ঢাকা , রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সড়ক-রেলপথ অবরোধ: ২১ জেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, ইউপি চেয়ারম্যান আটক ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সড়ক-রেলপথ অবরোধ: ২১ জেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, ইউপি চেয়ারম্যান আটক সালথা প্রেসক্লাবের সভাপতি নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজেপির ডেমরা থানার কমিটিতে সেলিম মিয়া আহবায়ক ও মাহবুবুর রহমানকে সদস্য সচিব কমিটি ঘোষণা এস এইচ কে এস সি শিক্ষার্থীদের ‘হ্যাপি ওরিয়েন্টেশন’ অনুষ্ঠিত করদাতার ওপর অস্বাভাবিক চাপ সৃষ্টির শঙ্কা নারায়ণগঞ্জে গুলি করে কুপিয়ে ছিনতাই ভিডিও ভাইরাল গণতন্ত্রের উত্তরণের জন্য নির্বাচন ছাড়া কোনো পথ নেই- দুদু কানাডা প্রবাসীদের জন্য ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম চালু অর্থনীতিতে অশনি সংকেত শত শত কারখানা বন্ধ এপিবিএন অধিনায়কের প্রত্যাহারচাওয়া নিয়ে তোলপাড় নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সুশীলা কার্কি শাহজাহানপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ২ গণপরিবহনে সংরক্ষিত হচ্ছে না যাত্রীদের অধিকার জাবি শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসের দাফন সম্পন্ন জাকসুর ফল প্রকাশে বিলম্ব ক্ষোভ বাড়ছে শিক্ষার্থীদের ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যেই নির্বাচন হবে-প্রেস সচিব বিচারপতি ড. আখতারুজ্জামানের পদত্যাগ গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি তিনজন কারাগারে সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের প্রবেশ পদ ৯ম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবি
বিশ্লেষকদের অভিমত

ট্রাম্পের প্রথম দিনের আদেশে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বাংলাদেশের স্বার্থ

  • আপলোড সময় : ২৩-০১-২০২৫ ০৪:৪৪:৪৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৩-০১-২০২৫ ০৪:৪৪:৪৩ অপরাহ্ন
ট্রাম্পের প্রথম দিনের আদেশে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বাংলাদেশের স্বার্থ
যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতেই যেসব নির্বাহী আদেশ দিয়েছেন, তা কার্যকর হলে সেখানে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। এর বাইরে বাংলাদেশের কিছু স্বার্থেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ার ঝুঁকি আছে। ঢাকা ও ওয়াশিংটনের বাংলাদেশি বিশ্লেষকেরা গতকাল মঙ্গলবার এমন আশঙ্কার কথা জানান। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ট্রাম্পের সই করা ৬-৭টি আদেশের কারণে রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেকের স্বার্থ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি আছে। হুমায়ুন কবিরের ধারণা, কোনো রকম বৈধ কাগজপত্র ছাড়া যারা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন, তাদের অনেককে দেশটি ছাড়তে হতে পারে। জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে তাতেও অনেক পরিবারের কিছু সদস্যের সেখানে অবস্থান করা দুরূহ হয়ে পড়তে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেকের বসবাস অনিশ্চিত হয়ে গেলে সেখান থেকে আসা প্রবাসী আয়ও কমতে পারে, এমনটা মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে আসা রেমিট্যান্সের শীর্ষ উৎসগুলোর একটি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে দেশে যে ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলার প্রবাসী আয় এসেছে তার মূল উৎস যথাক্রমে সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব। একই সঙ্গে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে অবস্থান করা প্রবাসী বাংলাদেশি ও বৈধ উপায়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের কোনো ঝুঁকি নেই। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ঠিক কত মানুষ আছে, সে বিষয়ে নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান নেই। তবে তাদের সংখ্যা ৩ লাখ থেকে ৫ লাখ হতে পারে বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। ওয়াশিংটনের একটি কূটনৈতিক সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে বৈধভাবে অবস্থান করছেন এমন বাংলাদেশির সংখ্যা ২ লাখ হতে পারে। ট্রাম্প বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলার জন্য করা আন্তর্জাতিক প্যারিস চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিতে যে আদেশ দিয়েছেন, তাতেও বাংলাদেশের কিছু স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বড় দাতা দেশগুলোর একটি। দেশটির অনুদান বন্ধ হয়ে গেলে সংস্থাটিকে ব্যয় সংকোচনে যেতে হতে পারে। এতে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে সংস্থাটির মাধ্যমে আসা সহায়তা কমতে পারে। আবার জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় ওপরের দিকেই রয়েছে বাংলাদেশ। প্যারিস চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে গেলে এর আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে যে অর্থ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়ার কথা রয়েছে, তা বিঘ্নিত হওয়ার ঝুঁকি আছে। এ ছাড়া ট্রাম্প শরণার্থীদের বিষয়ে একটি আদেশে সই করায় বাংলাদেশে আশ্রিত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ পরোক্ষভাবে বঞ্চিত হতে পারেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকদের একটি অংশ। বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন কমতে পারে বলে মনে করেন তারা। গতকাল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্র্যাসি জ্যাকবসনের আলাপে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গটি গুরুত্ব পায়। উপদেষ্টা আরও বেশি রোহিঙ্গাকে যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসনের আহ্বান জানান। জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত জানান, ইতিমধ্যে প্রায় ১৭ হাজার রোহিঙ্গাকে যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসন করা হয়েছে। ওয়াশিংটন থেকে একজন কূটনীতিক বলেন, ট্রাম্পের কিছু আদেশের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন এমন অনেকে আদালতে মামলা করতে শুরু করছেন। এ কারণে প্রেসিডেন্টের কোন আদেশ কতটুকু ও কবে নাগাদ কার্যকর হবে, সে বিষয়ে এখনই অনুমান করা মুশকিল। যেমন জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকারটি সংবিধানে সন্নিবেশিত থাকায় এটি স্থায়ীভাবে বাতিল করতে সংবিধান সংশোধন করার প্রয়োজন হবে। আইন সভার উভয় কক্ষে তা অনুমোদিত হতে হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ