ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫ , ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সরকারি চাকরি আইন বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভে কর্মচারীরা ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড ৬ জনের যাবজ্জীবন বহাল কালো টাকা সাদা করার বিধান সংস্কারের সম্পূর্ণ বিপরীত-টিআইবি দূরত্ব ঘুচিয়ে চমৎকার জুলাই সনদ তৈরির প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার সারাদেশে একযোগে ২৫২ বিচারককে বদলি টেকসই অর্থনীতির বাজেট এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বঞ্চনার গল্প যেন অরণ্যেরোদন চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলে ৩ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিলেন কর্মচারীরা রাষ্ট্র সংস্কারে উপেক্ষিত নারী তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু-আইন উপদেষ্টা শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি প্রথমবারের মতো বিটিভির স্টুডিও থেকে হচ্ছে বাজেট ঘোষণা ঘাটতি কমানোর লক্ষ্য নিয়ে নতুন বাজেট আজ দুধ শুধু পণ্য নয় এটি সংস্কৃতির অংশÑ মৎস্য উপদেষ্টা রাঙামাটিতে টানা বৃষ্টি পাহাড় ধসের ঝুঁকি সিলেটে টিলা ধসে একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু বিজিএমইএ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে ‘ফোরাম’ প্যানেল বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে লাশ নিয়ে গেছে বিএসএফ জাপা চেয়ারম্যানসহ ২৮০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার মামলা

কারাবন্দি ৭০ জঙ্গিসহ ৭০০ এখনো পলাতক

  • আপলোড সময় : ০৫-১২-২০২৪ ০১:০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৫-১২-২০২৪ ০১:০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন
কারাবন্দি ৭০ জঙ্গিসহ ৭০০ এখনো পলাতক
* দেশের ৬৯টি কারাগারের মধ্যে ১৭টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ * কারাগারগুলোতে মোট ধারণ ক্ষমতা ৪২ হাজার * বর্তমানে সারাদেশে ৬৫ হাজার কারাবন্দি রয়েছে

দেশে কারাবন্দি ৭০ জঙ্গিসহ ৭০০ জন এখনো পলাতক রয়েছে। এই মুহূর্তে দেশে ৬৯টি কারাগার রয়েছে। এসব কারাগারের মোট ধারণ ক্ষমতা ৪২ হাজার। গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত ৫০ হাজারের কিছু বেশি বন্দি ছিল। এরপর কারাবন্দির সংখ্যা বেড়েছে। বর্তমানে ৬৫ হাজার কারাবন্দি রয়েছে সারা বাংলাদেশে। গতকাল বুধবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন।
কারা মহাপরিদর্শক বলেন, বর্তমানে দেশে মোট ৬৯টি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে ১৭টি কারাগার অনেক পুরোনো ও ঝুঁকিপূর্ণ। সরকার বিষয়গুলো জানে। এগুলো দ্রুত সংস্কার, মেরামত ও পুনর্নিমাণ দরকার।
তিনি বলেন, ৫ আগস্ট ও পরবর্তী সময়ে ২২ শতাধিক কারাবন্দি পালিয়ে গিয়েছিল। ১৫শ জনকে আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। ৭০০ বন্দি এখনো পলাতক। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিভিন্ন মামলায় দাগি আসামি বা যাদেরকে শীর্ষ সন্ত্রাসী বলা হচ্ছে তাদের ১১ জন মুক্তি পেয়েছেন। যাদের জেএমবিসহ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সদস্য বলা হয়েছে তাদের মধ্যে ১৭৪ জন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। পালানো বিভিন্ন আলোচিত মামলার আসামি ও জঙ্গি সদস্যের মধ্যে এখনো পলাতক আছেন ৭০ জন। তাদের গ্রেফতারে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চারজন জেল সুপারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন পর্যায়ে বেশ কিছু অভিযোগের পর্যালোচনা ও তদন্ত চলছে। নির্দিষ্ট অভিযোগের তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। তিনি বলেন, কোন মামলার কোন আসামি জামিন পাচ্ছেন তা আমরা জানানোর ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা একটি হট লাইন চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। সেটি চালু হলে জানতে সুবিধা হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন এক বন্দির ওপরে হামলার ঘটনা ঘটেছে-এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কারা-ডিজি বলেন, যখন আমরা কোনো বন্দিকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাই, কারাগারের বাইরে হলেও সে জায়গাটা কিন্তু কারা অধিদফতরের নিয়ন্ত্রণে বা আওতায় থাকে। সেখানে আসামির নিরাপত্তার জন্য কারারক্ষী থাকেন। নিরাপত্তা দুর্বলতার কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বন্দির উপর হামলার ঘটনাটি ঘটেছিল। তবে সেখানে কারারক্ষী ছিল ও তাদের হস্তক্ষেপের কারণেই ঘটনাটি বেশি দূর গড়াতে পারেনি। পরবর্তীতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি, সেটা হচ্ছে কারা হাসপাতাল। কারা হাসপাতালের কাজটি সম্পন্ন হলে কারাবন্দিদের আর সরকারি হাসপাতালে পাঠানোর প্রয়োজন হবে না, তখন নিরাপত্তাহীনতাও থাকবে না।
নানা মহলের দাবির প্রেক্ষিতে কারা অধিদফতরের লোগো পরিবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল বা সরকার আমাদেরকে কারা অধিদফতরের লোগো পরিবর্তনের পরামর্শ বা মতামত দেননি। আমরা ৫ আগস্টের পর প্রচুর মানুষের ফিডব্যাক পেয়েছি, সেখানে মূল বিষয় ছিল কারা অধিদফতরের লোগো পরিবর্তন।
মহাপরিদর্শক বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী প্রতিটি কারাগারের ঘটনা পর্যালোচনা করেছি। আমাদের কারাগারের অবকাঠামোগত দুর্বলতা ছিল। আরেকটি বাইরের নিরাপত্তা, যেটি পুলিশ সদস্যরা দিয়ে থাকেন। নিরাপত্তা অনুপস্থিতির কারণে আমরা কারাগার থেকে পালানো ঠেকাতে পারিনি। আমরা অভ্যন্তরীণ ও বাইরের নিরাপত্তার কিছু দুর্বলতা শনাক্ত করেছি, সেগুলো সরকারকে জানানো হয়েছে। নরসিংদী জেলা কারাগারের জেল সুপারকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। সেখানকার ২০১ জন কর্মকর্তা কর্মচারী আহত হয়েছিলেন। তাদের অনেককেই আমরা সহযোগিতা করেছি।
রাজনৈতিকভাবে যারা ডিভিশিন পাওয়ার উপযুক্ত তারা সবাই ডিভিশন পাচ্ছেন কি না জানতে চাইলে কারা মহাপরিদর্শক মোতাহের হোসেন বলেন, ডিভিশন পাওয়ার দুটি বিধান আছে- একটি হচ্ছে প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা। আরেকটি সমাজের গণ্যমান্য, মন্ত্রী এমপিরা। জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করতে হয়। এটা তাদের এখতিয়ার-আবেদনের প্রেক্ষিতে তারা ডিভিশনের নির্দেশ দেন।
চিকিৎসাধীন বন্দিদের নিরাপত্তা নিয়ে তিনি বলেন, কোনো সরকারি হাসপাতালে কিন্তু প্রিজন সেল নেই। এটা আমাদের দুর্বলতা। সরকার কিছু কিছু ক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতালে প্রিজন সেল স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করছে। অনেক ক্ষেত্রে অন্যান্য সাধারণ রোগীর সঙ্গে বন্দিদের চিকিৎসা দিতে হয়। কারা হাসপাতাল হয়ে গেলে এ সমস্যার সমাধান হবে।
কারা কর্মচারীদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তো সার্ভিস। সিভিল সার্ভিসের বিধানের আলোকে কারা কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু কারা অধিদফতরে কর্মরতদের মধ্যে পোশাকধারী অস্ত্রধারী দুটোই আছে। একই আইনে কারা অধিদফতর পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতা মনে করছি। সেজন্য আমরা ভিন্ন আইনের কথা বলছি।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, কারা উপ-মহাপরিদর্শক মনির আহমেদ, সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) মো. আবু তালেব, সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন ও মিডিয়া) মো. জান্নাত উল ফরহাদ উপস্থিত ছিলেন।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স