ঢাকা , বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫ , ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
নিবন্ধন চাওয়া ১৪৪ দলই প্রাথমিক বাছাইয়ে অনুত্তীর্ণ ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও ৩৭৫ বাক্সবন্দি মেশিন এখন চায়ের টেবিল সংখ্যালঘু ঐক্য মোর্চার সংবাদ সম্মেলন নিয়ে পুলিশের ব্যাখ্যা ঐকমত্যে আসতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো প্রাণনাশের হুমকি দিল প্রতারক ৪ দফা দাবি জোরপূর্বক প্রত্যাগত ওমান প্রবাসী ফোরামের পুলিশ কল্যাণ তহবিল থেকে দেড় কোটি টাকার অনুদান পাবে ৩৮৯ জন বিমানবন্দর থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া নির্বাচন কমিশনের ৫১ কর্মকর্তাকে বদলি গেটে হাঁটুপানি, ভোগান্তিতে রোগী-স্বজনরা জিয়ার অনুকম্পায় রাজনীতি করে এখন তার পুত্রকে টার্গেট করছেÑ রিজভী চাঁদাবাজির অভিযোগে ওসিসহ ৬ পুলিশ প্রত্যাহার পঞ্চবেকি বয়া নদীর আয়রন ব্রিজ মৃত্যুফাঁদ ময়মনসিংহে মুক্তিপণ দিয়ে মিললো শিশুর লাশ ৪ লাখ টন চাল কিনবে সরকার, বেসরকারিভাবে ৫ লাখ টনের অনুমতি কে কাকে লাল কার্ড দেখাবে, তা ঠিক করবে জনগণ-ডা. জাহিদ বাংলাদেশিদের মিসরের ভিসা দিতে নিষেধাজ্ঞা নেই : দূতাবাস ইইউ’র প্রাক-নির্বাচনী অনুসন্ধানী দল ঢাকা আসছে সেপ্টেম্বরে সংরক্ষিত আসন বিলুপ্তির সুপারিশের প্রতিবাদ মহিলা পরিষদের

সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব চালু ও রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধের সুপারিশ সিপিবির

  • আপলোড সময় : ১০-১২-২০২৪ ০২:৩১:৩৯ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১০-১২-২০২৪ ০২:৩১:৩৯ অপরাহ্ন
সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব চালু ও রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধের সুপারিশ সিপিবির
মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গৃহীত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের অঙ্গীকারকে অবলম্বন করে ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধানের মূলভিত্তি অর্থাৎ চার মূলনীতি ঠিক রেখে প্রয়োজনীয় সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের ত্রুটি, দুর্বলতা ও অসম্পূর্ণতা দূর করে সংবিধানের পূর্ণতা আনার সুপারিশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। সুপারিশে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তদারকি সরকার পুনঃপ্রবর্তন, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা চালু ও রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধসহ ১০দফা প্রস্তাব করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সংস্কার কমিশনের কাছে এই প্রস্তাবনা জমা দেয়া হয়েছে। প্রস্তাবনায় সংবিধানে দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া, সংবিধানে আদিবাসীসহ অন্যান্য জাতিসত্তার স্বীকৃতি প্রদান, জীবনধারণের মৌলিক উপকরণের নিশ্চয়তা প্রদানকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকার করে নিয়ে তার দায়িত্ব রাষ্ট্রের নেয়া, আর্থিক ক্ষমতার নিশ্চয়তাসহ স্থানীয় সরকারের প্রকৃত ও পূর্ণ ক্ষমতায়নে এবং রাষ্ট্র প্রশাসনের গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রিকরণ করে বরাদ্দ ও কাজ সুনির্দিষ্ট করা, নারী আসনের সংখ্যা বাড়ানো ও সরাসরি ভোটের ব্যবস্থা করা এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ কালাকানুন বাতিলের বিধান যুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। লিখিত প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে দেশ হানাদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত হওয়ার পর গণপরিষদ দেশের সংবিধান প্রণয়ন করেছিল। তাতে সাধারণভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের অঙ্গীকারের প্রতিফলন থাকলেও, কিছু ত্রুটি, ঘাটতি ও ব্যত্যয় ছিল। উপযুক্ত সংশোধণীর মাধ্যমে সেসব দুর্বলতা দূর করার বদলে সামরিক ফরমান জারি, কর্তৃত্ববাদী হুকুমদারী ইত্যাদির মাধ্যমে সেই সংবিধানকে এমনভাবে ক্ষত-বিক্ষত করা হয়েছে যে, সেটি এখন গণতন্ত্রের বাহক না হয়ে স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শাসন এবং লুটপাট-শোষণ-বৈষম্যের লালনকারী ও হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। এর প্রতিবিধানকল্পে উচ্চ আদালত একাধিকবার এসব বিকৃতিকে অবৈধ ঘোষণা করলেও লুটেরা শোষকরা সংবিধানকে আবারো ক্ষতবিক্ষত করেছে। এমতাবস্থায় উপযুক্ত সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের ত্রুটিগুলো দূর করে একে তার ক্ষতবিক্ষত হাল থেকে উদ্ধার করা প্রয়োজন। আরো বলা হয়েছে, জনগণের সম্মতি নিয়ে এসব সংশোধনী কার্যকর করতে হবে। অন্য কোনো পন্থায় তা স্থায়ী হবে না। এ বিষয়ে উদ্যোগ ও পদক্ষেপ নেয়ার দায়িত্ব অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত জাতীয় সংসদেরই রয়েছে। কিন্তু এর পেছনে জনগণের সচেতন সমর্থন থাকতে হবে। তাই প্রয়োজনে সংবিধানের সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিয়ে সর্বস্তরের মানুষের মাঝে খোলামেলা আলোচনা করতে হবে। এই বিষয়ে ঐক্যমত্য গড়ে তোলার জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভূমিকা রাখতে পারে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স