ঢাকা , শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ , ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সুনামগঞ্জের সেই গ্রামে কড়া নিরাপত্তা, বসেছে ক্যাম্প সীমান্তে বিএসএফের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন ভারতীয় প্রচারণার জবাব দিতে জাতীয় সমাবেশের প্রস্তাব এসেছে: আসিফ নজরুল সাড়ে ৩ বছর পর কারামুক্ত বাবুল আক্তার সেই মাহমুদুর রহমানই হারিছ চৌধুরী অধিকারের ভিত্তিতে ভারতের সাথে সমস্যার সমাধান চায় বাম জোট দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে আ’লীগ-লন্ডনে মির্জা ফখরুল ঢাকা সফরে আসতে পারেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব দেশকে নতুন করে অস্থির করার চেষ্টা চলছে কয়েকজন বিচারপতির বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান চলছে : সুপ্রিম কোর্ট চিন্ময় ইস্যুতে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্বাগত জানায় যুক্তরাষ্ট্র কারাবন্দি ৭০ জঙ্গিসহ ৭০০ এখনো পলাতক ডিসেম্বর মাসে ১২ বার শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা সীমান্তে আমদানি রফতানি বন্ধ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে এলো ঢাকা মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের মাস্টার প্ল্যান পুনর্গঠন করা হবে হাইকমিশনে আক্রমণ কোনো সভ্য রাষ্ট্রের আচরণ নয়- নাহিদ সাগরে ইলিশ নেই দুশ্চিন্তায় জেলেরা পুরনো ইঞ্জিন ও কোচে বাড়ছে রেল দুর্ঘটনা

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরে বিরাজ করছে অস্থিরতা

  • আপলোড সময় : ২৩-১১-২০২৪ ০৯:৫৫:৪১ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৩-১১-২০২৪ ০৯:৫৫:৪১ অপরাহ্ন
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরে বিরাজ করছে অস্থিরতা
দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে (ডিএই) চেয়ার দখল নিয়ে অস্থিরতা থামছে না। বিএনপিপন্থি কর্মকর্তারা চেয়ার দখলে মরিয়া। পদোন্নতি বঞ্চনা ও হয়রানির অভিযোগ তুলে বিভিন্ন কর্মসূচিতে ওই সংস্থায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। এমন অস্থির পরিস্থিতিতে ডিএই কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে এসেছে। বর্তমানে চাপ সৃষ্টি এবং টাকা ঢেলে বাগানো হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ চেয়ার। পদায়ন বাণিজ্যের পাশাপাশি নানা অনুষ্ঠানের নামে চাঁদাবাজিও চলছে। তাছাড়া টেন্ডার হাতিয়ে নিতেও হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে। সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সরকার পরিবর্তনের পর গত তিন মাসে আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তাদের সরিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে বিএনপি ও জামায়াতপন্থিদের পদায়ন হয়েছে। শতাধিক কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, খালি হওয়া পদে বসতে একটি চক্রকে মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হচ্ছে। তবে আওয়ামী জমানার অধিকাংশ প্রকল্প পরিচালক (পিডি) এখনো বহাল আছেন। তবে বিএনপিপন্থি একদল কর্মকর্তা বড় প্রকল্পগুলোর পিডি হতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তারা প্রকল্পের বর্তমান পিডি ও ডিপিডিদের সরাতে তৎপর। সর্বশেষ প্রকল্প পরিচালকদের বদলির একটি তালিকা তারা কৃষি মন্ত্রণালয়ের পাঠালেও তাতে কাজ হয়নি। এখণ প্রকল্প পরিচালকদের ছাত্র খুনের সঙ্গে জড়িত বলে ছবিসহ বড় ব্যানার ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। মূলত এ পন্থায় চাপ তৈরি করে পিডিদের চেয়ার ছাড়তে বাধ্য করানোর চেষ্টা চলছে। সূত্র জানায়, ডিএইর প্রবেশ মুখেই বিশাল আকারের ব্যানারে সাবেক কৃষিমন্ত্রী, ডিএইর সাবেক দুই মহাপরিচালকসহ ৩৯ জনের ছবি দিয়ে ছাত্র-জনতা হত্যার দায়ে শাস্তি দাবি করা হয়েছে। তাতে তুলনামূলক বড় প্রকল্পের পিডি, ডিপিডি ও গুরুত্বপূর্ণ পদের কর্মকর্তারা ঠাঁই পেয়েছেন। তাছাড়া এক প্রকল্প পরিচালকের স্ত্রীর ছবিসহ লিফলেটও বিতরণ করা হয়। তবে ব্যানারে ছাত্র আন্দোলন দমাতে বিক্ষোভে অংশ নেয়া বহু কর্মকর্তার নাম ও ছবি নেই। এমনকি যেসব আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তা ইতোমধ্যে বদলি হয়েছেন, তাদের নামও নেই। ব্যানারে ছবি থাকা কর্মকর্তাদের মধ্যে অনেকেই সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তাদের মধ্যেও এখন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, বিগত সরকারের সুবিধাভোগী কয়েকজন পিডির নাম ও ছবি ব্যানারে আসেনি। তাদের কেউ কেউ রাজনৈতিক পরিচয় বদল করেছেন। আবার অনেকেই বিএনপিপন্থিদের আর্থিক সুবিধা দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন। সূত্র আরো জানায়, সরকার পতনের পর থেকে ডিএইতে ব্যাপক চাঁদাবাজি হচ্ছে। খালি হওয়া পদগুলোতে পদায়নের জন্য কেআইবির কিছু নেতা, শেকৃবি ছাত্রদলের কয়েকজন মোটা অঙ্কের টাকা নিচ্ছেন। দুর্গাপূজার নাম করে সব কর্মকর্তার কাছ থেকে চাঁদা তোলা হয়েছে। যে কোনো অনুষ্ঠান ঘিরেই তোলা হয় টাকা। আর টেন্ডার ঘিরে প্রকল্প পরিচালকদের নিয়মিত হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে। এদিকে ব্যানার প্রসঙ্গে ডিএইর প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের উপপরিচালক ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রশীদ জানান, কর্মকর্তাদের ছবি কারা টানিয়েছে, তা জানা নেই। এ রকম কর্মকাণ্ড সমর্থন করা যায় না। তবে যাদের ছবি টানানো হয়েছে তারা ৪ আগস্ট আন্দোলনবিরোধী সমাবেশে অংশ নিয়েছেন। মন্ত্রী-সচিবের নির্দেশে কয়েকশ কর্মকর্তা সমাবেশে অংশ নিলেও গুটি কয়েকজনের ছবি কেন টানানো হলো? ব্যানারগুলো সরাতে মহাপরিচালকসহ বসে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ছাইফুল আলম জানান, সরকারি চাকরিতে বদলি কিংবা পদায়ন নিয়ম মেনে করা হয়। কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার আগ পর্যন্ত খুনি আখ্যা দিয়ে ছবি টানিয়ে হেয় প্রতিপন্ন করা অন্যায়।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স