নির্বাচনী মাঠ সাজাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত
- আপলোড সময় : ০৮-১২-২০২৪ ১১:১৭:৫৪ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৮-১২-২০২৪ ১১:১৭:৫৪ পূর্বাহ্ন
* ইতিবাচক কর্মকাণ্ড তুলে ধরছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা
* নিজেরাই ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে
* তারিখ ঘোষণার পর পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত
দেশে দেড় যুগ ধরে ক্ষমতার বাইরে অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি। দীর্ঘ এই সময়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের নির্যাতন-নিপীড়নে সাংগঠনিকভাবে বড় ধরনের বিপর্যয়ে পড়ে দলটি। এখন ন্যূনতম সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি। একই দাবি তুলেছে জামায়াতে ইসলামী। ইতোমধ্যে দুই দলের নেতারা দল গোছানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। পাশাপাশি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মাঠও গোছাচ্ছে দল দুটি। সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ নির্বাচনী আসনে এখন সক্রিয়। নেতারা জনসংযোগের পাশাপাশি যোগ দিচ্ছেন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোয়। ঐক্য ও শান্তির বার্তা দেয়ার সঙ্গে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতিও।
বিএনপির একাধিক নীতিনির্ধারক জানান, সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কাউকে নির্বাচনী প্রচারণার কোনো নির্দেশ দেয়া হয়নি। দলের ইতিবাচক কর্মকাণ্ড ও চিন্তাভাবনা তুলে ধরছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। নীতিনির্ধারকদের মতে, প্রার্থী নির্ধারণে প্রাধান্য পাবেন বিগত নির্বাচনে অংশ নেয়া দলীয় প্রার্থী, যারা আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন এবং ছাত্রদল থেকে উঠে আসা নেতারা। তবে একক নাকি জোটবদ্ধভাবে অংশ নেবে, তা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর চূড়ান্ত হবে। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, নির্বাচনের ব্যাপারে জামায়াতের দুই ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। প্রথমত, জামায়াত নিজেরাই ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। দ্বিতীয়ত, নির্বাচনের সময় যখন আসবে, তখন যে পরিস্থিতি বিরাজ করবে, তার আলোকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। কাজেই এককভাবে নাকি জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়া হবে, তা এখনই বলার সুযোগ নেই।
জানা গেছে, এবার সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়ার প্রস্তুতি নিলেও দীর্ঘদিনের আন্দোলনের মিত্র দলগুলোর জন্য কিছু আসনে ছাড় দেবে বিএনপি। এরই অংশ হিসেবে সমমনা পাঁচটি দলের বেশ কয়েকজন নেতাকে তাদের নির্বাচনী আসনে কাজে সহায়তার বিষয়ে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেয় বিএনপি। এদিকে, দল গোছানোর লক্ষ্যে ইতোমধ্যে কাউন্সিলের মাধ্যমে তৃণমূলের কমিটি গঠনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এজন্য ঢাকা ছাড়া ৯টি সাংগঠনিক বিভাগের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ৯ জন সিনিয়র নেতাকে। এ ছাড়া রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফা এবং তারেক রহমানের ইতিবাচক রাজনীতির বার্তা নিয়ে সারা দেশ সফর করছে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। সম্ভাব্য প্রার্থীরাও নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় সভাসহ নানা সেবামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। নানা সামাজিক অনুষ্ঠানেও যোগ দিচ্ছেন দলের নেতারা। বিএনপি ইতিবাচক কর্মকাণ্ড ও চিন্তাভাবনা তুলে ধরার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছে ধানের শীষের প্রতীক তুলে দিয়ে কৌশলে প্রচার চালাচ্ছেন।
সূত্র জানায়, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গুরুত্বপূর্ণ খাতের সব সংস্কার কাজ শেষে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন করতে চায়। তবে বিএনপি অবিলম্বে নির্বাচন দেয়ার তাগিদ দিচ্ছে। যতবারই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা সাক্ষাৎ করেছেন, ততবারই দ্রুত নির্বাচনের কথা বলেছেন। বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতার পাশাপাশি দ্রুত সংস্কার কাজ শেষ করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি করছে।
অষ্টম জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ক্ষমতা ছাড়ে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার। এরপর দীর্ঘ দেড় যুগ ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। ওয়ান-ইলেভেনের সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি পরাজিত হয়। এরপর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করে। তাই ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। তবে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিলেও আওয়ামী লীগ সরকারের কৌশলের কারণে পরাজিত হয় ঐক্যফ্রন্ট। তবে ওই নির্বাচনে দিনের ভোট আগের দিন রাতেই (২৯ ডিসেম্বর) হয়ে যায় বলে বিএনপি অভিযোগ তোলে। আর সর্বশেষ এ বছরের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। এমনকি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আহ্বাবে সাড়া দিয়ে ৬২টি রাজনৈতিক দল দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে একতরফা ও ডামি আখ্যা দিয়ে তা বর্জন করে। ফলে বিএনপিবিহীন এবং বয়কট হওয়া এই নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে চরম বেকায়দায় পড়ে আওয়ামী লীগ। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপি সমমনা দলগুলোকে নিয়ে নতুন উদ্যমে আন্দোলন শুরু করে। সেই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় দেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। এজন্যই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি তাদের সমমনা দলগুলোকে নিয়ে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।
বিএনপি ও মিত্র দলগুলোর একাধিক নেতা জানান, জোটগতভাবে হোক আর যেভাবেই হোক, বিএনপি এবার সমমনা দলগুলোকে নিয়ে নির্বাচন করবে। ইতোমধ্যে সমমনা পাঁচটি দলকে ছয়টি আসন ছাড়ার ঘোষণা দিলেও পরবর্তী সময়ে আরও আসন ছাড়বে বিএনপি। সমমনা দলগুলোকে সর্বোচ্চ ২৫টি আসন ছাড়ার প্রস্তুতি রয়েছে দলটির। নির্বাচনে বিজয়ের পর সমমনা দলগুলোকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করার সিদ্ধান্ত রয়েছে বিএনপির। এ ছাড়া বিএনপির পূর্ব ঘোষণা অনুসারে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা রূপরেখার আলোকে নির্বাচনের পর সংসদে উচ্চকক্ষ, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য, একই ব্যক্তির দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়াসহ বেশকিছু পরিবর্তন আসবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগামী নির্বাচনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ নির্বাচনী আসনে এখন সক্রিয়। তারা জনসংযোগের পাশাপাশি যোগ দিচ্ছেন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোয়। জলসা ও তাফসির মাহফিলে অংশ নিয়ে ঐক্য ও শান্তির বার্তা দেয়ার সঙ্গে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতিও। যেসব নেতা মাঠ সাজাচ্ছেন তাদের অন্যতম হলেন টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মুন্সীগঞ্জ-২ আসনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন, যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ, মিজানুর রহমান সিনহা, মুক্তিযোদ্ধা দলের আন্তর্জাতিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইমরানুল হক চাকলাদার, মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, যশোর-৩ আসনে সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, পঞ্চগড়-২ আসনে বিএনপির পল্লী উন্নয়ন সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ, নোয়াখালী-৫ আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, নরসিংদী-৫ আসনে প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, ফেনী-৩ আসনে নির্বাহী কমিটির সাবেক সহ-দফতর সম্পাদক বর্তমানে সদস্য আবদুল লতিফ জনি, নাটোর-১ আসনে বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মাদারীপুর-২ আসনে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রাশেদুল হক, জামালপুর-৫ আসনে স্বনির্ভরবিষয়ক সহ-সম্পাদক নিলোফার চৌধুরী মনি, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে তথ্য ও গবেষণা সহ-সম্পাদক সাংবাদিক কাদের গণি চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৫ আসনে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল, পটুয়াখালী-২ থেকে দলের সহ-দফতর সম্পাদক মো. মুনির হোসেন, পটুয়াখালী-৩ আসনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হাসান মামুন, মাদারীপুর-৩ আসনে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান, বরিশাল-৫ (সদর) আসনে আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টন, কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, নোয়াখালী-১ আসনে নির্বাহী কমিটির সদস্য মামুনুর রশিদ মামুন, ঝিনাইদহ-২ আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি এমএ মজিদ, ঝিনাইদহ-৪ আসনে স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি গোলাম সারওয়ার, নেত্রকোনা-২ আসনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পেশাজীবী নেতা অধ্যাপক ডা. আনোয়ারুল হক, নেত্রকোনা-৩ আসনে অ্যাব নেতা প্রকৌশলী মো. মোস্তাফা-ই জামান সেলিম, ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসনে ছাত্রদলের সাবেক নেতা মো. মামুন বিন আব্দুল মান্নান। এ ছাড়া টাঙ্গাইল-৩ আসনে নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. মাইনুল ইসলাম এবং ওবায়দুল হক নাসির, রাজশাহী-৫ আসনে নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু বকর সিদ্দিক ও যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা গোলাম মোস্তফা, ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনে নির্বাহী কমিটির সদস্য গিয়াস আহমেদ, বগুড়া-৫ আসনে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে বিএনপির চেয়ারপারসনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডাইজারি কমিটির বিশেষ সহকারী বদরুল আলম চৌধুরী শিপলু, নরসিংদী-৫ আসনে জেলা বিএনপির সদস্য রফিকুল আমিন ভূঁইয়া রুহেল, মাদারীপুর-১ আসনে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইয়াজ্জেম হোসেন রোমান, কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে বিশিষ্ট চিকিৎসক ফেরদৌস আহমেদ চৌধুরী লাকি, দিনাজপুর-২ আসনে জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল আজিজ, সিলেট-৬ আসনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী ও জেলা বিএনপি নেতা তামিম ইয়াহিয়া আহমদ, পিরোজপুর-৩ আসনে যুবদলের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সাবেক সহ-সম্পাদক এ আর মামুন খান, নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা অধ্যাপক ইমতিয়াজ বকুল, নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে জেলা বিএনপির উপদেষ্টা প্রকৌশলী আমিরুল মোমিন বাবলু, জয়পুরহাট-২ আসনে অ্যাব নেতা প্রকৌশলী আমিনুর ইসলাম, সাতক্ষীরা-৩ আসনে প্রকৌশলী মো. আইয়ুব হোসেন মুকুল এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে জেলা বিএনপির সদস্য রাজীব আহসান চৌধুরী পাপ্পু, সিলেট-৩ আসনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ মালেক, লক্ষ্মীপুর-১ আসনে বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম, চাঁদপুর-২ আসনে ঢাকা মহানগর উত্তর ড্যাবের সভাপতি খ্যাতিমান ডাক্তার সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, চাঁদপুর-৫ আসনে বিএনপি নেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আখতার হোসেন বাদলসহ অনেকেই মনোনয়নের আশায় কাজ করছেন।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, নির্বাচনমুখী দল হিসাবে নির্বাচনকেন্দ্রিক একটি প্রস্তুতি সবসময়ই দলের থাকে এবং সে অনুযায়ীই এখন তারা কাজ করছেন। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি সবসময়ই আমাদের ছিল এবং এটি থাকেও। তবে সময়ে সময়ে এর নানাদিক আপডেট কিংবা কিছু পরিবর্তন হয়। সেগুলো আমরা করছি।
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ২০১৪ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন বর্জন করেছি, এগুলো ছাড়া সব নির্বাচনে আমরা অংশগ্রহণও করেছি। নির্বাচনী দল হিসাবে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। প্রস্তুতি রয়েছে। আমাদের বক্তব্য জামায়াতে ইসলামীর আমির পরিষ্কার করেছেন, ন্যূনতম যে সংস্কার দরকার, আমরা চাই এ সংস্কারগুলো দ্রুত করা দরকার। যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দিয়ে দেয়া উচিত।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা আশা করছি, যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার শেষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং অগ্রাধিকার হওয়া উচিত নির্বাচনের ক্ষেত্রে। নির্বাচনের পদ্ধতির ক্ষেত্রে যথাসম্ভব দ্রুত সংস্কার সাধন করা এবং নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ দেয়া। গত বুধবার প্রধান উপদেষ্টা সংলাপে ডেকেছিলেন, সেখানেও আমরা ভালোভাবে এটা উপস্থাপন করেছি। খন্দকার মোশাররফ আরও বলেন, নির্বাচন যত দ্রুত হবে, সমস্যা তত কমে আসবে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের মানুষের প্রধান চাওয়া হলো সংসদ নির্বাচন করা। জনগণ ভোট দেয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ