ঢাকা , সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
২১৩০ কোটি টাকায় আলেকজান্ডারকে দলে ভেড়ালো লিভারপুল ফাইনাল হেরে কর্মকর্তার মুখে থুতু দিলেন সুয়ারেজ! ভায়োকানোর বিপক্ষে হোঁচট খেলো বার্সা মাঠে ডিম পাড়লো পাখি, এক মাসের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো স্টেডিয়াম পুরুষদের থেকেও বেশি প্রাইজমানি ঘোষণা নারী বিশ্বকাপে! পোরশায় ডেঙ্গু সহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালিও পরিছন্নতা অভিযান অনুষ্ঠিত অক্টোবরে বাংলাদেশ সফরে আসছে উন্ডিজ বিপিএলে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব পেল ‘আইএমজি’ সাইমন টোফেলকে নিয়োগ দিলো বিসিবি কর্মশালার মাধ্যমে জাপানিজ ভাষা শিক্ষা দিচ্ছে আর আর গ্রুপ নির্বাচন সামনে রেখে ষড়যন্ত্রের ডালপালা মেলতে শুরু করেছে নুর ভালো আছেন তবে ব্যথা আছে -ঢামেক পরিচালক বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ফের রাজনীতিতে বাড়ছে উত্তাপ হলে রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ প্রত্যাহার চায় বাম ছাত্রসংগঠনগুলো পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার ‘বাঘ’ আসতে বাধা কোথায় ১২৩ সংগঠন ১৬০৪ বার অবরোধ করেছে-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চবিতে সংঘর্ষে আহত দেড় শতাধিক নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন রাষ্ট্রপতি বই মুদ্রণে আন্তর্জাতিক দরপত্রের সিদ্ধান্ত হয়নি

মিয়ানমার থেকে আসা চাল নিয়ে তোলপাড়

  • আপলোড সময় : ১৯-১২-২০২৪ ১২:১২:৪১ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৯-১২-২০২৪ ১২:১২:৪১ পূর্বাহ্ন
মিয়ানমার থেকে আসা চাল নিয়ে তোলপাড়
টেকনাফ প্রতিনিধি
কক্সবাজারের টেকনাফ বন্দরে মিয়ানমারের মংডু থেকে আমদানি করা চালের একটি চালান নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। রাখাইনের মংডু দখলের পর গত মঙ্গলবার আরাকান আর্মির ছাড়পত্র নিয়ে চালভর্তি ট্রলার আসলেও গতকাল বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত খালাসের অনুমতি দেয়নি টেকনাফ বন্দরের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। গত মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আরাকান আর্মির স্বাক্ষরিত কাগজপত্রসহ ১৯ মেট্রিক টন ওজনের চালের চালানটি কক্সবাজারের টেকনাফ বন্দরে পৌঁছায়।
জানা গেছে, কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে টেকনাফ কাস্টমস সঠিক নথিপত্রের অভাব পায়। এ কারণে চালানটি খালাস না করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
জানতে চাইলে টেকনাফ স্থলবন্দরে শুল্ক কর্মকর্তা বি এম আবদুল্লাহ আল মাসুম বলেন, মংডু থেকে আসা চালভর্তি ট্রলারের কাগজপত্র জটিলতার কারণে মালামাল খালাসের অনুমতি দেয়া হয়নি। তাদের কাছে মালামালের কোনও সঠিক ছাড়পত্র নেই। তা ছাড়া চাল নিয়ে আসা আমদানিকারকের মিয়ানমার থেকে চাল আনার অনুমতি নেই খাদ্য মন্ত্রণালয়ের। সঠিক কাগজপত্র না দেখাতে পারলে চালভর্তি ট্রলারটি পুনরায় রাখাইনে ফেরত যেতে হবে।
সম্প্রতি আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের উত্তরাঞ্চল দখল করে বাংলাদেশের সঙ্গে ২৭০ কিলোমিটার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ করার দাবি করেছে। এরপর থেকে টেকনাফ উপজেলার অপর পাশে মংডু জেলায় উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। এই অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশ এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি কীভাবে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে তারা যোগাযোগ স্থাপন করবে।
এদিকে, কাস্টমসে জমা দেয়া কাগজপত্র যাচাই করে দেখা যায়, আরাকান পিপলস অথরিটির অধীনে আরাকান কাস্টমস সার্ভিস নামে আরাকান আর্মির পক্ষ থেকে চালের এই চালানের কাগজপত্র অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কাগজপত্রের ওপরে আরাকান পিপলস গভর্নমেন্টের সিলও মারা হয়েছে। আরাকান ভাষায় লেখা এ কাগজপত্রের দুটি সই রয়েছে। এর আগে, রিপাবলিক অব দ্য ইউনিয়ন অব মিয়ানমারের অধীনে কাস্টমস ডিপার্টমেন্ট এই সমস্ত কাগজপত্র সরবরাহ করতো।
অন্যদিকে, রাখাইনের মংডু শহর আরাকান আর্মির দখলে নেয়ার পর গত মঙ্গলবার বিকালে প্রথমবারের মতো চালভর্তি ট্রলার টেকনাফ স্থলবন্দর ঘাটে পৌঁছে। এটি নিয়ে আসেন রোহিঙ্গা মো. জামাল হোসেন মাঝি। তার বাড়ি মিয়ানমারের মংডু জাম্বুনিয়া গ্রামে।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের মংডুর খাইয়ুংখালী খাল থেকে আরাকান আর্মির পাস নিয়ে ৩৮৪টি চালের বস্তা নিয়ে টেকনাফ স্থলবন্দরে পৌঁছেছি। কিন্তু একদিন পার হয়ে গেলেও কাগজপত্র জটিলতার কারণে চালগুলো এখনও খালাস হয়নি।
তিনি আরও বলেন, রাখাইনের মংডু শহরের ব্যবসায়ী টু মেং সি নামে একজন ব্যবসায়ী আরাকান আর্মির ছাড়পত্রে চালগুলো তাদের উপস্থিতিতে ট্রলারে লোড করা হয়। পরে এক ঘণ্টার পথ পাড়ি দিয়ে এখানে পৌঁছি। এসময় নাফ নদে বিজিবি ও কোস্টগার্ড বোটটি তল্লাশি করেছিল। মূলত আমরা চার জন মাঝিমাল্লা এই ব্যবসায়ীর চালভর্তি ট্রলারটি নিয়ে ভাড়ায় এসেছি। পুরো মংডু শহরটি এখন আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে চলছে। এর আগে থেকে স্থলবন্দরে আমার ট্রলার নিয়ে আসা-যাওয়া রয়েছে।
স্থলবন্দর ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা জানান, কয়েকজন রোহিঙ্গা মিলে স্থানীয় ও চট্রগ্রামের ব্যবসায়ীরা মিলে আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণাধীন রাখাইনের মংডু শহর থেকে ১৯ টন (৩৮৪ বস্তা) চাল প্রথমে ট্রেড লিংক মেরিন লাইন কোম্পানির স্বত্বাধিকারী মো. সেলিমের কাছে ট্রলারটি আসে। কিন্তু তার খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে চাল আমদানির অনুমতি না থাকায় আরেক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স জিন্না অ্যান্ড ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী শওকত আলী চৌধুরীর কাছে শরণাপন্ন হন চালের মালিকরা। চালগুলো ঘাটে আসা পর্যন্ত ৪৬ টাকা কেজি দামে পড়েছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী মো. সেলিম বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি না থাকায় চালগুলো খালাস করা যায়নি। চালের মালিকরা অন্য আমদানিকারকের শরণাপন্ন হয়েছেন। যতটুকু জেনেছি, এখনও চালগুলো খালাস হয়নি। ট্রলারটি এখনও ঘাটে নোঙরে আছে। টেকনাফ স্থলবন্দরের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা মেজর (অব.) এ এস এম আলমগীর হোসেন বলেন, রাখাইনের মংডু শহর থেকে আসা ট্রলারভর্তি চাল খালাসের অনুমতি পায়নি। সঠিক নথির অভাবে চালগুলো খালাসের ছাড়পত্র দেয়নি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। যার কারণে এখনও ঘাটে ট্রলারটি নোঙরে রয়েছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য