ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫ , ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
জন্মদিন উদযাপন করে সমালোচনার মুখে পড়লেন ইয়ামাল বিশ্বকাপজয়ী আলমাদাকে দলে ভেড়াচ্ছে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ ভুটানের সাথে জয় পেলো বাংলাদেশ ৪৩ বছর বয়সে ‘দ্য হান্ড্রেডে’ অভিষেক হতে যাচ্ছে অ্যান্ডারসনের শাস্তির সম্মুখীন হলেন স্টোকসরা বড় সাকিবের প্রত্যাশা; ছোট সাকিবও হবে অলরাউন্ডার ঢাকায় পৌঁছালো পাকিস্তান দল টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিংয়ে বড় লাফ দিলো রিশাদ বদলির আদেশ প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় মোট ১৪ এনবিআর কর্মকর্তা বরখাস্ত শতকোটি টাকা ব্যয়ে হচ্ছে গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর জুলাইয়ের চেতনায় একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব শেয়ারবাজারে ইসিতে ৪৩ হাজার পৃষ্ঠার নথি জমা দিয়েও বাছাইয়ে ফেল এনসিপি যৌক্তিক শুল্ক প্রত্যাশা বাংলাদেশের ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি চাল পাবে ৫৫ লাখ পরিবার-খাদ্য উপদেষ্টা ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্ল্যান্ট চুক্তি রিভিউ হবে-অর্থ উপদেষ্টা এ বছরের শেষ নাগাদ তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে চূড়ান্ত সুখবর-পরিবেশ উপদেষ্টা পঞ্চদশ সংশোধনীতে হাসিনা ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার চেষ্টা করেছিলেন : বদিউল আলম মজুমদার নিবন্ধন চাওয়া ১৪৪ দলই প্রাথমিক বাছাইয়ে অনুত্তীর্ণ ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও ৩৭৫

‘‘বিতর্কিত ডি’অর জয়ী’’ ফুটবল ছাড়তে চেয়েছিলেন ১১ বছর আগে!

  • আপলোড সময় : ২২-১১-২০২৪ ০৭:৪৫:২৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২২-১১-২০২৪ ০৭:৪৫:২৩ অপরাহ্ন
‘‘বিতর্কিত ডি’অর জয়ী’’ ফুটবল ছাড়তে চেয়েছিলেন ১১ বছর আগে!
স্পোর্টস ডেস্ক
ফুটবল অঙ্গনে রদ্রি এখন একজন পরিচিত খেলোয়াড়। ব্যালন ডি’অর সম্মাননাপ্রাপ্ত ফুটবলার ও ইউরো জয়ী তারকা। যদিও গেল অক্টোবরে স্প্যানিশ তারকার অর্জিত এই পুরস্কার নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। মজার বিষয় হলো- এই বিতর্কের অবসান হয়ে যেতে পারতো ১১ বছর আগেই। ২০১৩ সালে ফুটবল খেলাই ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন রদ্রি। স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডার যদি সত্যিকার অর্থেই ওই সময় খেলা ছাড়তেন, তাহলে তো ভিনিসিয়ুসের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ও বিতর্ক তৈরি করে ব্যালন ডি’অর পুরস্কার নিতে আসতেন না। কিন্তু কেন ফুটবল ছাড়তে চেয়েছিলেন রদ্রি? সম্প্রতি স্পেনের বিখ্যাত টেলিভিশন প্রোগ্রাম আয়োজক ‘এল হরমিগুয়েরো’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জীবন-সংগ্রামের কথা জানিয়েছেন তিনি। রদ্রির কথাগুলো পড়ার আগে তার ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতিবৃত্ত জানা যাক। রদ্রির জন্ম ১৯৯৬ সালের স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে। এই শহরের জনপ্রিয় ক্লাব অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদে ফুটবলের হাতেখড়ি তার। ২০০৭ সালে মাত্র ১১ ব্ছর বয়সে ক্লাবটির ইয়ুথ দলে খেলা শুরু করেন রদ্রি। ২০১৩ সাল পর্যন্ত একটানা ৬ বছর অ্যাতলেতিকোয় ছিলেন তিনি। এরপরই রদ্রির জীবনে চ্যালেঞ্জিং সময় আসে। দিতে হয় অগ্নিপরীক্ষা। নিতে হয় কঠিন সিদ্ধান্ত। শারীরিক সক্ষমতার অভাব আছে, এমন অজুহাতে রদ্রিকে রিলিজ দিয়ে দেয় অ্যাতলেতিকো। এরপর স্প্যানিশ তারকার সামনে অন্ধকার। এরপর নতুন ক্লাবের খোঁজে নামেন রদ্রি। এক পর্যায়ে ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী অঞ্চল ভিয়ারিয়াল থেকে প্রস্তাব পান তিনি। ক্লাবটিতে যোগ দিতে হলে পিতৃভূমি মাদ্রিদ ছাড়তে হবে তাকে। রদ্রির বয়স তখন সবেমাত্র ১৭। কৈশবকাল না পেরোতেই প্রিয় ভূমি মাদ্রিদ ও পরিবার ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা কঠিনই ছিল তার জন্য। শেষ পর্যন্ত কঠিন সিদ্ধান্তটাই নিলেন রদ্রি। পরিবার ছেড়ে পাড়ি জমালেন ভিয়ারিয়ালে। ক্লাবটিতে গিয়েও অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল তাকে। ২০১৩ সালে চুক্তিবদ্ধ হলেও ক্লাবটির সিনিয়র দলে খেলার সুযোগ পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে দুই বছর। ২০১৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ভিয়ারিয়ালের সিনিয়র দলে অভিষেক হয়েছিল রদ্রির। ২০১৮ সালে ভিয়ারিয়াল থেকে পুনরায় বাল্যকালের ক্লাব অ্যাতলেতিকোতে আসেন রদ্রি। এবার টিকতে পারেন এক মৌসুম। পরের বছরই পাড়ি জমান ইংল্যান্ডে। চুক্তিবদ্ধ হন প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে। এখন পর্যন্ত সিটিতেই আছেন তিনি। নিজের সংগ্রামের কথা বলতে গিয়ে রদ্রি বলেন, ‘আমার স্বাভাবিক কৈশোর ছিল না। অনেক দারুণ মুহূর্ত মিস করেছি। আমার পরিবার ছেড়ে ভিয়ারিয়ালে যাওয়া ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। প্রথম বছর ছিল কঠিন। কেননা ১৭ ও ১৬ এর (বয়স) মধ্যে আপনাকে বড় সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল।’ ভিয়ারিয়ালে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বাবার সঙ্গে আলোচনা করেই নিয়েছিলেন রদ্রি। সেই স্মৃতি মনে করে রদ্রি বলেন, ‘আমি আমার বাবাকে ডেকেছিলাম। হৃদয়বিদারক সেই মুহূর্তে তাকে জিজ্ঞাসা করেছি যে, আমি কোন বড় জিনিস বিসর্জন দিয়েছি (খেলা) চালিয়ে যাওয়ার জন্য। তিনি আমাকে বলেছিলেন, সামনের বছর ও যে বছর পার করেছি তাতে আমার সবকিছু দেওয়া উচিত। তিনি আমাকে বলেছিলেন ফলাফলের কথা ভুলে যেতে। শুধু জেতার কথা বলতেন। কারণ, আমার হারানোর কিছু ছিল না।’
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য