলে প্রাইভেটকারে আগুন বনানীতে পেট্রোল ঢেলে প্রাইভেটকারে আগুন সেনাবাহিনীর হাতে এনসিপি নেতা গ্রেফতার সিরাজগঞ্জে ১৬ টন সরকারি চাল জব্দ আটক ৮ ঝিনাইদহ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আহত বাংলাদেশির মৃত্যু টাঙ্গাইলে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা, স্বামী পলাতক যশোরের শার্শা সীমান্তে বিদেশি অস্ত্রসহ দুই ব্যবসায়ী আটক শৈশবের ক্লাবে ফিরে গেলেন ডি মারিয়া
কাগজ সঙ্কটের অজুহাত

বিপুল টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে মিল মালিকরা

  • আপলোড সময় : ৩০-০১-২০২৫ ১১:৩৪:৪৭ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ৩০-০১-২০২৫ ১১:৩৪:৪৭ অপরাহ্ন
বিপুল টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে মিল মালিকরা
দেশে কাগজ সঙ্কটের অজুহাতে বিপুল টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে মিল মালিকরা। বিশ্ববাজারে কাগজের মূল্য না বাড়লেও চলতি বছর দেশের কাগজের মিল মালিকরা দফায় দফায় কাগজের মূল্য বাড়িয়েছে। পাঠ্যবই ছাপানোর মৌসুমে গত এক মাসের ব্যবধানে প্রতি টন কাগজের মূল্য কমপক্ষে ৩০ হাজার টাকা বেড়েছে। চলতি ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ৪০ কোটির বেশি পাঠ্যবই ছাপাতে ১ লাখ ১৫ হাজার টন কাগজ প্রয়োজন। কিন্তু কাগজ মিলের মালিকরা কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে বাড়তি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আবার বেশি দাম দিয়েও চাহিদা অনুযায়ী কাগজ পাচ্ছে না পাঠ্যবই ছাপানোর দায়িত্বে থাকা দেশের শতাধিক ছাপাখানা। আর অধিকাংশ ছাপাখানা কাগজ সংকটের কারণে গত এক মাস ধরে প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা করে বই ছাপানো বন্ধ রাখছে। ছাপাখানা সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিগত সরকার দেশি মিলগুলোকে সুবিধা দিতে কাগজের আমদানির ওপর ৫৯ ভাগ শুল্ক আরোপ করেছে। আর  তার সুযোগ নিচ্ছে একশ্রেণির ব্যবসায়ী। সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে কাগজের মূল্য বাড়ানো হয়েছে। এমনকি ৫৯ ভাগ শুল্ক দিয়ে বিদেশ থেকে কাগজ আমদানি করলেও দেশের বর্তমান বাজার মূল্যের চেয়ে কম পড়বে। তবে সেটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এমন পরিস্থিতিতে ছাপাখানা মালিকরা কাগজের মিল মালিকদের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে কাগজ আমদানির উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানিয়েছে। কারণ বিদেশ থেকে শুল্কমুক্ত কাগজ আমদানি করা না হলে এ বছর শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যবই তুলে দেয়া আরো দীর্ঘায়িত হবে। তাতে বিঘ্ন ঘটবে কোটি কোটি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন। গত ডিসেম্বরে পাঠ্যবই ছাপানোর প্রতি টন কাগজের মূল্য ছিল ১ লাখ ৫ হাজার টাকা। বর্তমানে তা ১ লাখ ৩৫ হাজার থেকে ক্ষেত্র বিশেষে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা নেয়া হচ্ছে। কাগজের বাজার স্বাভাবিক করতে ছাপাখানার মালিকরা সরকারকে বারবার তাগিদ দিয়েছে। কারণ বেশি দাম দিয়েও তারা এতো কাগজ কিনতে পারছে না তারা। ফলে ব্যাহত হচ্ছে পাঠ্যবই ছাপার কাজ। সূত্র জানায়, ১ জানুয়ারি নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে। এবার প্রাথমিক ও  মাধ্যমিকে মোট শিক্ষার্থী ৪ কোটি ৩৪ লাখ ৩ হাজার ২৮৩ জন। সেজন্য ৪০ কোটি ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ২০২টি বই ছাপানো হচ্ছে। প্রাথমিকের ২ কোটি ৯ লাখ ৪৪ হাজার ৪৭৯ জন শিক্ষার্থীর জন্য ছাপানো হচ্ছে ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫৫ কপি বই। ইতোমধ্যে ছাড়পত্র হয়েছে ৬ কোটিরও বেশি বই। অর্থাৎ ৬৫ শতাংশের বেশি পাঠ্যবই সরবরাহ করা হয়েছে। মাধ্যমিক পর্যায়ের ২ কোটি ২৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮০৪ জন শিক্ষার্থীর জন্য ছাপানো হচ্ছে ৩০ কোটি ৯৬ লাখ ১২ হাজার ৮৪৭ কপি বই। এ সময়ে মাধ্যমিকের ৬ কোটি ২৫ লাখের বেশি পাঠ্যবইয়ের ছাড়পত্র বা সরবরাহ করা হয়েছে। তাছাড়া দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য সাড়ে ৮ হাজারের বেশি ব্রেইল বই ছাপা হচ্ছে। শিক্ষকদের জন্য প্রায় ৪১ লাখ সহায়িকা বই ছাপা হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় আশা ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব শিক্ষার্থীর হাতে সব বই পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে। কিন্তু ছাপাখানা মালিকদের মতে, গত এক মাস ধরে কাগজের সংকট থাকায় আগামী এপ্রিল মাসের আগে সব বই ছাপানোর কাজ শেষ হওয়া সম্ভব নয়। আর পাঠ্যবই না পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্কুলে যাওয়ার আগ্রহ কমেছে। ফলে স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও কমেছে। এদিকে সরকারি বিনামূল্যের বই ছাপা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রক ও বিপণন সমিতি সংশ্লিষ্টদের মতে, মন্ত্রণালয় ও এনসিটিবি থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব বই ছাপানোর কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। তবে বাস্তবতা ভিন্ন। ৪০ কোটির বেশি বই ছাপাতে প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার টন কাগজ লাগবে। এ বছর কাগজের পুরুত্ব ৮০ এবং উজ্জ্বলতা ৮৫ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বার্স্টিং ফ্যাক্টর নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে ১৬। ওই মানের কাগজ উৎপাদনের সক্ষমতা দেশের মাত্র ছয়-সাতটি প্রতিষ্ঠানের রয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী তারা কাগজ সরবরাহ করতে পারছে না। দামও বাড়ানো হয়েছে। তৃতীয় পক্ষ থেকে কাগজ নিতে আরো বেশি টাকা দেয়া লাগছে। কাগজ সংকট না থাকলে ছাপাখানাগুলোর দিনে ৪০ লাখ কপি বই ছাপানোর সক্ষমতা রয়েছে। গত এক মাস ধরে কাগজের সংকট রয়েছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স