ঢাকা , মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫ , ৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
রামগঞ্জে ৫ বছর ধরে যানচলাচল বন্ধ শীতে কাঁপছে মানুষ কুয়াশায় নষ্ট বীজতলা ফেনীতে বিজিবির হাতে আফ্রিকান নাগরিক আটক নিখোঁজ ইজিবাইক চালকের লাশ উদ্ধার, তিনজন আটক কমেনি সমাজসেবা কর্মকর্তার দাপট পূর্বশত্রুতার জেরে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ বিনা টেন্ডারে ২ কোটি টাকার কাজ দিলেন ইউএনও বরগুনায় নিষিদ্ধ বেহন্দি জালে চিংড়ি আহরণ পিরোজপুরে দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়লো ঘরসহ গবাদিপশু নাটোরে অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে পদত্যাগ দাবি শিক্ষার্থীদের যশোরের বসুন্দিয়ায় সুদের ব্যবসা জমজমাট দেশীয় মাছের অস্তিত্ব কমছে হাটবাজারে বাংলাদেশ থেকে আরও জনশক্তি নিতে আগ্রহী রাশিয়া-রাষ্ট্রদূত শিক্ষা প্রশাসনে শীর্ষ অনেক পদ খালি! ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের সমাবেশ সংবাদকর্মী চাকরিচ্যুতিতে উদ্বেগ জাপার আর্থিক কারণে বাড়ছে নারীর প্রতি সহিংসতা মুখ থুবড়ে পড়েছে চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ প্রকল্প সরাসরি ইলিশ বিক্রি করলে দাম কমানো সম্ভব- মৎস্য উপদেষ্টা ইসির চাহিদা অনুযায়ী সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে ইউএনডিপি

সীমান্তে আমদানি রফতানি বন্ধ

  • আপলোড সময় : ০৫-১২-২০২৪ ১২:৪৯:১৮ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৫-১২-২০২৪ ১২:৪৯:১৮ পূর্বাহ্ন
সীমান্তে আমদানি রফতানি বন্ধ
* আগরতলায় বাংলাদেশিদের হয়রানির অভিযোগ * পাঁচটি শুল্ক স্টেশন ও স্থলবন্দর বন্ধ * বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি রফতানি স্বাভাবিক, ১২ হাজার যাত্রী পারাপার * সীমান্ত বন্ধে বড় ক্ষতি ভারতের * ঝুঁকিতে লাখো মানুষের জীবিকা  * প্রতিদিনই ব্যাংক ঋণের সুদ গুণছেন ব্যবসায়ীরা * বর্ডারে পণ্য আটকা পড়ায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন

বাংলাদেশে পটপরিবর্তনের পর থেকে ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে চলছে টানাপোড়েন। চলছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর। কিন্তু এর সঙ্গে ধীরে ধীরে জড়িয়ে যাচ্ছে বাণিজ্যিক আদান-প্রদানও। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সম্পর্কের অবনতির ফলে ৫টি বন্দরে আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়ে গেছে। সিলেটের শেওলা স্থলবন্দর, জকিগঞ্জ শুল্কস্টেশন, তামাবিল স্থলবন্দর ও মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার চাতলাপুর শুল্ক স্টেশন এবং জুড়ী উপজেলার বটুলী শুল্ক স্টেশনে ভারতের উগ্রপন্থীরা বিক্ষোভের কারণে আমদানি-রফতানির কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে ভারত ও বাংলাদেশর মধ্যে আমদানি-রফতানি। দুই দেশের ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন মোটা অঙ্কের টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এছাড়াও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় বাংলাদেশের নাগরিকরা বিভিন্নভাবে হয়রানি অভিযোগ উঠেছে। তবে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রফতানি স্বাভাবিক রয়েছে। গতকাল বুধবার ১২ হাজার যাত্রী পারাপার হয়েছে বলে কাস্টমস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, সিলেটের তিনটি স্টেশন দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। এতে তিনটি স্টেশনেই দেখা দিয়েছে অচলাবস্থা। ভারতীয়দের বাধার মুখে শেওলা স্থলবন্দর ও জকিগঞ্জ শুল্কস্টেশন দিয়েও বন্ধ রয়েছে পণ্য আমদানি-রফতানি। একই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে ভারতের করিমগঞ্জ শুল্ক স্টেশনে। গত রোববার থেকে ওই স্টেশন দিয়েও আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়।
আমদানিকারক সূত্র জানায়, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের কথিত অভিযোগ ও ইসকন থেকে বহিষ্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের দাবিতে গত রোববার ভারতের করিমগঞ্জ জেলার সুতারকান্দি শুল্ক স্টেশনে মিছিল নিয়ে জড়ো হন কয়েকশ লোক। পরে সীমান্ত এলাকায় বিক্ষোভ করেন তারা। এসময় ভারতীয় বিক্ষোভকারীরা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে সুতারকান্দি শুল্ক স্টেশন দিয়ে পণ্য আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়ে যায়। অপরদিকে ভারতীয়দের বিক্ষোভের কারণে গত ৩০ নভেম্বর থেকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার চাতলাপুর শুল্ক স্টেশন দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়ে গেছে। শুল্কায়ন জটিলতায় তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ধর্মনগরে ইসকন সদস্যদের বাধায় মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার বটুলী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রফতানিসহ সব বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। গতকাল বুধবার পর্যন্ত বটুলী শুল্ক স্টেশন দিয়ে কোনো মালামাল আমদানি বা রফতানি হয়নি। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ থেকে যোগাযোগ করলেও ভারত এখনও কোনো সদুত্তর দেয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
জানা গেছে, গত শুক্রবার থেকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ধর্মনগর থানার ইয়াকুব নগরে ইসকন সদস্যরা বিটুলি শুল্ক স্টেশনের রাস্তা বন্ধ করে দেন। এতে বন্ধ হয়ে যায় দুই দেশের বাণিজ্যিক কার্যক্রম। মালামাল আটকে পড়ায় বাংলাদেশি ও ভারতীয় উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা পড়েছেন ক্ষতির মুখে।
বটুলি সীমান্ত এলাকার স্থানীয়রা জানান, ভারতে ইসকন সদস্যরা বিক্ষোভ করে মালবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভারত থেকে যেমন পণ্য আসছে না তেমনি বাংলাদেশ থেকেও কোনো পণ্য যাচ্ছে না। তবে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। এমন অচলাবস্থায় আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, বর্ডারে পণ্য আটকা পড়ায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। প্রতিদিনই ব্যাংক ঋণের সুদ গুণতে হচ্ছে।
বটুলি শুল্ক স্টেশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শাওন দে জানান, গত শুক্রবার থেকে ভারতে ইসকন সদস্যদের বাধায় বটুলি শুল্ক স্টেশন দিয়ে আমদানি-রপ্তফতানি বন্ধ রয়েছে। আমদানি রফতানি বন্ধ থাকলেও এ ইমিগ্রেশন ব্যবহার করে ভারতীয়দের বাংলাদেশে আসা যাওয়া কার্যক্রম অব্যাহত আছে। এসময় তিনি আরো জানান, আমরা ভারতে যোগাযোগ করেছি, কিন্তু এখনও তারা কিছু জানায়নি।
তামাবিল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় কয়লা-পাথর আমদানি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। আমরা কয়লা-পাথর ব্যবসায়ীদের সমস্যার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবেন।
বিয়ানীবাজারের শেওলা স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, এই বন্দর দিয়ে মূলত কয়লা ও পাথর আমদানি হয়, আর ভোগ্যপণ্য, সিমেন্টসহ কিছু পণ্য রফতানি হয়। তবে ভারত সীমান্তে সমস্যার কারণে তিনদিন ধরে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে।
জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আরিফ উদ্দিন বলেন, এ স্টেশন দিয়ে মূলত কমলাসহ কিছু ফলমূল আমদানি হয়। তবে গত সোমবার থেকে কোনো পণ্য আমদানি হয়নি।
সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক পরিচালক এবং পাথর আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি আতিক হোসেন জানান, ইসকন ইস্যুতে ভারতের সুতারকান্দি, তামাবিল ও করিমগঞ্জ বর্ডার দিয়ে সবধরনের আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। ভারতীয় লোকজনের বাধার মুখে ভারত থেকে বাংলাদেশে কিংবা বাংলাদেশ থেকে ভারতে কোনো পণ্যবাহী গাড়ি ঢুকতে পারছে না। সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দরে পণ্য পরিমাপ নিয়ে অসন্তোষের জের ধরে পণ্য আমদানি বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, সিলেটের তামাবিল ও শেওলা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে যে পাথর আমদানি করা হয়, তা সরাসরি খনি থেকে ট্রাকে লোড করা হয়। ফলে পাথরের সাথে মাটি ও বালি মিশ্রিত থাকে। শুল্কায়নের আগে বন্দর কর্তৃপক্ষ মাটি ও বালির ওজন বাদ দিয়ে পাথরের ওজন নির্ণয় করতেন। কিন্তু বর্তমানে স্থলবন্দরের নতুন কর্মকর্তারা মাটি ও বালির ওজন ছাড় না দেয়ায় লোকসানের হাত থেকে বাঁচতে ব্যবসায়ীরা আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন। তারা বলছেন, এমন অবস্থায় তামাবিল স্থলবন্দরের ওপারে ভারতের ডাউকিতে পাথর ও চুনাপাথর বোঝাই তিন শতাধিক ট্রাক আটকা পড়েছে।
এদিকে ভারতের সঙ্গে চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরির পর থেকেই দেশটিতে ভ্রমণ ও চিকিৎসার কাজে যাওয়া বাংলাদেশিরা ত্রিপুরায় নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বিজেপি সমর্থকদের লংমার্চ কর্মসূচিকে ঘিরে এমন উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। গত সোমবার থেকেই আগরতলায় হোটেল ভাড়া না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশি পর্যটকরা। বাধ্য হয়ে প্রয়োজনীয় কাজ না সেরেই দেশে ফিরে আসছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টের সামনের সড়কে আড়াআড়িভাবে বাঁশের বেড়া দেয়া হয়েছে। এতে যাত্রীদের সীমান্তে ফিরতেও বেশ সমস্যা হচ্ছে। আগরতলা থেকে ফিরে আসা যাত্রীরা আখাউড়া স্থলবন্দরে জানিয়েছেন, সেখানে বাংলাদেশিদের নানান হয়রানির অভিযোগ।
তবে এ অবস্থার মধ্যেও দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে যাত্রী পারাপারসহ সব কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। ভারতীয় রাজনৈতিক নেতাদের আমদানি-রফতানি বন্ধের হুমকিতেও এই বন্দরে কোনো কাজ হয়নি।
বন্দর ও ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, গত তিনদিনে বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে এক হাজার ৬৪৮টি ট্রাকে পণ্য আমদানি-রফতানি হয়েছে। একই সময়ে ১১ হাজার ৭৮০ জন দেশি-বিদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার হয়েছেন। এরমধ্যে ভারতীয় পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার হয়েছেন ৫ হাজার ৩৬৩ জন। গত মঙ্গলবারও ভারতে পারাপার হয়েছেন দুই হাজার ৪১২ জন। গত সোমবার তিন হাজার ৯২৪ জন ও গত রোববার ৫ হাজার ৪৪৪ জন পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার হয়েছেন। এছাড়া গত তিনদিনে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে দুই হাজার ৫১৪ জন ভারতীয় নাগরিক। আর বাংলাদেশ থেকে ফেরত গেছেন দুই হাজার ৮৪৯ জন ভারতীয়। সবশেষ গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৫টা পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে ৩৮০ ট্রাক পণ্য আমদানি-রফতানি হয়েছে। আর যাত্রী পারাপার হয় এক হাজার ৫২০ জন। এছাড়া গত মঙ্গলবার ৫৯৭ ট্রাকে আমদানি-রফতানি হয়েছে। গত সোমবার ৪৪৪ ট্রাক ও গত  রোববার ৬০৭ ট্রাক পণ্য আনা-নেয়া করে।
ভারত ফেরত ঢাকার পাসপোর্টধারী যাত্রী আবুল কাশেম বলেন, মার্কুইজ স্ট্রিটের একটি আবাসিক হোটেলে আমরা ছিলাম। কোনো ঝামেলা হয়নি। তবে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, অনেক বাংলাদেশি যারা ভারতে আছেন, তারা চেকপোস্ট বন্ধের মতো গুজবের খবর শুনে দেশে ফিরছেন।
বাংলাদেশি পণ্য পেট্রাপোল বন্দরে খালি করে ফেরত আসা ট্রাকচালক জাহিদ হাসান বলেন, তিনি স্বাভাবিক সময়ের মতো পেট্রাপোল বন্দরে পণ্য খালি করে ফিরে এসেছেন। সেখানে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। তবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা একটু জোরদার করা হয়েছে। ওপারের লোকজন আমাদের সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ করেনি।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশে কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগে গত কয়েকদিন ধরেই তোলপাড় চলছে প্রতিবেশী ভারতে। দেশটির গণমাধ্যম থেকে শুরু করে সরকার, এমনকি রাজনৈতিক দলগুলোও সরব হয়েছে এ বিষয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হচ্ছে একের পর এক ভুল তথ্য। সেসবের প্রভাব পড়েছে দুই দেশের সম্পর্কের ওপর। সীমান্তে ৫টি বন্দর কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে পণ্য আমদানি-রফতানি। কয়েকদিন ধরে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিসহ বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত হামলার প্রতিবাদে লাগাতার বিক্ষোভ, অবরোধ, মিছিল চলছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপিসহ একাধিক সংগঠন দাবি করেছে, বাংলাদেশের সঙ্গে আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দেয়া হোক। পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হুমকি দিয়েছেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ অন্যদের মুক্তি ও সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত নির্যাতন বন্ধ না হলে পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে যেতে দেয়া হবে না। তবে বিজেপির এই ধরনের দাবির তীব্র বিরোধিতা করেছে রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস। সীমান্ত দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়ে গেলে শুধু বাংলাদেশ নয়, ক্ষতির শিকার হবে ভারতও। এ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা-উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে বনগাঁ পেট্রাপোল স্থলবন্দরে ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং অ্যাসোসিয়েশন কর্মকর্তা কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, আমদানি-রফতানি না হলে বাংলাদেশের যেমন লস-লাভ হয়, আমাদেরও তেমন। আমাদের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাগুলোতে লাখ লাখ মানুষ জড়িত এর সঙ্গে। এটা তাদের জীবিকার ব্যাপার। সুতরাং এটা যে একটা বড় সম্পদ, তা অস্বীকার করা যাবে না। তিনি আরও বলেন, আমার মনে হয়, প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক অবশ্যই ভালো হবে। তারপরই দুই দেশের কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নেবেন কীভাবে আমদানি-রফতানি আরও বাড়ানো যায়।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স