ঢাকা , সোমবার, ০২ জুন ২০২৫ , ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বঞ্চনার গল্প যেন অরণ্যেরোদন চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলে ৩ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিলেন কর্মচারীরা রাষ্ট্র সংস্কারে উপেক্ষিত নারী তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু-আইন উপদেষ্টা শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি প্রথমবারের মতো বিটিভির স্টুডিও থেকে হচ্ছে বাজেট ঘোষণা ঘাটতি কমানোর লক্ষ্য নিয়ে নতুন বাজেট আজ দুধ শুধু পণ্য নয় এটি সংস্কৃতির অংশÑ মৎস্য উপদেষ্টা রাঙামাটিতে টানা বৃষ্টি পাহাড় ধসের ঝুঁকি সিলেটে টিলা ধসে একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু বিজিএমইএ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে ‘ফোরাম’ প্যানেল বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে লাশ নিয়ে গেছে বিএসএফ জাপা চেয়ারম্যানসহ ২৮০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার মামলা ঝিনাইদহে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত আহত ৪ কেএনএফের ইউনিফর্ম জব্দের ঘটনায় কারখানা মালিক রিমান্ডে মবের নামে নাশকতার সুযোগ নেই আরও ১১ জনকে পুশইন, মোট সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে নয় অঞ্চলের ওপর দিয়ে ৬০ কিমি. বেগে ঝড়ের আভাস সিলেট-মৌলভীবাজারের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় পরিবার

১০ দিনেও ফেরেননি ভারতে আটক ৭৮ বাংলাদেশি নাবিক-জেলে

  • আপলোড সময় : ১৮-১২-২০২৪ ১০:১৭:১৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৯-১২-২০২৪ ১২:০০:৪৯ পূর্বাহ্ন
১০ দিনেও ফেরেননি ভারতে আটক ৭৮ বাংলাদেশি নাবিক-জেলে
দিনযাপন দশ দিনেও ফেরেননি সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ভারতীয় কোস্টগার্ডের হাতে আটক দুই ফিশিং জাহাজের ৭৮ জন বাংলাদেশি জেলে-নাবিক। কবে তারা ফিরবেন তা-ও সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা। এদিকে, আটক জেলেদের নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন স্বজনরা। প্রতিদিনই স্বজনরা আটক জেলে-নাবিকদের খবর জানতে ধরনা দিচ্ছেন ফিশিং জাহাজ মালিকদের অফিসে। দ্রুত উদ্যোগ নিয়ে তাদের ভারত থেকে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন তারা। তবে জাহাজ মালিকরা জানিয়েছেন, ভারতীয় কোস্টগার্ডের হাতে আটক দুই জাহাজের ৭৮ জেলে-নাবিক সুস্থ আছেন। খাবারের কোনও সমস্যা নেই। তাদের সঙ্গে প্রতিদিনই কথা হচ্ছে। দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি নির্ভর করছে সরকারের ওপর। মো. আমির হোসেন নামে এক স্বজন গতকাল বুধবার সকালে বলেন, এফ ভি মেঘনা-৫ জাহাজে আমার ছেলে মো. রিয়াজ (২৬) রয়েছে। গত ২৪ নভেম্বর মাছ ধরার জন্য সাগরে যায়। এরপর থেকে তার কোনও খবর পাওয়া যাচ্ছে না। কোথায় আছে, কেমন আছে তা-ও বুঝতে পারছি না। ঘরে তার স্ত্রী আমেনা খাতুন ও ১৪ মাস বয়সী মেয়ে রায়সা আক্তার রয়েছে। ছেলের ফিরে আসতে দেরি হওয়ায় তার মা সাফিয়া খাতুনও দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। ‘এফ ভি মেঘনা-৫’ জাহাজের নাবিক রিয়াজের মতো বাকি নাবিক-জেলেদের স্বজনদেরও দিন কাটছে চরম দুশ্চিন্তায়। গত ৯ ডিসেম্বর দুপুরে সুন্দরবনের হিরণ পয়েন্ট এলাকায় মাছ ধরার সময় দুটি ফিশিং ট্রলার ধরে নিয়ে যায় ভারতীয় কোস্টগার্ড। জাহাজ দুটির মধ্যে একটি ‘এফ ভি লায়লা-২’। এই ফিশিং জাহাজটির অপারেশন কোম্পানির নাম ‘এস আর ফিশিং’। অপর ফিশিং জাহাজ ‘এফ ভি মেঘনা-৫’-এর অপারেশন কোম্পানির নাম সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেড। লায়লা-২ জাহাজটিতে নাবিকসহ ৪১ জন এবং মেঘনা-৫ এ ৩৭ জন জেলে ছিলেন। ভারতের ওড়িশা রাজ্যের জগৎসিংহপুর জেলার অন্তর্গত এই প্যারাদ্বীপ বন্দরে আটক জাহাজ দুটি নোঙর করে রাখা হয়েছে। এস আর শিপিং-এর সিএফও মিন্টু সাহা বলেন, ভারতীয় কোস্টগার্ডের হাতে আটক নাবিক-জেলেসহ দুই জাহাজ ছাড়াতে আমাদের সমিতির নেতৃবৃন্দসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিজিসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে আমরা ধরনা দিয়েছি। যেহেতু অন্য একটি দেশ জাহাজগুলো নিয়ে গেছে সেহেতু বিষয়টি এখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিষয় হয়ে গেছে। তারা জানিয়েছেন, আটক জেলে-নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে আরও ১৫-২০ দিন লাগবে। অর্থাৎ ডিসেম্বরের শেষের দিকে তাদের ফিরিয়ে আনা হতে পারে। এখানে আমাদের করার কিছুই নেই। তবে আটক জাহাজের নাবিক-জেলেরা ভালো আছেন। তাদের সঙ্গে আমাদের প্রতিদিন কথা হচ্ছে। খাবারের কোনও সমস্যা নেই। লায়লা-২ জাহাজের সবজি শেষ হয়ে গিয়েছিল। গত মঙ্গলবার ভারতের কোস্টগার্ড সবজি এনে দিয়েছে। বাকি খাবার এখনও জাহাজে মজুত আছে। সেগুলো দিয়ে আরও কয়েকদিন চলবে। তিনি আরও বলেন, ‘লায়লা-২ জাহাজটি গত ২৭ নভেম্বর মাছ ধরার জন্য সাগরে যায়। ২০ ডিসেম্বর সাগর থেকে মাছ ধরা শেষে ফিরে আসার কথা ছিল। এর মধ্যে ৯ ডিসেম্বর জাহাজটিকে বঙ্গোপসাগরের খুলনা সুন্দরবনের হিরণ পয়েন্টে মাছ ধরার সময় ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড। এ জাহাজে ৪১ জন নাবিক-জেলে রয়েছেন। মেঘনা-৫ ফিশিং জাহাজের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহেদ বলেন, জাহাজসহ নাবিকদের ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে ধরনা দিয়ে যাচ্ছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কাজ শুরু করেছে। কখন নাবিক-জেলেরা দেশে ফিরবেন তা বুঝতে পারছি না। তবে নাবিক-জেলেরা ভালো আছেন। তাদের সঙ্গে আমাদের প্রতিদিনই কথা হচ্ছে। তারা জানিয়েছেন সুস্থ আছেন। তিনি আরও বলেন, এফ ভি মেঘনা-৫ ফিশিং জাহাজে গত ২৪ নভেম্বর মাছ ধরার জন্য সাগরে যায়। ১৪ ডিসেম্বর ফিরে আসার কথা ছিল। এরই মধ্যে ৯ ডিসেম্বর দুপুর ১১টা কিংবা ১২টা নাগাদ জাহাজটিকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড। জাহাজ দুটি ভারতের ওড়িষ্যার প্যারাদ্বীপ নামক এলাকায় নোঙর করেছে বলে জানতে পেরেছি। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে ভারতের পক্ষ থেকেও। ভারতীয় কোস্টগার্ডের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের এক পোস্টে জাহাজ দুটির ছবি পোস্ট করে লেখা হয়েছে, আইনি প্রক্রিয়ার জন্য জাহাজ দুটিকে প্যারাদ্বীপে নেওয়া হয়েছে। ভারতীয় সংস্থাটির দাবি, বাংলাদেশি জাহাজ দুটি ভারতের জলসীমায় প্রবেশ করে অননুমোদিতভাবে মাছ ধরছিল। এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তরের পরিচালক মো. আবদুস ছাত্তার বলেন, বঙ্গোপসাগরের খুলনা সুন্দরবন এলাকায় মাছ ধরার সময় ভারতীয় কোস্টগার্ড কর্তৃক ধরে নিয়ে যাওয়া দুই জাহাজসহ ৭৮ নাবিক-জেলেদের ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চলছে। বিষয়টি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মাছ ধরার জাহাজসহ নাবিক-জেলেদের নিরাপদে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। কবে আনা যাবে তা নির্দিষ্ট করে কিছুই বলা যাচ্ছে না।
তবে বিগত বহু বছর তারা কড়ায় গন্ডায় প্রতিদান আদায় করেছে। আজও ফারাক্কার পানি সমস্যার নিরসন হয়নি। সীমান্তে মানুষ মারা হচ্ছে। ভারতের বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশে অনাকাঙ্ক্ষিত বন্যার সৃষ্টি করা হয়। তারা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেয়। ডা. জাহিদ বলেন, স্বৈরাচারের দোসরদের বিচার বহু বছর পর হয়েছে। সুতরাং, আগামীতেও সেরকম হবে না, সেটি ভাবার কিছু নেই। তারা (আওয়ামী লীগ) বাড়ি-ঘর দখল ও গায়েবি মামলা দিয়ে নির্যাতন করেছে। আল্লাহ তার বান্দাকে অবকাশ দেন, যদি কেউ তার বুঝতে পারে। কিন্তু তা না হলে কী পরিণতি হয় সেটির জন্য অপেক্ষা করতে হয়। এত পরিমাণ গুম খুন ও লুট করেও রক্ষা হয়নি। নিজেকে বাঁচানোর ভয়ে আপনি (সালমান এফ রহমান) নিজের দাড়ি কামিয়েছেন। অতএব, অহংকার পতনের মূল। প্রত্যেকটা কাজের হিসাব কিন্তু আগামী প্রজন্মের কাছে দিতে হবে। কেউ হয়তো নেদারল্যান্ড গেছেন। কলকাতা গেছেন। কেউ চট করে দেশে ঢোকার চেষ্টা করছেন। সৎসাহস থাকলে ঢোকেন বিচারের মুখোমুখি হোন। তিনি বলেন, আমরা রাষ্ট্র মেরামত করার লক্ষ্যে ৩১ দফা নিয়ে কাজ করছি। অতিদ্রুত জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। এরশাদের পতনের সময় কতদিন পর নির্বাচন হয়েছিল, সেটি সবারই মনে থাকার কথা। নির্বাচন করতে কতদিন লাগে সেটি দেশের মানুষ জানে। যেহেতু পতিত স্বৈরাচার সরকার সাড়ে ১৫ বছরে দেশের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে। সেজন্যই সব রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করছে। কিন্তু যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দিতে হবে। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে বলেন, সব সংস্কার তো আপনারা করতে পারবেন না। কখন নির্বাচন হবে সেটা স্পষ্ট করুন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন একরকম। আবার তার প্রেস সচিব বলেন আরেক রকম। আপনাদেরকে তো আমরা সবাই মিলে সহযোগিতা করছি। আপনারা কে কথা বলবেন দায়িত্ব নিয়ে বলুন। না হলে মানুষ বিভ্রান্ত হবে। সভাপতির বক্তব্যে ১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, স্বাধীনতার মাস ডিসেম্বরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদের স্বাধীনতার গৌরব ছিনতাই করতে চায়। বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ যুদ্ধ করে অপরিসীম ত্যাগ শিকার করেছেন। আমরা নরেন্দ্র মোদির মন্তব্যকে ঘৃণা করি, প্রত্যাখ্যান করি। ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে যে ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে, সেটি কেউ বিনষ্ট করতে পারবে না। আগামীতেও সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যেকোনও ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করবে, ইনশাআল্লাহ। বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, নরেন্দ্র মোদির মন্তব্য বাংলাদেশের অস্তিত্বকে অস্বীকার করার শামিল। রক্ত দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে কেউ ষড়যন্ত্র করলে আমরা দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে তার দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে পিছপা হবো না। ১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান ও জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়াতে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বেপারী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মুহাম্মদ ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এম এ মান্নান প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দলের (পিএনপি) ফিরোজ মো. লিটন। সমাবেশ পরিচালনা করেন বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজউদ্দিন টিটু।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স