ঢাকা , রবিবার, ০১ জুন ২০২৫ , ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সুগন্ধি চাল রফতানির অনুমতি পেলো আরও ৫২ প্রতিষ্ঠান ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ঈদযাত্রায় ভোগান্তির শঙ্কা আম উৎপাদনে উত্তম কৃষি চর্চা সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে : কৃষি সচিব বনানীতে পেট্রোল ঢেলে প্রাইভেটকারে আগুন বনানীতে পেট্রোল ঢেলে প্রাইভেটকারে আগুন সেনাবাহিনীর হাতে এনসিপি নেতা গ্রেফতার সিরাজগঞ্জে ১৬ টন সরকারি চাল জব্দ আটক ৮ ঝিনাইদহ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আহত বাংলাদেশির মৃত্যু টাঙ্গাইলে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা, স্বামী পলাতক যশোরের শার্শা সীমান্তে বিদেশি অস্ত্রসহ দুই ব্যবসায়ী আটক শৈশবের ক্লাবে ফিরে গেলেন ডি মারিয়া রোনালদোর সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করতে চায় আল নাসর ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের বিরুদ্ধে উঠলো নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ উইন্ডিজের বিপক্ষে ইংলিশদের রানের পাহাড় ৯ বছর পর ফাইনালের টিকেট পেলো আরসিবি পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ জেতাতে চান হাসান আলি সাবেক বিসিবি সভাপতি ফারুকের দেশ ছাড়ার গুজব বিসিবির নতুন সভাপতি হলেন বুলবুল হোটেলে কথা কাটাকাটির জের বালিশচাপা দিয়ে প্রেমিকাকে হত্যা বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ ঝড়ো হাওয়া ভারী বৃষ্টি

বাড়ি দখলে নিতে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ

  • আপলোড সময় : ৩০-০১-২০২৫ ০৬:৩৮:৫২ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ৩০-০১-২০২৫ ০৬:৩৮:৫২ অপরাহ্ন
বাড়ি দখলে নিতে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ
গাজীপুর মহানগরের সদর থানাধীন পশ্চিম জয়দেবপুর গনি মুন্সিরটেক এলাকায় বাড়ি দখল করার জন্য ৭ম শ্রেণীর ছাত্র মো. ফাহিম (১৪) এর নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার বাবা শরীফুল ইসলাম সাজু। মিথ্যা মামলায় ফাহিম ও তার পরিবারের লোকজন গত ৪ মাস ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাদের দাবি মামলাটি সঠিক তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিলে আসল তথ্য বের হয়ে আসবে। এ ব্যাপারে ফাহিমের বাবা শরীফুল ইসলাম সাজু গাজীপুর পুলিশ কমিশনারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানা গেছে, গাজীপুরের পশ্চিম জয়দেবপুর গনি মুন্সিরটেক ওয়ার্ড নং-২৬ এলাকায় বাড়ি দখল করতে ১৪ বছরের সপ্তম শ্রেনির স্কুল পড়ুয়া মো. ফাহিম নামে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দিয়েছে বলে তার বাবা মো. শরীফুল ইসলাম সাজু অভিযোগ করেছেন। মিথ্যা মামলায় গত ৪ মাস ধরে এলাকা ছাড়া রয়েছে শরীফুল ইসলাম সাজুসহ তার পরিবারের লোকজন। তিনি মানবেতর জীবনযাপন করছেন। মো. মিজান (৪৫) পিতা মো. মোহন মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুল ইসলাম খোকন, মো. সাইফুল (৩৫) পিতা মো. মোহন মিয়া, মোসা. ফাতেমা (৫৫), স্বামী-মো. মিজান, মো. হিরা (৩০), মো. শাকিলসহ বেশ কয়েকজন মিলে তার জমি ও বাড়ি দখলের জন্য স্কুল ছাত্র ফাহিমের উপর হামলা করে এবং মিথ্যা মামলা করে এলাকা ছাড়া করেছে বলে শরীফুল ইসলাম সাজু অভিযোগ করেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ২৬ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে মোসা. হাসি (৩৪), স্বামী-মো. রুবেল বাদী হয়ে গাজীপুর সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় মো. ফাহিমকে এবং তার সঙ্গে মো. রমজান ও মো. শাওনকে অভিযুক্ত করা হয়। ভুক্তভোগি পরিবার অভিযোগ করে বলেন, মো. মিজান (৪৫) পিতা মো. মোহন মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুল ইসলাম খোকন, মো. সাইফুল (৩৫) পিতা মো. মোহন মিয়ার পরিকল্পনায় এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।
ফাহিমের পরিবারের দাবি, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করা হয়েছে। ফাহিমের মা বলেন, আমার ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমাদের পরিবারকে এলাকা ছাড়া করা হয়েছে। গত ২৫ নভেম্বর আমার ছেলে তার সপ্তম শ্রেণির পরিক্ষা দিতে নিজ এলাকা গাজিপুরে যায়। সেখানে তারা আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তারা আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলাপাতারিভাবে মাথা ও শরীরে আঘাত করে গুরুত্বর আহত করে। তারা মৃত ভেবে আমার ছেলেকে বাড়ির সামনে ফেলে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে এক রিক্সা চালক উদ্ধার করে গাজীপুর সদর শহীদ তাজ উদ্দীন মেডিকেল হাসপাতালের গেটে ফেলে চলে যায়। হাসপাতালে আমার ছেলেকে চিকিৎসা দেয় ডাক্তাররা। এ ব্যাপারে মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেইনি। উল্টো তারা আমার ছেলের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। তারা আমার স্বামীকে মেরে ফেলতে একাধিকবার হামলা চালিয়েছে। কিন্তু আমরা যতবার থানায় পুলিশের সাহায্য নিতে গিয়েছি পুলিশ কোনো সহায়তা করেনি। বর্তমানে তারা আমার ছেলেসহ সবাইকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। আমি ও আমার পরিবারের সবাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
ফাহিমের বাবা শরীফুল ইসলাম সাজু বলেন, তারা আমার ছেলেকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়েছে। মামলা দেয়ার পর থেকেই তারা আমাকে হত্যার চেষ্টা করছে। যার কারণে আমি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। তারা আমার ওপর নজরদারি করতে আমার মোবাইল ফোন হ্যাক করেছে। যার ফলে আমি কার সঙ্গে কথা বলছি, কী করছি সবকিছু তারা নজরদারি করছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আমি বাড়িতেও যেতে পারছি না। আমি গাজীপুর পুলিশ কমিশনার ও ওসির হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
গাজীপুর সদর থানার ওসি তদন্ত জানান, আমরা বাদীর মৌখিক জবানবন্দি পাওয়ার পর মামলা গ্রহণ করেছি এবং ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠিয়েছি। রিপোর্ট পাওয়ার পর ঘটনার প্রকৃত সত্য জানা যাবে। ইতোমধ্যে মামলায় উল্লেখিত তিন আসামির মধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং একজন এখনও পলাতক রয়েছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স