ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫ , ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
জন্মদিন উদযাপন করে সমালোচনার মুখে পড়লেন ইয়ামাল বিশ্বকাপজয়ী আলমাদাকে দলে ভেড়াচ্ছে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ ভুটানের সাথে জয় পেলো বাংলাদেশ ৪৩ বছর বয়সে ‘দ্য হান্ড্রেডে’ অভিষেক হতে যাচ্ছে অ্যান্ডারসনের শাস্তির সম্মুখীন হলেন স্টোকসরা বড় সাকিবের প্রত্যাশা; ছোট সাকিবও হবে অলরাউন্ডার ঢাকায় পৌঁছালো পাকিস্তান দল টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিংয়ে বড় লাফ দিলো রিশাদ বদলির আদেশ প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় মোট ১৪ এনবিআর কর্মকর্তা বরখাস্ত শতকোটি টাকা ব্যয়ে হচ্ছে গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর জুলাইয়ের চেতনায় একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব শেয়ারবাজারে ইসিতে ৪৩ হাজার পৃষ্ঠার নথি জমা দিয়েও বাছাইয়ে ফেল এনসিপি যৌক্তিক শুল্ক প্রত্যাশা বাংলাদেশের ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি চাল পাবে ৫৫ লাখ পরিবার-খাদ্য উপদেষ্টা ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্ল্যান্ট চুক্তি রিভিউ হবে-অর্থ উপদেষ্টা এ বছরের শেষ নাগাদ তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে চূড়ান্ত সুখবর-পরিবেশ উপদেষ্টা পঞ্চদশ সংশোধনীতে হাসিনা ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার চেষ্টা করেছিলেন : বদিউল আলম মজুমদার নিবন্ধন চাওয়া ১৪৪ দলই প্রাথমিক বাছাইয়ে অনুত্তীর্ণ ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও ৩৭৫

বাড়ি দখলে নিতে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ

  • আপলোড সময় : ৩০-০১-২০২৫ ০৬:৩৮:৫২ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ৩০-০১-২০২৫ ০৬:৩৮:৫২ অপরাহ্ন
বাড়ি দখলে নিতে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ
গাজীপুর মহানগরের সদর থানাধীন পশ্চিম জয়দেবপুর গনি মুন্সিরটেক এলাকায় বাড়ি দখল করার জন্য ৭ম শ্রেণীর ছাত্র মো. ফাহিম (১৪) এর নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার বাবা শরীফুল ইসলাম সাজু। মিথ্যা মামলায় ফাহিম ও তার পরিবারের লোকজন গত ৪ মাস ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাদের দাবি মামলাটি সঠিক তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিলে আসল তথ্য বের হয়ে আসবে। এ ব্যাপারে ফাহিমের বাবা শরীফুল ইসলাম সাজু গাজীপুর পুলিশ কমিশনারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানা গেছে, গাজীপুরের পশ্চিম জয়দেবপুর গনি মুন্সিরটেক ওয়ার্ড নং-২৬ এলাকায় বাড়ি দখল করতে ১৪ বছরের সপ্তম শ্রেনির স্কুল পড়ুয়া মো. ফাহিম নামে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দিয়েছে বলে তার বাবা মো. শরীফুল ইসলাম সাজু অভিযোগ করেছেন। মিথ্যা মামলায় গত ৪ মাস ধরে এলাকা ছাড়া রয়েছে শরীফুল ইসলাম সাজুসহ তার পরিবারের লোকজন। তিনি মানবেতর জীবনযাপন করছেন। মো. মিজান (৪৫) পিতা মো. মোহন মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুল ইসলাম খোকন, মো. সাইফুল (৩৫) পিতা মো. মোহন মিয়া, মোসা. ফাতেমা (৫৫), স্বামী-মো. মিজান, মো. হিরা (৩০), মো. শাকিলসহ বেশ কয়েকজন মিলে তার জমি ও বাড়ি দখলের জন্য স্কুল ছাত্র ফাহিমের উপর হামলা করে এবং মিথ্যা মামলা করে এলাকা ছাড়া করেছে বলে শরীফুল ইসলাম সাজু অভিযোগ করেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ২৬ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে মোসা. হাসি (৩৪), স্বামী-মো. রুবেল বাদী হয়ে গাজীপুর সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় মো. ফাহিমকে এবং তার সঙ্গে মো. রমজান ও মো. শাওনকে অভিযুক্ত করা হয়। ভুক্তভোগি পরিবার অভিযোগ করে বলেন, মো. মিজান (৪৫) পিতা মো. মোহন মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুল ইসলাম খোকন, মো. সাইফুল (৩৫) পিতা মো. মোহন মিয়ার পরিকল্পনায় এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।
ফাহিমের পরিবারের দাবি, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করা হয়েছে। ফাহিমের মা বলেন, আমার ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমাদের পরিবারকে এলাকা ছাড়া করা হয়েছে। গত ২৫ নভেম্বর আমার ছেলে তার সপ্তম শ্রেণির পরিক্ষা দিতে নিজ এলাকা গাজিপুরে যায়। সেখানে তারা আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তারা আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলাপাতারিভাবে মাথা ও শরীরে আঘাত করে গুরুত্বর আহত করে। তারা মৃত ভেবে আমার ছেলেকে বাড়ির সামনে ফেলে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে এক রিক্সা চালক উদ্ধার করে গাজীপুর সদর শহীদ তাজ উদ্দীন মেডিকেল হাসপাতালের গেটে ফেলে চলে যায়। হাসপাতালে আমার ছেলেকে চিকিৎসা দেয় ডাক্তাররা। এ ব্যাপারে মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেইনি। উল্টো তারা আমার ছেলের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। তারা আমার স্বামীকে মেরে ফেলতে একাধিকবার হামলা চালিয়েছে। কিন্তু আমরা যতবার থানায় পুলিশের সাহায্য নিতে গিয়েছি পুলিশ কোনো সহায়তা করেনি। বর্তমানে তারা আমার ছেলেসহ সবাইকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। আমি ও আমার পরিবারের সবাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
ফাহিমের বাবা শরীফুল ইসলাম সাজু বলেন, তারা আমার ছেলেকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়েছে। মামলা দেয়ার পর থেকেই তারা আমাকে হত্যার চেষ্টা করছে। যার কারণে আমি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। তারা আমার ওপর নজরদারি করতে আমার মোবাইল ফোন হ্যাক করেছে। যার ফলে আমি কার সঙ্গে কথা বলছি, কী করছি সবকিছু তারা নজরদারি করছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আমি বাড়িতেও যেতে পারছি না। আমি গাজীপুর পুলিশ কমিশনার ও ওসির হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
গাজীপুর সদর থানার ওসি তদন্ত জানান, আমরা বাদীর মৌখিক জবানবন্দি পাওয়ার পর মামলা গ্রহণ করেছি এবং ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠিয়েছি। রিপোর্ট পাওয়ার পর ঘটনার প্রকৃত সত্য জানা যাবে। ইতোমধ্যে মামলায় উল্লেখিত তিন আসামির মধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং একজন এখনও পলাতক রয়েছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স