দরজায় কড়া নাড়ছে অমর একুশে বইমেলা। বিগত এক দশকের মতো এবারও মেলার আয়োজন হচ্ছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে। মেলাকে কেন্দ্র করে বাংলাবাজারের প্রকাশনা সংস্থা, মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান ও বাঁধাই কারখানাগুলোতেও চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। প্রকাশনীগুলোতে লেখকরা পাণ্ডুলিপি পাঠিয়েছেন অনেক আগেই। সেগুলো মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান থেকে যাচ্ছে বাঁধাই কারখানায়। সেখানে চলছে বই বাঁধাইয়ের কাজ।
একটি বই প্রস্তুত করে বাজারে আনতে কয়েকটি পর্ব পার হতে হয়। পাণ্ডুলিপি তৈরি, কম্পোজ, প্রুফ দেখা, গ্রাফিক্সের কাজ, প্রচ্ছদ, পেইন্টিং, ছাপা, বাঁধাইসহ একটি বই প্রকাশ করতে ১৬ ধরনের কাজ করা হয়।
বাংলাবাজারের মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান, বাঁধাই কারখানা ও প্রকাশনীগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, কর্মচারীরা ভীষণ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। বাঁধাই কারখানা থেকে প্রকাশনীগুলোতে বই আনা-নেয়াতেও ব্যস্ত তারা। এ বিষয়ে এস এম লেমিনেশনের স্বত্বাধিকারী বাবুল শেখ বলেন, বিভিন্ন প্রকাশনী থেকে কাজ পেয়েছি। কাজের চাপ অনেক। এখন রাত ৩টা পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে।
এ বছরের বইমেলায় প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-অনন্যা প্রকাশনী থেকে ইমদাদুল হক মিলনের ‘রহস্যময় জঙ্গল বাড়ি’, মোস্তফা কামালের ‘ফটকুমামা গোয়েন্দা সমগ্র-২’, ‘কবি ও একজন নর্তকী’, সময় প্রকাশনী থেকে মুনতাসির মামুনের ‘জীবন এক রূপকথা’, অন্য প্রকাশ থেকে ‘শঙ্খচূড়-২’ ইত্যাদি।
অনন্যা প্রকাশনী থেকে ফারুক হোসেন বলেন, গত বছর মেলায় আমরা ১০০টির মতো বই প্রকাশ করেছিলাম। এবার এখন পর্যন্ত ৪০টির মতো নতুন বইয়ের কাজ এসেছে। সামনে এ তালিকা আরও বড় হবে। ধাপে ধাপে সব বইয়ের কাজ শেষ হবে।
সময় প্রকাশন থেকে আনিসুর রহমান বলেন, আমাদের প্রকাশনী থেকে এ বছর ৫০টির মতো বই প্রকাশ হবে। এর মধ্যে অনেকগুলো ছাপা হয়ে গেছে। এখন অন্য বইগুলোর কাজ চলছে। মেলা শুরুর ১০ দিনের মধ্যে সব বইয়ের কাজ শেষ হবে।
অন্য প্রকাশ থেকে জানানো হয়, মেলার জন্য এখন পর্যন্ত ১২-১৩টি বইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। তবে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নতুন প্রকাশিত সব বই মেলায় থাকবে। তবে এখন বইয়ের কাজ একটু কম।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

অমর একুশে বইমেলা
বেড়েছে বইপাড়ায় বড় ব্যস্ততা
- আপলোড সময় : ৩০-০১-২০২৫ ০৬:৪৩:২৬ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ৩০-০১-২০২৫ ০৬:৪৩:২৬ অপরাহ্ন


কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ