ঢাকা , শনিবার, ৩১ মে ২০২৫ , ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
আমতলীতে শহিদ রাষ্টপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকীতে সেচ্ছায় রক্তদান ও আলেচনা সভা মগবাজারে কুপিয়ে ব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার ৩ ২ জুন বাজেট ঘোষণা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নিহত বাংলাদেশের জন্য জাপান গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার : প্রেস সচিব বাড়ছে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা সরকারের আশ্বাসে প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ডিসেম্বরের আগেই জাতীয় নির্বাচন দেয়া সম্ভব -তারেক রহমান দেশে গণতন্ত্রের নিরাপদ যাত্রা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে : খালেদা জিয়া নির্বাচন ইস্যুতে এনসিপির সমালোচনায় ববি হাজ্জাজ আনু মুহাম্মদের স্ট্যাটাসে আসিফ নজরুলের বিস্ময় প্রকাশ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ উত্তাল নগর ভবনে পা রাখলেন ইশরাক আরও উজ্জীবিত আন্দোলনকারীরা সচিবালয়ে কর্মচারীদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা প্রশাসনে ১০ মাসেও ফেরেনি শৃঙ্খলা ভারী বৃষ্টিতে বন্যার শঙ্কা শেখ হাসিনার আমলে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে একসঙ্গে কাজ করবে সরকার, ইসি ও জাতিসংঘ মিডিয়ার হেডলাইন দেখে মন্তব্য করা যায় না-ইশরাক ইস্যুতে সিইসি নানামুখী চাপে দেশের অর্থনীতি

খুলনায় এবার বোরো চাষ অনিশ্চিত

  • আপলোড সময় : ০১-১২-২০২৪ ১১:৪৪:০৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০১-১২-২০২৪ ১১:৪৪:০৪ অপরাহ্ন
খুলনায় এবার বোরো চাষ অনিশ্চিত
খুলনা প্রতিনিধি
দেশের খুলনা অঞ্চলের হাজার হাজার হেক্টর জমিতে এবার বোরো চাষ অনিশ্চিত। কারণ খুলনা, যশোর ও সাতক্ষীরা জেলার ১০টি উপজেলার অন্তত ৯৬ হাজার হেক্টর কৃষিজমি এখনো পানির নিচে। ওসব জমির দুই-তৃতীয়াংশ বোরো চাষে এবং বাকিটা মাছ চাষে ব্যবহৃত হয়। সর্বশেষ বৃষ্টিতে ওসব এলাকা তলিয়ে যায়। বর্তমানে ওই অঞ্চলে অন্তত ৬০টি বিল পানিতে ডুবে আছে। মুক্তেশ্বরী টেকা, শ্রী, হরি, শৈলমারী ও সালতা নদীতে ভারী পলি পড়ায় ওসব বিলের পানি-নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে গেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে বোরো আবাদের মৌসুম শুরু হয়ে চলে ফেব্রুয়ারি মধ্যভাগ পর্যন্ত। কিন্তু খুলনার ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলার প্রায় ২০ হাজার হেক্টর কৃষিজমি পানিতে নিমজ্জিত। এর মধ্যে ডুমুরিয়ার বিভিন্ন এলাকার ১১ হাজার হেক্টর জমি তলিয়ে গেছে। ওসব এলাকার মধ্যে রয়েছে রংপুর, রূপরামপুর, শালুয়া, মিক্সি মিল ও রুদাঘোড়া। শিগগির আবাদি জমি থেকে পানি নিষ্কাশন করে চাষযোগ্য করে তোলা না হলে কৃষক বোরো মৌসুম ধরতে পারবে না। সূত্র জানায়, বৃষ্টির পানি মূলত খাল হয়ে দিয়ে নদ-নদীতে চলে যায়। তবে বেশির ভাগ খাল দখল-দূষণে নাব্য হারিয়েছে। নদ-নদীতে থাকা জলকপাটে পলি জমেছে। ফলে দ্রুত সময়ে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। পলি জমে ডুমুরিয়া উপজেলার ১১টি নদীর সবই এখন মৃতপ্রায়। ওসব নদ-নদীর সঙ্গে যুক্ত খালে ৭৫টি জলকপাট নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে ২৩টি জলকপাট অকেজো। ১১টি আংশিক বিকল। প্রায় ২০টি জলকপাটের মুখ পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে। বাকি ২১টি সচল থাকলেও খুব একটা কাজে আসছে না। ডুমুরিয়ার বিল ডাকাতিয়াসহ ছোট-বড় ২৪টি বিল রয়েছে। পানি প্রবাহের প্রতিবন্ধকতায় ওই অঞ্চলের অধিকাংশ আবাদি জমিতে এখন কোমর পানি। এমনকি অধিকাংশ মাছের ঘেরও তলিয়ে রয়েছে। বর্তমানে বিএডিসির ২৫টি পাম্প দিয়ে কৃষিজমি থেকে পানি নদীতে ফেলা হচ্ছে। শিগগিরই আরো ১৫টি পাম্প বসানো হবে। সূত্র আরো জানায়, খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপোতাক্ষ তীর এলাকার প্রায় সাড়ে ৭০০ বিঘাতে অপরিকল্পিত খননে প্রতি বছর জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে। যদিও জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্পের (দ্বিতীয় পর্যায়) মাধ্যমে যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০২০ সালের জুলাইয়ে ৫৩১ কোটি টাকায় কপোতাক্ষ নদের খনন শুরু করে। খননকালে আশপাশের বিলের সঙ্গে নদের সংযোগ স্থাপন না করায় এসব এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে। আর যশোরের অভয়নগর, মণিরামপুর ও কেশবপুর এবং খুলনার ডুমুরিয়া, ফুলতলা উপজেলার অংশবিশেষ নিয়ে ভবদহ অঞ্চল। ওই এলাকার প্রায় ৩৫ হাজার কৃষক অন্তত ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করে। কিন্তু চার দশক ধরে ওই অঞ্চলের প্রায় তিন লাখ মানুষ জলাবদ্ধতায় ভুগছে। গত দুই বছর কিছুটা কমলেও এবার ভারী বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা আরো প্রকট হয়েছে। তবে যশোরের ভবদহ ও তৎসংলগ্ন বিল এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন পানিসম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। সম্প্রতি ভবদহ অঞ্চল পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, বিলগুলোর জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থানীয় আমডাঙ্গা খালের প্রবাহ বাড়াতে হবে। অন্যদিকে ভবদহ এলাকার হরি নদী, ভৈরব নদ ও মুক্তেশ্বরী নদীতে ড্রেজিং করে পানিপ্রবাহ বাড়ানোর প্রতিও গুরুত্ব দিতে হবে। এদিকে এ বিষয়ে যশোরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) সমরেন বিশ্বাস জানান, গত কয়েক বছরে ভবদহ এলাকায় বোরো চাষের প্রসার ঘটেছে। তবে এ বছর পরিস্থিতি খুব খারাপ। সব আবাদি জমি পানির নিচে। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে পানি কমে গেলে চাষীরা বোরো ধানের আবাদ করতে পারবেন। অন্যথায় যশোরের প্রায় ২৮ হাজার হেক্টর জমি এ মৌসুমে অনাবাদি থেকে যেতে পারে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য