ঢাকা , বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
মেধাস্বত্ব সংরক্ষণে সেল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ ইউজিসির বিপুল আমদানিতেও ভোজ্যতেলের বাজার অস্থিতিশীল চিন্ময় দাসের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল মুক্তিযোদ্ধা তথ্যভাণ্ডার তৈরিতে অনিয়ম এ সরকারও কুমিল্লা থেকে খুনের ইতিহাস শুরু করেছে-শামসুজ্জামান দুদু যুব সমাজ দেশে জীবন ও জীবিকার নিশ্চয়তা পাচ্ছে না-জিএম কাদের ট্রাম্পের শুল্কনীতির অস্থিরতায় বিশ্ব অর্থনীতির ঝুঁকি বাড়ছে সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন বাড়ছে পাচার অর্থ ফেরাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা ২৩৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্রয় কমিটিতে ১২ প্রস্তাব অনুমোদন প্রশাসন ক্যাডারের তরুণদের হতাশা-ক্ষোভ গুচ্ছে থাকছে ২০ বিশ্ববিদ্যালয় ৯ বছরেও ফেরেনি রিজার্ভ চুরির অর্থ কারাগার থেকে ফেসবুক চালানো সম্ভব নয় ৮ ফেব্রুয়ারি ছয় সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ-আসিফ নজরুল এক সপ্তাহ পর ক্লাসে ফিরলেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা কোটায় উত্তাল জাবি সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনব্যবস্থা সমর্থন করছি না-মান্না চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের ৪৬ নেতাকর্মী গ্রেফতার বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত আজ
* হাজার হাজার ট্রেনের যাত্রী চরম দুর্ভোগের শিকার * ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় স্টেশনে বিক্ষুব্ধ যাত্রীদের ভাঙচুর * যাত্রীরা ফিরে যাচ্ছেন বিকল্প পরিবহনে, দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া

রেল যোগাযোগ বন্ধ

  • আপলোড সময় : ২৮-০১-২০২৫ ১১:৫৮:২২ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৮-০১-২০২৫ ১১:৫৮:২২ অপরাহ্ন
রেল যোগাযোগ বন্ধ রেলওয়ের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে মঙ্গলবার সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। অবশ্য রেল কর্তৃপক্ষ বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে স্টেশন থেকে বিআরটিসি বাসে করে গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেছে। ছবিটি ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে তোলা
বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। গত সোমবার মধ্যরাতের পর থেকেই সারাদেশে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। যারা আগে থেকেই ট্রেনের টিকিট কেটে রেখেছেন এবং কর্মবিরতি সম্পর্কে জানতেন না, তারা গতকাল মঙ্গলবার সকালে থেকে রাজধানীর কমলাপুর, তেজগাঁও ও বিমানবন্দরসহ সারাদেশের বিভিন্ন রেলস্টেশনে এসে ভিড় করেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে অনেকেই বাড়ি ফিরে গেছেন। অনেকেই বিকল্প পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে গন্ত্যব্যে পৌঁছেছেন। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের হাজার হাজার যাত্রীরা এই ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। এছাড়াও রাজশাহীতে রেলের স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে ট্রেন না ছাড়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে যাত্রীরা স্টেশনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। স্টেশনে যাত্রীদের বসার জন্য থাকা চেয়ার ও স্টেশনের ভেতরের বিভিন্ন রুমের দরজা ভাঙচুর করেছে ক্ষুব্ধ ট্রেনের যাত্রীরা।
জানা গেছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার সারাদেশে রেল যোগাযোগ অচল হয়ে পড়ে। কবে নাগাদ এই কর্মবিরতি শেষ হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। আন্দোলনকারীরা বলছেন, দাবি না মানা পর্যন্ত তারা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন। অন্যদিকে, রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা সরকারের সাথে এ বিষয়ে কথা বলছে, কীভাবে বিষয়টা দ্রুত সমাধান করা যায়, তা নিয়ে দফায় দফায় আলোচনা চলছে। তবে স্টাফদের কর্মবিরতিতে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলেও রেলওয়ের পক্ষ যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে বিকল্প হিসেবে বিআরটিসি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
যারা আগে থেকেই ট্রেনের টিকিট কেটে রেখেছেন এবং কর্মবিরতি সম্পর্কে জানতেন না, তারা সকাল থেকে স্টেশনে এসে ভিড় করেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে অবশেষে তারা ফিরে গেছেন। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ টিকিটধারীদের টিকিটের টাকা রিফান্ড করে দিয়েছেন। বয়স্ক বাবা ও সন্তানকে নিয়ে জামালপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন খুরশিদ আক্তার নামের একজন নারী। আগেই টিকিট কেটে রেখেছিলেন তিনি। ফলে মঙ্গলবার ভোরে শনির আখড়ার বাসা থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে আসেন। এসে জানতে পারেন ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সকাল ৯টা পর্যন্ত টানা অপেক্ষা করে অবশেষে তিনি ফিরে যান। ক্ষোভ প্রকাশ করে খুরশিদ আক্তার বলেন, শনির আখড়া থেকে বৃদ্ধ বাবা এবং বাচ্চা নিয়ে এত দূরে আসলাম। এখন শুনি ট্রেন চলছে না। বৃদ্ধ বাবাকে নিয়ে বাসে যাওয়া কঠিন। এতক্ষণ অপেক্ষা করলাম, ট্রেন মঙ্গলবার চলার কোনো সম্ভাবনা আছে বলে মনে হচ্ছে না। মাইকে বারবার টিকিট ফেরত নেয়ার কথা ঘোষণা করছে। তাই টিকিট ফেরত দিয়ে তিনি চলে যান।
রেলওয়ের রানিং স্টাফরা মাইলেজের ভিত্তিতে পেনশন ও আনুতোষিক প্রদান এবং নিয়োগপত্রের দুটি শর্ত প্রত্যাহারের জন্য কর্তৃপক্ষকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। অন্যথায় ২৮ জানুয়ারি থেকে তারা ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন। গত বুধবার ২২ জানুয়ারি দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর বটতলী পুরনো রেলস্টেশনে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা এ ঘোষণা দিয়েছিলেন। রেলওয়ের রানিং স্টাফ বলতে ট্রেনের চালক, সহকারী চালক, গার্ড ও টিকিট পরিদর্শকদের (টিটিই) বোঝানো হয়। আট ঘণ্টার কর্মদিবস থাকলেও তাদের গড়ে ১৫১৮ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। এ কারণে তাদের বেতনের সঙ্গে বিশেষ আর্থিক সুবিধা দেয়া হয়, যা রেলওয়ের পরিভাষায় মাইলেজ নামে পরিচিত। প্রতি ১০০ কিলোমিটার ট্রেন চালালে রানিং স্টাফরা মূল বেতনের এক বেসিক সমপরিমাণ অর্থ বেশি পান। আট ঘণ্টাকে এক দিনের কর্মদিবস ধরা হলে তাদের মাসিক কাজ দুই-তিন মাসের সমপরিমাণ হয়ে দাঁড়ায়। সে অনুযায়ী তাদের বেতনও প্রদান করা হয়। অবসরকালীন ভাতা হিসেবেও তাদের মূল বেতনের হিসেবে যে ভাতা হয়, তার সঙ্গে অতিরিক্ত ৭৫ শতাংশ অর্থ দেয়া হয়। তবে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রণালয় এ মাইলেজ সুবিধা বাতিল করে। এরপর থেকেই বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদ ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করে আসছে।
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে জানা গেছে, প্রতিদিন কমলাপুর থেকে ৪০ জোড়া আন্তঃনগর এবং ২৪ জোড়া মেইল ট্রেন ছেড়ে যায়। রানিং স্টাফদের কর্মবিরতি যদি প্রত্যাহার না হয় তাহলে সারাদিন এসব ট্রেনের কোনটিই ছেড়ে যাবে না। আন্দোলনকারীদের কর্মসূচি প্রত্যাহার না হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বার্তায় জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকী জানান, ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় রেলের বিকল্প হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ রেল রুটগুলোতে যাত্রী পরিবহনের জন্য বিআরটিসি বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ও বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে চট্রগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা, কুমিল্লা, বগুড়া ও ময়মনসিংহগামী যাত্রীরা তাদের ক্রয়কৃত রেল টিকিট ব্যবহার করে বিআরটিসি বাস সার্ভিসের মাধ্যমে ভ্রমণ করতে পারবেন এবং এ সকল স্থান থেকে ঢাকাতে এই সার্ভিসের মাধ্যমে আসতেও পারবেন। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বিআরটিসির এই বাস সার্ভিস চালু থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বার্তায়।
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে ট্রেন ছাড়ছে না। যদি তারা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে তবেই হয়তো ট্রেন ছাড়বে। এখনই নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না। ট্রেন না ছাড়লে যাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। এজন্য যেকোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে কমলাপুর স্টেশনে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে।
অপরদিকে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রেলওয়ের রানিং স্টাফরা গত সোমবার মধ্যরাত থেকে রাজশাহীর কোনো ট্রেন ছাড়েননি। রেলের স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে ট্রেন না ছাড়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে যাত্রীরা স্টেশনে ভাঙচুর চালিয়েছেন। স্টেশনে যাত্রীদের বসার জন্য থাকা চেয়ারগুলো ভাঙচুর করে। এ সময় ক্ষুব্ধ যাত্রীরা স্টেশনের ভেতরের বিভিন্ন রুমের দরজা ভাঙচুর করে।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টা ২০ মিনিটে রাজশাহী রেলস্টেশন থেকে চিলাহাটির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেন। তবে রেলের স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে ট্রেন না ছাড়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন যাত্রীরা। তাদের অভিযোগ, এখনো অনলাইনে টিকিট বিক্রি করছে রেল কর্তৃপক্ষ। যদি ট্রেন বন্ধ থাকে তাহলে কেন টিকেট বিক্রি করা হচ্ছে। হঠাৎ করে আন্দোলনের ঘোষণা দেয়ায় অধিকাংশ যাত্রী জানতেন না সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। এ অবস্থায় যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে রেল স্টেশনের চেয়ার ভাঙচুর করে। এছাড়া রেলের এক কর্মচারীকে মারধর করা হয়। পরে বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা রেলওয়ের দুইজন স্টাফকে আটকে রাখে এবং ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার দাবি তোলেন।
এ বিষয়ে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন স্টেশন ম্যানেজার শহিদুল আলম বলেন, ট্রেন চলাচল বন্ধের কারণে যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে চেয়ার ভাঙচুর করেছে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কাউন্টারে টিকিটের টাকা ফেরত দেয়া হবে। এছাড়া যারা অনলাইনে টিকিট কিনেছেন আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে তারাও টাকা ফেরত পাবে। বর্তমানে স্টেশনের পরিবেশ শান্ত আছে।
এদিকে সারাদেশের ন্যায় কুমিল্লাতেও চলছে রেলওয়ের রানিং স্টাফ (গার্ড, লোকোমাস্টার, টিটিই) ঐক্য পরিষদের কর্মবিরতি। ফলে দেখা নেই ট্রনের, দুর্ভোগে পড়েছে ট্রেনে চলাচলকারী যাত্রীরা। হতাশ হয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। তারা বিকল্প উপায়ে গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। দুপুর নাগাদ কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশন থেকে চট্টগ্রামগামী মহানগর এক্সপ্রেস, বিজয় এক্সপ্রেস, তুর্ণা এক্সপ্রেস, উদয়ন এক্সপ্রেস, মহানগর প্রভাতী ও ঢাকাগামী সুবর্ণচর এক্সপ্রেস, উপকূল, চট্টলা ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও কোনো ট্রেনই কুমিল্লা স্টেশনে আসেনি। এতে ট্রেনের জন্য অপেক্ষমান যাত্রীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শেখ আনোয়ার হোসেন বলেন, রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে এখন পর্যন্ত কুমিল্লায় প্রায় ৬টি ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। আমরা যথাযথভাবে দ্বায়িত্ব পালন করছি এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এছাড়াও রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন থেকে কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি। ফলে স্থবির রেলস্টেশনে যাত্রী চরম যাত্রী ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে নারী-শিশুদের নিয়ে স্টেশনে এসে টিকিট ফেরত দিয়ে ফিরে গেছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিট থেকে বিকেল পর্যন্ত সিলেট থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি। ঢাকাগামী কালনি এক্সপ্রেস ৬ টা ১৫ মিনিটে নির্ধারিত সময়ে যাত্রা শুরু করতে পারেনি। এতে বিপাকে পড়েছেন সিলেটের হাজারখানেক যাত্রী।
অপরদিকে রেলওয়ের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতিতে সারাদেশের মতো ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে চুয়াডাঙ্গাতেও। গত সোমবার মধ্যরাত থেকেই চুয়াডাঙ্গা থেকে বিভিন্ন রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মিজানুর রহমান বলেন, কর্মবিরতির কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ট্রেন চলাচলের বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। যাত্রীরা আসছেন, ফিরে যাচ্ছেন। গতকাল মঙ্গলবারের যাত্রার টাকা যাত্রীদের রিফান্ড করা হয়েছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স