ঢাকা , শনিবার, ৩১ মে ২০২৫ , ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
আমতলীতে শহিদ রাষ্টপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকীতে সেচ্ছায় রক্তদান ও আলেচনা সভা মগবাজারে কুপিয়ে ব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার ৩ ২ জুন বাজেট ঘোষণা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নিহত বাংলাদেশের জন্য জাপান গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার : প্রেস সচিব বাড়ছে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা সরকারের আশ্বাসে প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ডিসেম্বরের আগেই জাতীয় নির্বাচন দেয়া সম্ভব -তারেক রহমান দেশে গণতন্ত্রের নিরাপদ যাত্রা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে : খালেদা জিয়া নির্বাচন ইস্যুতে এনসিপির সমালোচনায় ববি হাজ্জাজ আনু মুহাম্মদের স্ট্যাটাসে আসিফ নজরুলের বিস্ময় প্রকাশ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ উত্তাল নগর ভবনে পা রাখলেন ইশরাক আরও উজ্জীবিত আন্দোলনকারীরা সচিবালয়ে কর্মচারীদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা প্রশাসনে ১০ মাসেও ফেরেনি শৃঙ্খলা ভারী বৃষ্টিতে বন্যার শঙ্কা শেখ হাসিনার আমলে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে একসঙ্গে কাজ করবে সরকার, ইসি ও জাতিসংঘ মিডিয়ার হেডলাইন দেখে মন্তব্য করা যায় না-ইশরাক ইস্যুতে সিইসি নানামুখী চাপে দেশের অর্থনীতি

নির্বাচনি রোডম্যাপ চূড়ান্ত করবে নির্বাচন কমিশন

  • আপলোড সময় : ১৮-১২-২০২৪ ০২:২৪:৩৭ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৮-১২-২০২৪ ০২:২৪:৩৭ অপরাহ্ন
নির্বাচনি রোডম্যাপ চূড়ান্ত করবে নির্বাচন কমিশন
সংবিধান এবং নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ও সুপারিশ দেখেই আনুষ্ঠানিকভাবে এই নির্বাচনি রোডম্যাপ চূড়ান্ত করবে নির্বাচন কমিশন। কেননা নির্বাচনি সংস্কারের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-সহ অন্যান্য নির্বাচন আইনকানুন সংশোধন করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের জন্য আমরা প্রথম দিন থেকেই কাজ শুরু করেছি। জাতীয় নির্বাচনের জন্য যেসব প্রস্তুতির দরকার তার সবই আমাদের রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় নির্বাচনের যে সময়ের ইঙ্গিত দিয়েছেন, সেই অনুযায়ী নির্বাচন করতে আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। গতকাল মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এ কথা বলেন। স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে সিইসি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের যে ইঙ্গিত দিয়েছেন সেটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তিনি স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে কোনো কিছু বলেননি। আমাদের যারা স্টেকহোল্ডার, রাজনৈতিক দল... তারাও সংসদ নির্বাচনের কথা বলেছে। তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের থেকে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা বলেছেন। কাজেই আমরা সংসদ নির্বাচনের কথা ভাবছি। সীমানা পুনঃনির্ধারণ প্রশ্নে তিনি বলেন, সীমানা পুনঃনির্ধারণ হবে ন্যায্যতার ভিত্তিতে। অতীতের সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে যদি কোনো অনিয়ম হয়, কোনো প্রার্থীকে জেতানোর জন্য বা কাউকে হারানোর জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কোনো সীমানা পুনর্র্নিধারণ হয়ে থাকে... আমরা সেটি অবশ্যই দেখব। ২০০১ সালের সীমানায় হবে না, বর্তমানেরটার ভিত্তিতে হবে, বিষয়টি তা নয়। আমরা ন্যায্যতার ভিত্তিতে এটা করব। তিনি আরও বলেন, দুই মাস আমাদের হাতে একটি নতুন চূড়ান্ত ভোটার তালিকা আসবে। এরপর আমরা বাড়িবাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করব। অনেকে মারা গেছেন, অনেকে বাদ পড়েছেন, অনেক বিদেশিরা ভোটার হয়েছেন... ভোটারের ডুপ্লিকেশন হয়েছে এমন তথ্য আমরা পাচ্ছি। এগুলো যাচাই-বাছাই করে আমরা ওই তালিকা সংশোধন করব। ওই সংশোধিত তালিকার আলোকেই ভোট হবে। নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন কিনা? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, প্রধান উপদেষ্টা একটা সময়সীমাতো ঘোষণা করেছেন। সেই অনুযায়ী আমরা এগোবো। আমরা পাবলিক কি কোনো রোডম্যাপ ঘোষণার চিন্তা করছি না? তবে, কাজ করার জন্য আমাদের নিজস্ব একটি কর্মপরিকল্পনা তো থাকবেই। এদিকে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) দায়িত্ব নিয়েই নীরবে নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কাজ করে যাচ্ছে। জানুয়ারির মধ্যে সংস্কার কমিশনগুলোর প্রতিবেদন দেখে নির্বাচনি সংস্কারের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চের মধ্যে নির্বাচনি আইন প্রণয়নের ব্যবস্থা নেবে সংশ্লিষ্ট কমিটি। ভোটার তালিকা হালনাগাদের বিষয়ে ইতোমধ্যে চিঠি ইস্যু করেছে নির্বাচন কমিশন। গত রবিবার সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণসংক্রান্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক করেছে কমিশন। সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন মালামাল সংগ্রহের বিষয়েও কাজ চলছে। জানা গেছে, এসবের পাশাপাশি আইন ও বিধিমালা সংস্কার কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ, সীমানা পুননির্ধারণ, নির্বাচন প্রস্তুতি, ভোট কেন্দ্র স্থাপন, ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুত ও তদারকি কমিটির প্রধান আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, প্রশাসনিক সংস্কার এবং পুনর্বিন্যাস ও দক্ষতা উন্নয়ন সংক্রান্ত কমিটির প্রধান তহমিদা আহমদ এবং জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকা, নির্বাচন ব্যবস্থাপনা তথ্যপ্রযুক্তি প্রয়োগ কমিটির প্রধান আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তারা কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন। নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ গনমাধ্যমকে বলেন, প্রস্তুতি তো থাকতেই হবে। সবাই আমরা একটা ভালো কিছু চাই, সেটাই হবে। একটি সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। গুরুত্ব অনুযায়ী কাজগুলো এগিয়ে যাচ্ছে। এদিকে আগামী ২ জানুয়ারি ভোটার তালিকা হালনাগাদের খসড়া প্রকাশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এরপর নতুন ভোটারদের ভুলভ্রান্তি সংশোধনে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৫ দিন আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হবে। ভোটার তালিকার বিষয়ে অন্যদের কোনো দাবি-আপত্তি থাকলে, সেই বিষয়ে ১৭ জানুয়ারির মধ্যে আবেদন করা যাবে। এরপর ইসি দাবি আপত্তিগুলোর নিষ্পত্তি করবে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে। আর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ২ মার্চ। ইসি জানিয়েছে, মাঠ কর্মকর্তাদের ইতোমধ্যে একটি নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখা-২ এর সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, হালনাগাদ করা ভোটার তালিকার খসড়া আগামী ২ জানুয়ারি প্রকাশ করা হবে। এরপর ভুলভ্রান্তি বা কারও কোনো দাবি আপত্তি থাকলে ১৭ জানুয়ারির মধ্যে আবেদন জানাতে পারবেন। এরপর দাবি আপত্তিগুলোর নিষ্পত্তি করতে হবে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে। আর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ২ মার্চ। অন্যদিকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিমূলক কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে তৈরি হচ্ছে নির্বাচনি রোডম্যাপ। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে এবং পরের কার্যক্রমের ধারাবাহিক বর্ণনা থাকছে এই কর্মপরিকল্পনায় (রোডম্যাপ)। এক্ষেত্রে নির্বাচনি মালামাল কেনাকাটা থেকে শুরু করে গেজেট প্রকাশ পর্যন্ত সব কাজের সময়সীমা নির্ধারণ করা থাকবে। সেই অনুযায়ী নির্বাচনি প্রস্তুতি এগিয়ে যাবে। ইতোমধ্যে ইসি সচিবালয় ‘তফসিল ঘোষণার পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী কার্যক্রম’ শীর্ষক একটি খসড়া কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছে। তবে এ খসড়ায় কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি। নির্বাচন কমিশনের আনুষ্ঠানিক বৈঠকে এ খসড়া উপস্থাপন করা হবে। কমিশন প্রতিটি কাজের সময় সীমানা নির্ধারণ করবে। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনের সার্বিক কর্মকাণ্ড নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা প্রেজেন্টেশন তৈরি করছেন। সূত্র জানিয়েছে, সংবিধান এবং নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ও সুপারিশ দেখেই আনুষ্ঠানিকভাবে এই নির্বাচনি রোডম্যাপ চূড়ান্ত করবে নির্বাচন কমিশন। কেননা নির্বাচনি সংস্কারের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-সহ অন্যান্য নির্বাচন আইনকানুন সংশোধন করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অগ্রাধিকার দিয়ে আইন-বিধি সংস্কার, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, সংসদীয় আসনের সীমানা পুননির্ধারণ, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে। এ ছাড়া নির্বাচনের বাজেট প্রস্তুত করার কাজ চলমান রয়েছে। ইসির একটি সূত্র জানিয়েছে, সংসদ ও উপজেলা নির্বাচনের ব্যালট পেপারের কাগজসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনাকাটার পরিকল্পনা তৈরি হচ্ছে। রাষ্ট্রায়ত্ত কর্ণফুলী পেপার মিলের (কেপিএম) কাছে কাগজ প্রস্তুত রাখতে চিঠি দেওয়া হবে। সংসদ নির্বাচন ছাড়া উপজেলা-সিটি নির্বাচনে ব্যালট পেপার ছাপানোর জন্য তিন রঙের কাগজ প্রয়োজন হয়। সাধারণত হলুদ, নীল ও গোলাপি রঙের কাগজ দিয়ে ব্যালট পেপার ছাপানো হয়।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স