ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫ , ২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং দক্ষ বিচার বিভাগ গড়ে তোলাই মূল লক্ষ্য: প্রধান বিচারপতি নির্বাচিত সরকারে দায়িত্বে থাকার কোনো ইচ্ছা নেই-ড. ইউনূস ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক রাজনীতিতে সুবাতাস আনবে-রিজভী এপ্রিলে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা পাইকগাছায় পাটের আবাদে সোনালী স্বপ্ন দেখছেন চাষীরা তেঁতুলিয়ায় বৃদ্ধ দম্পতির মানবেতর জীবন-যাপন ঝিটকা বাজারে অগ্নিকাণ্ডে হয়েছে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি কলাপাড়ায় নৌবাহিনীর বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ প্রদান পঞ্চগড়ে সুপারির বাম্পার ফলন প্রথম অস্কার প্রাপ্তির ঘটনা নিয়ে এখনো বিব্রত জোলি ৫ দিনে ১০০ কোটির মাইলফলক পার করলো ‘হাউজফুল ৫’ বাবার জন্মদিনে দীপিকার অভিনব উপহার বলিউডে স্বজনপ্রীতি নিয়ে যা বললেন সোনাক্ষী না ফেরার দেশে চিত্রনায়িকা তানিন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে হারের পর যে বার্তা দিলেন শাকিব খান জলকেলিতে মাতলেন পরীমণি কলম্বিয়ার সাথে ড্রয়ে ম্যাচ শেষ করলো আর্জেন্টিনা এশিয়ান কাপে বাংলাদেশে খেলার চান্স কতটুকু? অবসর নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে অধিনায়কত্ব পেলেন পুরান ও ম্যাক্সওয়েল ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করলো অস্ট্রেলিয়া

ডিপিএইচইর নির্বাহী প্রকৌশলী খালেদুলের সীমাহীন দুর্নীতি

  • আপলোড সময় : ০৯-১২-২০২৪ ০১:২৮:৩৫ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৯-১২-২০২৪ ০১:২৮:৩৫ অপরাহ্ন
ডিপিএইচইর নির্বাহী প্রকৌশলী খালেদুলের সীমাহীন দুর্নীতি
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সহযোগী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ খালেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। খালেদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম বাবু ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সহায়তায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে বিশেষ একটি প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি সুনামগঞ্জ জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সুনামগঞ্জে যোগদানের পর থেকেই তিনি আওয়ামী সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন এবং নিজের পছন্দমত ঠিকাদারদের অনৈতিক সুবিধা প্রদান করে কাজ দিচ্ছেন। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযোগে বলা হয়, খালেদুল ইসলাম ফ্যাসিস্ট সরকারের অধীনে এক বিশেষ প্রকল্পের দায়িত্বে থাকাকালীন কোটি কোটি টাকা লুটে নিয়েছেন, যেখানে প্রকল্পের কোন বাস্তব উন্নয়ন ঘটেনি, কিন্তু আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন তিনি ও তার সহযোগীরা। ২০১৭ সালে, নজরুল ইসলাম বাবুর তদবিরে খালেদুল ইসলাম জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরে সহকারী প্রকৌশলী পদে যোগদান করেন। এরপর তিনি একটি পুকুর/দিঘি/জলাশয় পানি সংরক্ষণ প্রকল্পে দায়িত্ব পালন করেন। প্রকল্পে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হলেও, প্রকল্পের পুকুর/দিঘি/জলাশয়ের উন্নয়ন বাস্তবে ঘটেনি এবং এই কাজগুলোতে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ২৩ মে, নজরুল ইসলাম বাবুর সুপারিশে খালেদুল ইসলাম সুনামগঞ্জ জেলার নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং দায়িত্ব নেয়ার পর, তিনি স্থানীয় ঠিকাদারদের উপেক্ষা করে নিজের পছন্দের ঠিকাদারদের মাধ্যমে কাজ দেন। এক্ষেত্রে, মেসার্স আদেল এন্টারপ্রাইজ, যার মালিক যুবলীগ নেতা শোয়াইবুর হোসেন আদেল, প্রায় ৬৫ কোটি টাকার কাজ পায়। এছাড়া, ২০২৪ সালের জুলাই-আগষ্টে আন্দোলনকারীদের উপর বর্বরতা ও নৃশংসতা চালানোর অভিযোগও রয়েছে খালেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদের অর্থ প্রদান করেছেন এবং ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে অনেক আওয়ামী নেতাকে তার বাসায় আশ্রয় দিয়েছেন। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে যে, খালেদুল ইসলাম রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাদের হয়রানি করেছেন। বিশেষ করে, মেসার্স আদেল এন্টারপ্রাইজের স্বার্থে তিনি এক ঠিকাদার মো. উজ্জ্বল মিয়াকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করিয়েছেন। সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী খালেদুল ইসলামকে বিষয়টি জানাতে একাধিকবার ফোন দেওয়া হয়েছে তবে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিপিএইচইর প্রধান প্রকৌশলী তোষার মোহন সাধু খাঁ বলেন, যদি কেউ অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকে, তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স