ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫ , ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে অর্থনীতি স্থবির হবে না-অর্থ উপদেষ্টা কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীদের ভিড় ঘরমুখো মানুষের ঢল শেরপুরে পাটচাষি সমাবেশ অনুষ্ঠিত বিরলে মতিউর রহমানের মডেল কৃষি বাড়ি দেখতে আসছেন অনেকে কলারোয়ায় তিন ‘স’ মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা কুড়িগ্রামে কেজিতে বিক্রি হচ্ছে জীবন্ত গরু-ছাগল সিরাজগঞ্জে সেপটিক ট্যাংক থেকে শিশুর হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার নেত্রকোনা সীমান্ত দিয়ে ৩২ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ ঈদ উৎসবে জমজমাট ওয়ালটন ফ্রিজের বিক্রি ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৬০৫২১ জন ক্রিমিয়া রেলসেতুতে ১১০০ কেজি বিস্ফোরক দিয়ে হামলা যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু চুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ইরানের সুদানে গৃহযুদ্ধের কারণে দেশ ছেড়েছেন ৪০ লাখ মানুষ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ৩৬ জনের মৃত্যু মার্কিন অভিনেতা জোনাথন জসকে গুলি করে হত্যা রোমান্টিক সময় কাটাচ্ছেন তাহসান-রোজা দম্পতি কাঁধে কাঁধ মেলালেন শাকিব-নিশো চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পেলো তাণ্ডব ‘অপারেশন সিঁদুর’ কল্যাণ জয় পেয়েছে বেঙ্গালুরুর!

৯ মাসে ডেঙ্গুর থাবায় ৪৩৬ জনের মৃত্যু

  • আপলোড সময় : ২২-১১-২০২৪ ১২:১৪:১৬ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২২-১১-২০২৪ ১২:১৪:১৬ পূর্বাহ্ন
৯ মাসে ডেঙ্গুর থাবায় ৪৩৬ জনের মৃত্যু
* ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও এক হাজার ২১৪ জন
* চলতি বছর ডেঙ্গুতে মারা যাওয়াদের মধ্যে ২১৫ জন পুরুষ ও ২২১ জন নারী
* ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৩৩৫ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন
আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৮৪ হাজার ৩৬৮ জন
 
ডেঙ্গুর থাবায় চলতি বছরের পৌণে নয় মাসে বাংলাদেশে ৪৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও এক হাজার ২১৪ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। চলতি বছর ডেঙ্গুতে মারা যাওয়াদের মধ্যে ২১৫ জন পুরুষ ও ২২১ জন নারী। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৮৪ হাজার ৩৬৮ জন। এছাড়া  ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৩৩৫ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। চলতি নভেম্বর মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত মোট ১১২ জন মারা গেছেন। বাংলাদেশে সাধারণত গ্রীষ্মকালে ডেঙ্গু রোগের মৌসুম হলেও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বর্তমানে সারা বছরই এ জ্বরের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতীতের বছরগুলোতে শহরের বাসা বাড়িতে আবাসিক ধরনের মশা (এডিস ইজিপ্টি) ডেঙ্গুর সংক্রমণ ঘটালেও বর্তমানে গ্রামাঞ্চলের বুনো মশাও (এডিস এলবোপিকটাস) এ রোগের বাহক হিসেবে কাজ করছে। গত কয়েক বছর ধরে অব্যাহতভাবে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ঘটলেও যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ না করায় এটি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডেঙ্গু একটি মশাবাহিত প্রতিরোধযোগ্য রোগ।    
২০০০ সালে বাংলাদেশে ডেঙ্গু দৃষ্টিগোচর হয়। ওই সময় শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হয়। এবং মৃত্যুর হারও ছিল উদ্বেগজনক। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, ওই বছর  সাড়ে পাঁচ হাজার জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন এবং ৯৩ জনের মৃত্যু হয়। ২০০১ সালে আড়াই হাজার জন আক্রান্ত হন এবং ৪৪ জনের মৃত্যু হয়। ২০০২ সালে ছয় হাজার ডেঙ্গুরোগীর মধ্যে ৫৮ জন মারা যান। পর্যায়ক্রমে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ঘটতেই থাকে। তবে ২০১৪ সালে ৩৭৫ জন ডেঙ্গুরোগীর মধ্যে কেউ মারা যাননি। ২০২০ সালে দেড় হাজার মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হলেও মৃত্যু হয় চারজনের। আর ২০২১ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয় সাড়ে ২৮ হাজার, মারা যান ১০৫ জন। ২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হন এবং মোট ২৮১ জন মারা যান। ২০২৩ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়, পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। চিকিৎসক এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর যথেষ্ট কার্যক্রমে বড় ধরনের ঘাটতি আছে, এর ফলে ডেঙ্গু আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা উদ্বেগজনক গতিতে বাড়ছে। পাশাপাশি ব্যক্তিপর্যায়ে অসচেতনতাও ডেঙ্গুতে মৃত্যুর আরেকটি কারণ।
চলতি বছরের নভেম্বরসহ ডিসেম্বরেও ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশ ব্যাপক থাকছে। বর্তমানে দেশে এডিস মশাও আছে আবার রোগীও আছে, দুইটা বিষয় যখন একসাথে থাকে তখন ডেঙ্গু বাড়তে থাকে।  একজন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলেন, ডেঙ্গু সারা দেশে ছড়িয়ে গিয়েছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স