ঢাকা , বুধবার, ২১ মে ২০২৫ , ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
কলমবিরতির প্রভাবে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার জট ভারতীয় গরু নিয়ে শঙ্কায় খামারিরা কোরবানির চামড়া সংগ্রহে দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ীরা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে বিআরটিএ কালো টাকা সাদা করার সব সুযোগ চিরতরে বাতিল চায় টিআইবি শেরপুরে বন্যার শঙ্কা নটরডেম কলেজে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু রহস্যের জট খুলছে না বৃষ্টি ও তীব্র যানজটে ভোগান্তিতে নগরবাসী মহার্ঘ ভাতার বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনায়-অর্থ উপদেষ্টা জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে স্থানীয় নির্বাচন হোক-সারজিস ১৫ বছর ধরে প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতার ভিত্তি নষ্ট করা হয়েছে-বাণিজ্য উপদেষ্টা সুপরিকল্পিতভাবে জাতীয় নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা চলছে-ফখরুল জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির কর্মসূচি স্টারলিংকের যাত্রা শুরু বাংলাদেশে মাসে সর্বনিম্ন খরচ ৪২০০ টাকা ব্যক্তিগত আক্রমণ করে লাভ নেই, আদালতে লড়তে হবে-আসিফ মাহমুদ মেয়র হিসেবে ইশরাকের শপথ না পড়ানো নিয়ে রিটের আদেশ আজ দাবির ইস্যুতে ক্লান্ত ঢাকা ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের ১৮২২.৯৮ কোটি টাকা দাবি করে হাইকোর্টে আবেদন দায়ের কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত নুসরাত ফারিয়া সাত মাস ধরে বাসায় আটকে ধর্ষণ, গায়ক নোবেল কারাগারে

সিন্ডিকেটের কবজায় বিমানের টিকিট

  • আপলোড সময় : ২০-০১-২০২৫ ০৩:২৭:০৯ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২০-০১-২০২৫ ০৩:২৭:০৯ অপরাহ্ন
সিন্ডিকেটের কবজায় বিমানের টিকিট
বিমানের টিকিটের বেলায় অসহায় হয়ে পড়েন যাত্রীরা ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের টিকিট সিন্ডিকেট। গ্রুপ টিকিট নিয়ে সংকট তৈরি করে বাড়ানো হচ্ছে দাম। নির্ধারিত কিছু ট্রাভেল এজেন্সিকে সঙ্গে নিয়ে এ কাজে সিন্ডিকেট তৈরি করছে বিমানের অসাধু কর্মকর্তারা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিমানের যাত্রীরা। বিমানকে সিন্ডিকেটের হাত থেকে বাঁচাতে সরকারকে জিরো টলারেন্স নীতিতে যাওয়ার পরামর্শ এভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের। জানা গেছে, চাহিদা বাড়লে বিমানের টিকেটের দাম বাড়বে, এটা নতুন কিছু নয়। তবে যদি তিন-চার গুণ বেড়ে যায়, তখন স্বাভাবিকভাবেই তা সবার নজরে পড়ে। কিন্তু নজরে এলেও বিমানের টিকিটের বেলায় যেন অসহায় হয়ে পড়েন যাত্রীরা। এর বড় উদাহরণ গত মে মাসের মালয়েশিয়াগামী কর্মীরা। ৩০ হাজার টাকার টিকিট লাখ টাকার বিনিময়ে কেটেও ফ্লাইট পাননি অনেকে। কেবল যে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোই বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক রুটের টিকিটের দাম বাড়াচ্ছে এমন নয়, বেড়ে যায় অভ্যন্তরীণ রুটের টিকিটের দামও। অভ্যন্তরীণ রুটের যে টিকিটের দাম পড়ে ৩ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৯ থেকে ১১ হাজার টাকা। সূত্র জানায়, এয়ারলাইন্সের টিকেটের প্রকৃতমূল্য এবং সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের অযৌক্তিকভাবে টিকেটের মূল্য বৃদ্ধি করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এয়ারলাইন্সের টিকেটের মূল্যের পাশাপাশি ভ্রমন কর বা ট্রাভেল ট্যাক্স সকল এয়ারলাইন্সই গন্তব্যভেদে আদায় করে থাকে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো বাংলাদেশেএকশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট তৈরী করে বাংলাদেশ বিমানসহ অন্যান্য বিদেশী এয়ারলাইন্সের টিকেটের মূল্য অযৌক্তিকভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে। এই ধরণের অসাধু তৎপরতার মাধ্যমে যাত্রীসাধারণের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ তৈরী করে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সমূহের মধ্যে বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন অথরিটি, বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়, আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভুক্তভোগী যাত্রীরা। অন্যদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে বেশ কয়েকটি ওয়াইড বোডাইড যাত্রী পরিবহণ এয়ারক্রাফট রয়েছে। যেগুলো নিয়মিতভাবে বিভিন্ন আন্তজার্তিক রুটে চলাচল করে। অথচ প্রতিবছর এই এয়ারলাইন্সটিকে কোটি কোটি টাকা লোকশান দিতে হয়। প্রকৃতপক্ষে একটি দুর্নীতিপরায়ণ প্রশাসনের সহযোগিতায় দীর্ঘদিন যাবত একটি ব্যবসায়ীক সিন্ডিকেট এই অভিজাত প্রতিষ্ঠানটিকে লুটেপুটে খাচ্ছে। এক বিজ্ঞপ্তিতে বৈশ্বিক এয়ারলাইনসগুলোর আন্তর্জাতিক জোট ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ) জানায়, বাংলাদেশে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর পাওনা প্রায় ৩২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আটকে আছে। অবিলম্বে এ অর্থ পরিশোধের তাগাদাও দিয়েছে সংস্থাটি। সংস্থাটির প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সহসভাপতি ফিলিপ গোহকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদেশি মুদ্রা ব্যবহারে কৌশলী হওয়া দেশগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি সরকারের জন্য একটা কঠিন চ্যালেঞ্জও বটে। তবে সময়মতো এবং কার্যকর পদ্ধতিতে দেনা পরিশোধকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বিমান সংযোগ হ্রাস ঠেকানো, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন, বিদেশি বিনিয়োগ এবং রফতানির সম্ভাবনাকে ঠিক রাখার জন্যই এটি জরুরি। অবশ্য বাংলাদেশে বিদেশি এয়ারলাইনসের টাকা আটকে থাকার ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। গত বছরের জুনেও একবার পাওনা আদায়ের তাগিদ দিয়েছিল আইএটিএ। সে সময় সংস্থাটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর প্রায় ২১৪ দশমিক ১ মিলিয়ন ডলার আটকা পড়েছে। বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর বিপুল পরিমাণ ডলার আটকে থাকায় সামনের দিনগুলোতে এই ডলারের ভবিষ্যৎ মুনাফা ধরে দাম নির্ধারণ করায় বাংলাদেশ থেকে টিকিটের দাম আরও বাড়তে পারে। এমন শঙ্কা এভিয়েশন খাতসংশ্লিষ্টদের। তারা বলছেন, এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি এয়ারলাইনস তাদের ফ্লাইট সংখ্যা কমিয়েছে। ফলে ভবিষ্যতে বিদেশ যাত্রার ক্ষেত্রে নানা জটিলতায় পড়তে পারেন বাংলাদেশি যাত্রীরা। আটাবের সভাপতি আবদুস সালাম আরেফ বলেন, ডলারসংকটের কারণে এয়ারলাইনসগুলো ডলার নিতে পারছে না নিজ দেশে। তবে কিছু প্রভাবশালী এয়ারলাইনস অল্প করে ধাপে ধাপে তাদের আটকা পড়া ডলার দেশে পাঠাচ্ছে। কিন্তু বাকি অনেকেই ভুগছেন তাদের আটকা পড়া এই মূলধন নিয়ে। এর ফলে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলো এ দেশে তাদের ফ্লাইট সংখ্যা কমিয়ে দিচ্ছে। এয়ারলাইনসগুলো ব্যবসা করতে এসেছে এই দেশে। তারা টিকিট বিক্রি করল, টাকা সংগ্রহ করল, কিন্তু দেশে নিতে পারছে না। এভাবে কেউ ব্যবসা করবে? এটার অ্যাফেক্ট হচ্ছে বিভিন্ন এয়ারলাইনস তাদের ফ্লাইট কমিয়ে দিচ্ছে। এতে টিকিটের দাম আরও বেড়ে যাবে। আবার বাংলাদেশ থেকে টিকিটের দাম বেশি-এ কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বিদেশ বা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে সেই একই টিকিট কমে কেনা যায় এমন অভিযোগ আছে অনেক গ্রাহকের। এ বিষয়ে আবদুস সালাম আরেফ বলেন, এর বড় কারণ হলো এই যে এখানে টাকা আটকে থাকে। কস্ট অব ফান্ড বেড়ে যায়। বিদেশি এয়ারলাইনসগুলো টিকিটের দাম বাড়িয়ে তাদের কস্ট অব ফান্ড অ্যাডজাস্ট করছে। এতে দেশের ক্ষতি হচ্ছে। অন্যদিকে কম দামের যে টিকিটগুলো আছে, সেগুলো তারা বাংলাদেশে বন্ধ করে দিচ্ছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স