ঢাকা , শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫ , ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
গোপালগঞ্জে হামলাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনী আত্মরক্ষার্থে বলপ্রয়োগে বাধ্য হয়-আইএসপিআর সারাদেশে মবোক্রেসির রাজত্ব হচ্ছে-সালাহউদ্দিন আহমদ পোরশায় ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের উপজেলা কাউন্সিল গঠিত দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা কথাই বলছেন পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ : বিএনপি আবার গোপালগঞ্জ যাবো, জেলার মানুষকে মুজিববাদ থেকে মুক্ত করবো -নাহিদ গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনা তদন্তের দাবি আসকের গোপালগঞ্জে নিহত চার জনের দাফন ও সৎকার সম্পন্ন এসএসসিতে অকৃতকার্যদের মার্চ টু সচিবালয় কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা ড্রিমলাইনার রক্ষণাবেক্ষণে বাড়তি নজর দিচ্ছে বাংলাদেশ বিমান উদীচী সভাপতি বদিউর রহমান না ফেরার দেশে দুদকের মামলায় সম্রাটের বিচার শুরু, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ২১ আগস্টের মামলায় তারেক ও বাবরের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি ২৪ জুলাই সমাগমে দুর্ভোগের আশঙ্কায় আগাম দুঃখ প্রকাশ জামায়াতের ভেঙে ফেলা বাড়িটি সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক ভিটা নয়-পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল গোপালগঞ্জে সংঘর্ষ পূর্বপরিকল্পিত রাবিতে তিন কর্মকর্তাকে পুলিশে দিলো সাবেক শিক্ষার্থীরা কাপ্তাই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫ ইউনিট সচল, উৎপাদন বেড়ে ২১৮ মেগাওয়াট নোয়াখালীতে বাসে যাত্রীকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল গ্রেফতার ২
মায়ের মৃত্যু, জেলে বাবা

শিশুদের দেখভাল করতে হাইকোর্টের নির্দেশ

  • আপলোড সময় : ১৫-১১-২০২৪ ০৬:৪৪:৫০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৫-১১-২০২৪ ০৬:৪৪:৫০ অপরাহ্ন
শিশুদের দেখভাল করতে হাইকোর্টের নির্দেশ
গত এক মাস আগে জন্ম নেয় ১৩ বছরের শিশু সাজ্জাদ মোল্লার যমজ বোন। এর একসপ্তাহ পরই তার মায়ের মৃত্যু হয়। গত সপ্তাহে রাজনৈতিক মামলায় কারাবন্দি হন দিনমজুর বাবা জামাল মিয়া। এমন অবস্থায় দুগ্ধপোষ্য দুই বোনসহ তিন বোনকে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর দিন পার করছে সাজ্জাদ


এক মাস আগে জন্ম নেয় সাজ্জাদ মোল্লার (১৩) যমজ দুই বোন। তার এক সপ্তাহ পর মারা যান মা। রাজনৈতিক মামলায় কারাবন্দি হন সাজ্জাদের দিনমজুর বাবা জামাল মিয়া। এতে সদ্যোজাত দুই বোনসহ তিন বোনকে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছে সাজ্জাদ। বোনদের মুখে দিতে পারছে না খাবার।
দৈনিক জনতা সহ কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত এই ঘটনা নজরে নিয়ে শিশুদের দেখভাল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। স্থানীয় সমাজ সেবা অধিদফতর ও গোপালগঞ্জের ডিসিকে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
আদালতে এ বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনেন আইনজীবী ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ, ব্যারিস্টার নাজিয়া কবির ও ব্যারিস্টার সিফাত মাহমুদ শুভ।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান, সাজিয়া আফরিন, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন।
অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়কে আদালতে আদেশের কথা সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দিতে বলা হয়েছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, সাজ্জাদ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার চিত্রাপাড়া গ্রামের জামাল মিয়ার বড় সন্তান। স্থানীয় এম এম খান উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র সে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জামাল মিয়া পেশায় দিনমজুর। একমাস আগে জামাল মিয়ার স্ত্রী সাথী বেগম যমজ কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। এর ছয়দিন পর সাথী বেগম মারা যান। স্ত্রীর মৃত্যুর পর সদ্য জন্ম নেওয়া দুগ্ধপোষ্য দুই কন্যাসহ চার ছেলেমেয়ে নিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন জামাল মিয়া। ঘরে অসুস্থ মা ও চার শিশু সন্তানের লালন পালন করে দিন কাটছিল তার।
এ অবস্থায় গত শুক্রবার দিবাগত রাতে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ জামাল মিয়াকে বাড়ি থেকে ধরে থানায় নিয়ে যায়। এরপর গোপালগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ পরদিন শনিবার (৯ নভেম্বর) জামাল মিয়াকে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায়।
জামাল মিয়ার ভাই মনির মিয়া বলেন, আমার ভাই কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নেই। একসময় সে আমতলী ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিল। পুলিশ কী কারণে আমার ভাইকে ধরে নিয়ে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠিয়েছে, তা আমাদের জানা নেই। তার সন্তানদের ঘরে খাবার নেই। কষ্টে দিন পার করছে তারা। এর মধ্যে নবজাতক দুই শিশুর অবস্থা সবচেয়ে খারাপ।
তিনি আরও বলেন, ভাইয়ের প্রথম সন্তান সাজ্জাদ মিয়া এম এম খান উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। দ্বিতীয় সন্তান ফারিয়া চিত্রাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। এ ছাড়া এক মাস বয়সী দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে তার। এই দুই সন্তান জন্মের ছয় দিনের মাথায় জামালের স্ত্রী সাথী বেগম মারা যান। বৃদ্ধা মায়ের দেখাশোনাও জামালই করতেন। এখন জামালের চার শিশুসন্তান ও বৃদ্ধা মায়ের দেখাশোনা করার কেউ নেই। দ্রুত সময়ের মধ্যে আমি আমার ভাইয়ের মুক্তি চাই।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ