ঢাকা , শনিবার, ৩১ মে ২০২৫ , ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
আমতলীতে শহিদ রাষ্টপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকীতে সেচ্ছায় রক্তদান ও আলেচনা সভা মগবাজারে কুপিয়ে ব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার ৩ ২ জুন বাজেট ঘোষণা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নিহত বাংলাদেশের জন্য জাপান গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার : প্রেস সচিব বাড়ছে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা সরকারের আশ্বাসে প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ডিসেম্বরের আগেই জাতীয় নির্বাচন দেয়া সম্ভব -তারেক রহমান দেশে গণতন্ত্রের নিরাপদ যাত্রা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে : খালেদা জিয়া নির্বাচন ইস্যুতে এনসিপির সমালোচনায় ববি হাজ্জাজ আনু মুহাম্মদের স্ট্যাটাসে আসিফ নজরুলের বিস্ময় প্রকাশ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ উত্তাল নগর ভবনে পা রাখলেন ইশরাক আরও উজ্জীবিত আন্দোলনকারীরা সচিবালয়ে কর্মচারীদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা প্রশাসনে ১০ মাসেও ফেরেনি শৃঙ্খলা ভারী বৃষ্টিতে বন্যার শঙ্কা শেখ হাসিনার আমলে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে একসঙ্গে কাজ করবে সরকার, ইসি ও জাতিসংঘ মিডিয়ার হেডলাইন দেখে মন্তব্য করা যায় না-ইশরাক ইস্যুতে সিইসি নানামুখী চাপে দেশের অর্থনীতি
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়

একরাম হক চৌধুরী ব্যাংক ঋণ খেলাপি তদন্ত চলছে

  • আপলোড সময় : ২৩-১২-২০২৪ ১০:০৭:২৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৩-১২-২০২৪ ১০:৩৩:৪৩ অপরাহ্ন
একরাম হক চৌধুরী ব্যাংক ঋণ খেলাপি তদন্ত চলছে
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রশাসন-২) মো. একরাম হক চৌধুরী। তার পরিচিতি নং ১১৩৭০ (নন ক্যাডার)। তিনি ব্যবসায়ী পরিচয়ে ইস্টার্ন ব্যাংক থেকে তিন কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন, যা বর্তমানে খেলাপি হয়ে পড়েছেন। এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ে তদন্ত চলছে। এছাড়া, প্রিমিয়ার ব্যাংক থেকেও সাড়ে চার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে খেলাপি হওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে, যা মন্ত্রণালয়ে জমা পড়েছে। এ বিষয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে আলোচনা চলছে।
সূত্র জানায়, একরাম হক চৌধুরী ঘুষের বিনিময়ে এসব চিঠি তদন্ত কাজ থামিয়ে দেয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের তৎপরতা চালাচ্ছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সরকারি চাকরি বিধির বিরুদ্ধে গিয়ে তিনি মুক্তা এন্টারপ্রাইজের ট্রেড লাইসেন্স ও অংশীদারদের দলিল জমা দিয়ে ব্যবসায়িক সুবিধা নিয়েছিলেন এবং তার ৪১% শেয়ার উল্লেখ করেছিলেন।
গত ১১ সেপ্টেম্বর, প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের মাওনা শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মেহেদী হাসান মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ পাঠান। এতে বলা হয়েছে, একরাম হক চৌধুরী ২০১৬ সালে প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের মাওনা শাখা থেকে ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন, যা ২০২৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সুদসহ ৪ কোটি ৯৮ লাখ ৮৩ হাজার ২৯০ টাকা ৬০ পয়সায় পৌঁছেছে। ঋণটি ২০২২ সালের ৪ এপ্রিল মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে খেলাপি হয়ে গেছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, একরাম হক চৌধুরী সরকারি চাকরি জীবনে তথ্য গোপন করে বেআইনিভাবে ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত হয়ে ব্যাংক ঋণ গ্রহণ করেছেন এবং নানা স্থানে সম্পত্তি ক্রয় করে ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণ খেলাপি হয়েছেন।
এদিকে, একরাম হক চৌধুরী গত বছরের ২৮ আগস্ট এনআইএন ১৮৮১ মোতাবেক একটি আইনি নোটিশ প্রাপ্ত হয়েছেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব আব্দুল আল জাকী স্বাক্ষরিত এক অভিযোগে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মকর্তা পরিচয়ে ব্যবসায়িক শেয়ার নিয়ে তিন কোটি টাকা ঋণ খেলাপি হওয়ার বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়ে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের মাওনা শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মেহেদী হাসান জানান, একরাম হক চৌধুরী মুক্তা এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজিং পার্টনার হিসেবে সাড়ে চার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। পরে তারা জানতে পারেন যে, তিনি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব। বিষয়টি তারা লিখিতভাবে মন্ত্রণালয়ের সচিবকে জানিয়ে দিয়েছেন।
এদিকে, একরাম হক চৌধুরী জানান, তিনি মন্ত্রণালয়ের সচিবের সাথে কথা বলে লিখিতভাবে অনুমতি নিয়ে ব্যাংক ঋণ নিয়েছিলেন এবং এটি তার পারিবারিক ব্যবসা ছিল। তিনি আরও বলেন, ঋণ পরিশোধের জন্য ইতোমধ্যে তার ব্যবসায়িক সহযোগীর নামে মামলা দিয়েছেন এবং মন্ত্রণালয়ের সচিবের অনুমতির লিখিত কপি দু-একদিনের মধ্যে দেখাবেন।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স