ঢাকা , বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫ , ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
জন্মদিন উদযাপন করে সমালোচনার মুখে পড়লেন ইয়ামাল বিশ্বকাপজয়ী আলমাদাকে দলে ভেড়াচ্ছে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ ভুটানের সাথে জয় পেলো বাংলাদেশ ৪৩ বছর বয়সে ‘দ্য হান্ড্রেডে’ অভিষেক হতে যাচ্ছে অ্যান্ডারসনের শাস্তির সম্মুখীন হলেন স্টোকসরা বড় সাকিবের প্রত্যাশা; ছোট সাকিবও হবে অলরাউন্ডার ঢাকায় পৌঁছালো পাকিস্তান দল টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিংয়ে বড় লাফ দিলো রিশাদ বদলির আদেশ প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় মোট ১৪ এনবিআর কর্মকর্তা বরখাস্ত শতকোটি টাকা ব্যয়ে হচ্ছে গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর জুলাইয়ের চেতনায় একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব শেয়ারবাজারে ইসিতে ৪৩ হাজার পৃষ্ঠার নথি জমা দিয়েও বাছাইয়ে ফেল এনসিপি যৌক্তিক শুল্ক প্রত্যাশা বাংলাদেশের ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি চাল পাবে ৫৫ লাখ পরিবার-খাদ্য উপদেষ্টা ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্ল্যান্ট চুক্তি রিভিউ হবে-অর্থ উপদেষ্টা এ বছরের শেষ নাগাদ তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে চূড়ান্ত সুখবর-পরিবেশ উপদেষ্টা পঞ্চদশ সংশোধনীতে হাসিনা ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার চেষ্টা করেছিলেন : বদিউল আলম মজুমদার নিবন্ধন চাওয়া ১৪৪ দলই প্রাথমিক বাছাইয়ে অনুত্তীর্ণ ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও ৩৭৫
মরে যাচ্ছে অন্য মাছের পোনা ও জলজ প্রাণি

বরগুনায় নিষিদ্ধ বেহন্দি জালে চিংড়ি আহরণ

  • আপলোড সময় : ২০-০১-২০২৫ ১১:৪৬:৩৫ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২০-০১-২০২৫ ১১:৪৬:৩৫ অপরাহ্ন
বরগুনায় নিষিদ্ধ বেহন্দি জালে চিংড়ি আহরণ
সুমন রশীদ, আমতলী (বরগুনা)
বরগুনার জেলার তালতলী উপজেলার বঙ্গোপসাগরের উপকূলে নিষিদ্ধ আইন অবমাননা করে ছোট ফাসের বেহন্দি জাল দিয়ে  ভুলা চিংড়ি (ছোট চিংড়ি) আহরণে জেলেরা মহৌৎসবে মাতোয়ারা। বিশেষ করে নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত চিংড় ভুলা (ছোট চিংড়ি) আহরণ করে থাকে। এ সকল চিংড়ি মাছের সাথে বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছ ও জলজ প্রাণী নিধন হচ্ছে। সেই সাথে ধ্বংস হচ্ছে সামুদ্রিক নানা প্রজাতির জীববৈচিত্র। সর্বোচ্চ ১ ইঞ্চি ও তার ছোট সাইজের এই চিংড়ি মাত্র ৯০ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকে।
স্থানীয়ভাবে এই চিংড়ি মাছকে ভুলা চিংড়ি বলা হয়। এটি বড় মাছের খাদ্য সৃঙ্খল হিসেবে পরিচিত। নিষিদ্ধ জাল দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করায় এ অঞ্চলে প্রাকৃতিক মৎস্যসম্পদসহ সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করেছেন এই খাতের গবেষকরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, তালতলীর ফকির ঘাট, হাঁসার চর, নিশানবাড়িয়া, নিদ্রাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে নিষিদ্ধ বেহন্দি জাল দিয়ে ভুলা চিংড়ি আহরণ করছে অন্তত ৪ শতাধিক জেলেরা।
স্থানীয় আড়ৎদার ও চাতাল মালিকরা দাদন দিয়ে দরিদ্র জেলেদের সাগরে পাঠাচ্ছে এ ভুলা চিংড়ি শিকারের জন্য। আবার অনেক আড়ৎদার ট্রলার জাল ও জ্বালানি তেলসহ সকল সরঞ্জামাদি কিনে দিয়ে সাগরে পাঠাচ্ছেন জেলেদের। বঙ্গোপসাগরের অনতি দূরে উপকূল এলাকায় জাল ফেলে এ মাছ শিকার করা হয়। স্থানীয় অড়ৎদারের মাধ্যমে পাইকারি ব্যবসায়ীরা ঢাকাসহ সারা দেশে চালান করে বিক্রি করছে এ চিংড়ি। আবার কিছু মাছ চাতাল মালিকরা শুঁটকি করেও বাস-ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি করছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, এভাবে ছোট চিংড়ি শিকার করলে একদিকে বড় মাছের খাদ্য শৃঙ্খলে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে অন্যদিকে বিভিন্ন প্রজাতির বড় মাছের পোনা মারা যাবে।
শুধু ফকিরঘাট বাজারের বিএফডিসি ঘাট থেকে প্রতিদিন প্রায় ৭০/৮০ টন ভুলা চিংড়ি (ছোট চিংড়ি) স্থানীয় অড়ৎদারের মাধ্যমে পাইকারি ব্যবসায়ীরা ঢাকাসহ সারা দেশে চালান করে বিক্রি করছে। ফকিরঘাট ছাড়াও অন্যান্য স্পটে এর আড়ৎ থেকে প্রতিদিন প্রায় ১৫ টন মাছ বিক্রি হচ্ছে। জেলরা সমুদ্র থেকে অন্য মাছের পোনা ও জলজ প্রাণী বেছে ফেলে দিয়ে শুধু চিংড়ি নিয়ে আসেন। বিপুল পরিমাণ এ সকল ভুলা চিংড়ির সাথে ধ্বংস হচ্ছে নানাপ্রজাতির মাছের পোনা ও জলজ প্রাণি। ফকিরঘাট কোষ্টগার্ড, নিদ্রা নৌ পুলিশ তালতলী মৎস্য অফিসসহ সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নামমাত্র দু’একটি অভিযান পরিচালনা করলেও বন্ধ হচ্ছে না ভুলা চিংড়ি শিকার।
তালতলী উপজেলার ফকির ঘাটের কয়েকজন জেলে বলেন, আমরা সারা বছর মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি। বর্তমানে অন্য মাছ না থাকায় ও ভুলা মাছ লাভজনক হওয়ায় এই মাছ ধরি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফকির ঘাটের একাধিক জেলে জানান, নিষিদ্ধ জাল দিয়ে ভুলা মাছ ধরার জন্য প্রতি গোণে (অমাবস্যা-পূর্ণিমা) আমাদের নিকট থেকে ৩ হাজার টাকা করে চাঁদা নেয়া হয়। ফকিরঘাট মৎস্য আড়ৎদার সমিতির সেক্রেটারি মজিবর ফরাজী চাঁদার টাকা আদায় করেন বলে জেলেরা জানান। 
তবে মজিবর ফরাজি এ চাঁদা আদায়ের কথা অস্বীকার করেন। এ বিষয় তালতলী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর ভাইন দৈনিক জনতাকে জানান, অমাদের নামে চাঁদা নেয়ার যে অভিযোগ উঠেছে এটি সত্য নয়, ছোট ফাসের বেহন্দি জাল দিয়ে ভুলা মাছ শিকার করা অবৈধ, তবে আমরা প্রতি মাসে অভিযান পরিচালনা করলেও মাছ পাই কিন্তু মাছ শিকারের জাল পাওয়া যায় না। এ সকল অবৈধ জাল পেলে আমরা অগুন দিয়ে পুড়ে বিনষ্ট করে দেই।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য