ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
মেধাস্বত্ব সংরক্ষণে সেল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ ইউজিসির বিপুল আমদানিতেও ভোজ্যতেলের বাজার অস্থিতিশীল চিন্ময় দাসের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল মুক্তিযোদ্ধা তথ্যভাণ্ডার তৈরিতে অনিয়ম এ সরকারও কুমিল্লা থেকে খুনের ইতিহাস শুরু করেছে-শামসুজ্জামান দুদু যুব সমাজ দেশে জীবন ও জীবিকার নিশ্চয়তা পাচ্ছে না-জিএম কাদের ট্রাম্পের শুল্কনীতির অস্থিরতায় বিশ্ব অর্থনীতির ঝুঁকি বাড়ছে সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন বাড়ছে পাচার অর্থ ফেরাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা ২৩৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্রয় কমিটিতে ১২ প্রস্তাব অনুমোদন প্রশাসন ক্যাডারের তরুণদের হতাশা-ক্ষোভ গুচ্ছে থাকছে ২০ বিশ্ববিদ্যালয় ৯ বছরেও ফেরেনি রিজার্ভ চুরির অর্থ কারাগার থেকে ফেসবুক চালানো সম্ভব নয় ৮ ফেব্রুয়ারি ছয় সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ-আসিফ নজরুল এক সপ্তাহ পর ক্লাসে ফিরলেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা কোটায় উত্তাল জাবি সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনব্যবস্থা সমর্থন করছি না-মান্না চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের ৪৬ নেতাকর্মী গ্রেফতার বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত আজ

জীবিকা সংকটে সেন্টমার্টিনবাসী

  • আপলোড সময় : ১৩-১২-২০২৪ ১০:৫৫:৪০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৩-১২-২০২৪ ১০:৫৫:৪০ অপরাহ্ন
জীবিকা সংকটে সেন্টমার্টিনবাসী
* ভ্রমণ বিধিনিষেধাজ্ঞা বহাল * বন্ধ হওয়ার উপক্রম স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো * সংসার চলছে না রিকশাচালক ও চা-বিক্রেতাদের * দ্বীপজুড়ে আতঙ্ক, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা
আতাউর রহমান জুয়েল
সেন্টমার্টিনে পর্যটক যাওয়ার ওপর বিধিনিষেধ দেয়ায় জীবিকা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন দ্বীপটির বাসিন্দারা। পর্যটক কমে যাওয়ায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে ইতিমধ্যে চরম আর্থিক কষ্টে পড়ছে বাসিন্দারা। ১০ হাজার মানুষের বসতির এই দ্বীপে এখন শুধুই আতঙ্ক, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা! চায়ের দোকান, বাজার, পাড়া-মহল্লা, মসজিদ সর্বত্র সবার প্রশ্নÑ কোন দিকে যাচ্ছে সেন্টমার্টিনের ভবিষ্যত। সবার মনে অজানা ভয়, শেষপর্যন্ত কি বাপ-দাদার ভিটেমাটি হাতছাড়া হয়ে যাবে! গত ২ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের জীববৈচিত্র্য ও প্রতিবেশ সংরক্ষণে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। পরিবেশ রক্ষায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাতায়াত ও ভ্রমণে আরোপিত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার চেয়ে দায়ের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। গত মঙ্গলবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
‘নারিকেল জিঞ্জিরা’ খ্যাত দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপটিতে একসময় মানুষ জীবিকা নির্বাহ করতেন মাছ ধরে ও চাষাবাদ করে। ২০০০ সালের পর এখানে পর্যটকদের যাতায়াত শুরু হয়, ধীরে ধীরে ছন্দপতন হয় আয়ের উৎসে। তবে, পর্যটকরাই তাদের আয়ের নতুন পথ খুলতে সাহায্য করেন। এখন দ্বীপটির অধিকাংশ বাসিন্দার আয়ের বড় অংশ পর্যটকদের ওপর নির্ভরশীল। দ্বীপে গিয়ে কয়েকটি পাড়ার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তাদের বেশিরভাগের চোখে-মুখে অনিশ্চয়তা আর আতঙ্কের ছাপ। কেউ জীবিকার লড়াইয়ে হঠাৎ অনিশ্চয়তা দেখছেন, কারও আবার ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে ভিটেমাটি হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম।
সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা আফসার উদ্দিন। তার বাবা এক সময় জেলে ছিলেন। কমিউনিটি ট্যুরিজমের প্রসারে বাবা-ছেলে মিলে ঋণ করে বাড়ির মধ্যে একটি ছোট রিসোর্ট তৈরি করেছেন। এই ঘরোয়া রিসোর্টই তাদের আয়ের একমাত্র উৎস। রিসোর্টে অতিথি থাকলে তাদের সংসার চলে, না থাকলে চলে না। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেন্টমার্টিনে পর্যটক প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করায় অন্যদের মতো দুশ্চিন্তায় পড়েছে আফসারের পরিবার। সেন্টমার্টিনের আদি ১৩টি পরিবারের একটি আমাদের। আমার পূর্বপুরুষের সবাই জেলে ছিলেন, কয়েকজন কৃষিকাজ করতেন। সেন্টমার্টিনে ২০০০ সাল থেকে পর্যটক আসা শুরু হয়। তখন আমরা মাছ ধরার পাশাপাশি পর্যটনে বিনিয়োগ শুরু করি। পর্যটক বাড়তে থাকায় ২০১১/২০১২ সালের দিকে পুরোপুরি পর্যটন খাতে বিনিয়োগ করি। এখন প্রায় সবাই পর্যটন খাত নির্ভর হয়ে পড়েছে। আমরা আমাদের সহায়-সম্বল এ খাতে বিনিয়োগ করে ফেলেছি। সরকার হঠাৎ পর্যটক আসার ওপর বিধিনিষেধ দিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত আমাদের বেকায়দায় ফেলেছে। যেন পুরো আসমানটা আমাদের মাথার ওপর পড়েছে! এখন আমরা কী করব?
আফসার উদ্দিনের মতো পর্যটন খাতে বিনিয়োগ করে সর্বস্ব হারানোর ঝুঁকিতে পড়েছে সেন্টমার্টিনের শত শত পর্যটন-নির্ভর পরিবার।
সেন্টমার্টিনের রাস্তার মোড়ে মোড়ে, চায়ের দোকানে, যেখানেই মানুষ জড়ো হচ্ছে, সবার একটাই প্রশ্ন- কী হতে যাচ্ছে সেন্টমার্টিন নিয়ে। কীভাবে তাদের রিজিকের ব্যবস্থা হবে? দ্বীপটিতে ২০৯টি রিসোর্ট ও কটেজের মধ্যে ৫৯টি স্থানীয়দের, ৮৪টি ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরের মানুষের। আর ৬৬টি স্থানীয় বাড়ি কটেজ হিসেবে ব্যবহার হয়। এখন এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বলছে, পরিবেশ ও দ্বীপটির জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত। তবে, শুধুই কী পরিবেশ, নাকি এর পেছনে আছে অন্য কোনো গল্প। দ্বীপবাসী বলছেন, ১২ মাসের মধ্যে ৪ মাস পর্যটক আসে এখানে। বাকি ৮ মাস এখানে লোকজন আসে না। তাহলে পরিবেশ-জীববৈচিত্র্য রক্ষার নামে বিধিনিষেধ তো কাম্য নয়।
বঙ্গোপসাগরে জোয়ার-ভাটার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সেন্টমার্টিনের মানুষের জীবন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সাগরে মাছ শিকার করে চলে তাদের জীবিকা, প্রতিকূলে থাকলে বন্ধ থাকে মাছ ধরা। ওই সময় খাবারও জোটে না অনেকের। জাল মেরামতে দিন কাটে। পেশা হিসেবে গত কয়েক বছরে অটোরিকশা চালানো জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। কিন্তু পর্যটক না যাওয়ায় সেটিও এখন বন্ধ। সবমিলিয়ে জীবিকার লড়াইয়ে অসহায় হয়ে পড়ছেন দ্বীপবাসী।
অটোরিকশার চালক জোনায়েদ মিয়া জানান, এখানে পর্যটক এলে দিনে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা আয় হয়। এখন পর্যটক নেই। একটি অটোরিকশা চার্জ দিতে ৫০০ টাকা লাগে। সারাদিন রিকশা চালিয়ে চার্জের টাকা বাদে ২০০-৩০০ টাকা থাকে। এটা দিয়ে বাজার করলে চাল কেনা যায় না, খুব কষ্টে সংসার চলছে।
স্থানীয় মৌলভী আব্দুর রহমান নিজের সব সম্পদ ও ব্যাংক ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করেছেন স্যান্ড শোর নামের হোটেলে। এ হোটেলের আয় দিয়ে দুই মেয়েকে বেসরকারি মেডিকেলে পড়াচ্ছেন। সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা হিসেবে প্রথম ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন তার মেয়েরা। কিন্তু পর্যটন নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তে স্বপ্ন যেন দুঃস্বপ্নে পরিণত হচ্ছে এ পর্যটন ব্যবসায়ীর। আমরা সেন্টমার্টিনের আদি বাসিন্দা। জমি-সম্পদ ভালোই ছিল। মাছ ধরা আর চাষাবাদে জীবিকা চলত। কথা বলতে বলতে দুই চোখ টলটলে হয়ে আসা এই বাসিন্দা আরও বলেন, ‘আমরা তো এ দেশের নাগরিক, আমাদের এ দরিয়ায় ভাসিয়ে দিয়েন না। পরিবেশের দোহাই দিয়েন না। পরিবেশে যদি সমস্যা হয় নিয়মকানুন করে দেন। কিন্তু পেটে লাথি মারবেন না।’ জেটি থেকে একটু সামনে ডানে ‘সেন্টমার্টিন ভাত ঘর’। ছোট হোটেলটি চালান মনজুর আলম। তিনি বলেন, এখন সারাদিনে বিক্রি দুই-তিন হাজার টাকা। গত বছর এই সময় দিনে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা বিক্রি হতো। পর্যটক আসছে না, তাই বিক্রি কম। খরচ হিসাব করলে প্রতিদিনই দুই-আড়াই হাজার টাকা লস হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ বছর সরকার প্রথমে পর্যটক সীমিত করার কথা বলল। পরে নতুন করে সিদ্ধান্ত নিলেও বাস্তবায়ন করছে না। নানা অজুহাতে কালক্ষেপণ করছে। নভেম্বরে পর্যটক যাওয়ার অনুমতি থাকলেও জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয়নি। অর্থাৎ সরকার নিজেই নিজের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করছে। বর্তমানে এখানে কাউকে যেতে দেয়া হচ্ছে না। বিশেষ প্রয়োজনে কেউ যেতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি লাগে। ফলে সন্দেহটা বাড়ছে। এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কি শুধুই পরিবেশ ইস্যু, নাকি অন্য কোনো গল্প আছে। বিষয়টি কেউ খোলাসা করছেন না।
প্রতি বছর নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই চার মাস সেন্টমার্টিনে পর্যটকরা ভ্রমণ করতে পারেন। তবে, এ বছর তাতে ছন্দপতন হয়েছে। এবার অন্তর্বর্তী সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, নভেম্বরে সেন্টমার্টিনে কোনো পর্যটক রাত্রিযাপন করতে পারবেন না। আর ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে দিনে সর্বোচ্চ দুই হাজার পর্যটক ভ্রমণ এবং রাত্রিযাপন করতে পারবেন। ফেব্রুয়ারিতে পর্যটক যাতায়াত বন্ধ থাকবে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, সেন্টমার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে হবে। বন্ধ করতে হবে প্লাস্টিক ও পলিথিনের ব্যবহার।
সেন্টমার্টিন যাত্রী পরিবহন বোট মালিক সমিতির সভাপতি রশীদ আহমেদ বলেন, পরিবেশ রক্ষার কথা বলছে সরকার। কিন্তু এর নেপথ্যে কী আছে তা সরকারই ভালো জানে। হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত নিল আমরা কিছুই জানি না। এখানে শুধু স্থানীয় মানুষ নয়, অনেক উদ্যোক্তা বড় বিনিয়োগ করেছেন। সরকার সিদ্ধান্ত না পাল্টালে সবাইকে পথে বসতে হবে।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব), সেন্টমার্টিনস দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা-উন্নয়ন জোটসহ সেন্টমার্টিনে ১১টি সংগঠন কাজ করছে। সব সংগঠনের সম্মিলিত বক্তব্যের সার কথা হলো, সেন্টমার্টিনের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে হবে। তবে, তা পর্যটন বন্ধ করে দিয়ে নয়, বরং পরিবেশের অনুকূলে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করে। তাদের মতে, সরকারি এ সিদ্ধান্তে পর্যটন শিল্প ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এখানকার সাধারণ উদ্যোক্তারা সর্বস্বান্ত হবেন। তারা বলছেন, সেন্টমার্টিনে প্রায় ১০ হাজার মানুষ বাস করেন। সবাই পর্যটন ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল। ফলে পর্যটক সীমিত অথবা বন্ধ করা হলে এরা সবাই বেকার হয়ে যাবেন। স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার কারণে পর্যটনে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে, এর বেশি কিছু জানি না। সরকারের পক্ষ থেকে যে নির্দেশনা দেয়া হয় আমরা তা পালন করি কেবল।
পরিবেশ রক্ষায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাতায়াত ও ভ্রমণে আরোপিত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার চেয়ে দায়ের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। গত মঙ্গলবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজ বিন ইউসুফ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল কবীর। এর আগে ১৮ অক্টোবর পরিবেশ সচিবের কাছে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাতায়াতে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন ওই এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মালেক।
গত ২ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের জীববৈচিত্র্য ও প্রতিবেশ সংরক্ষণে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। অনুমোদিত জাহাজে ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের অ্যাপস থেকে ট্র্যাভেল পাস সংগ্রহ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জাহাজে প্রবেশের সময় পর্যটকদের পলিথিন ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক জমা দেয়ার নির্দেশনাসহ পলিথিন ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে পর্যটকদের মধ্যে পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যাগ বিতরণ করা হচ্ছে। পর্যটকদের হোটেলে অবস্থান সম্পর্কিত তথ্য রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে। সেন্টমার্টিন ভ্রমণের সময় মানতে হবে এমন বিধিনিষেধ মৌখিকভাবে অবহিত করা ছাড়াও নুনিয়াছড়া ঘাটে নির্দেশনা সম্বলিত একটি বিলবোর্ড বসানো হয়েছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য