ঢাকা , সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবির গুরুত্ব তুলে ধরেছেন ড. কুদরত এ খোদা সিরাজগঞ্জে দ্ইু নৌকার সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১৫ তফসিল ঘোষণায় সিইসির তড়িঘড়ি সন্দেহের কারণ- গোলাম পরওয়ার রাজউকের এস্টেট ভ‚মি ২-এর এডি আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় বেসরকারি স্বাস্থ্যখাত হবে সেবামুখী ব্যবসা -ডা. তাহের সাগরে ভেসে যাওয়া ২ বন্ধু সৈকতে ফিরলো লাশ হয়ে কক্সবাজারে নদী-পরিবেশ দূষণ করলে হোটেল বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ -নৌপরিবহন উপদেষ্টা নুরের মাথায় রক্তক্ষরণসহ নাকের হাড় ভেঙেছে তিন দফা দাবিতে শহীদ মিনারে শিক্ষকদের মহাসমাবেশ নুরের ওপর হামলার নির্দেশের অডিওটি ভুয়া- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিপি নুরুল হকের সুস্থতা কামনা করছি- মহাসচিব জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা অগ্নিসংযোগ বাতিল হওয়া এনআইডি সংশোধনের আবেদন ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দু’ রাজনৈতিক দলের সহিংস পরিস্থিতি নিয়ে যা জানালো আইএসপিআর বিভিন্ন এজেন্সি থেকে জঙ্গি লিস্ট দিয়ে বলা হতো ছাড়া যাবে না- আসিফ নজরুল জমে উঠেছে ভোটের মাঠ একে একে চলে গেলেন সাতজন হাসপাতাল-ফার্মাসিউটিক্যাল সরকারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করবে বিএনপি-আমির খসরু খাদ্য, পানি, বায়ু ও প্রকৃতি সুরক্ষায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে-পরিবেশ উপদেষ্টা খাদ্য, পানি, বায়ু ও প্রকৃতি সুরক্ষায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে-পরিবেশ উপদেষ্টা

প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব ব্যয় বৃদ্ধি হাজার কোটি

  • আপলোড সময় : ১৪-১১-২০২৪ ১০:১২:৪০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৪-১১-২০২৪ ১০:১২:৪০ অপরাহ্ন
প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব ব্যয় বৃদ্ধি হাজার কোটি
* ২০১৬ সালে আবাসিক ও বাণিজ্য খাতে পানি সরবরাহে ১ হাজার ৩৬ কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়
* প্রকল্পটি শেষ করতে ব্যয় হচ্ছে ১ হাজার ৯৯৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা
* বিলম্বে প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ায় ৯২২ কোটি ৩৩ লাখ ৭২ হাজার ৩৬ টাকা ব্যয় বেড়েছে


চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রকল্প বাস্তবায়ন বিলম্বে প্রায় হাজার কোটি টাকা ব্যয় বেড়েছে। সংস্থাটি বিগত ২০১৬ সালে আবাসিক ও বাণিজ্য খাতে পানি সরবরাহে ১ হাজার ৩৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। কিন্তু প্রকল্পটি শেষ করতে ব্যয় হচ্ছে ১ হাজার ৯৯৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা। বিলম্বে প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ায় ৯২২ কোটি ৩৩ লাখ ৭২ হাজার ৩৬ টাকা ব্যয় বেড়েছে। তাছাড়া প্রকল্পের মেয়াদকালও বেড়েছে। তবে ওয়াসা কর্তৃপক্ষের দাবি, ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় প্রকল্পের কাজ শুরু করতে অনেক দেরি হয়। চট্টগ্রাম ওয়াসার ভান্ডালজুড়ি পানি শোধনাগার প্রকল্পটি কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেঁষে রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী উপজেলার মধ্যবর্তী জ্যৈষ্ঠপুরার ভান্ডালজুড়ি পাহাড়ি এলাকায় ৪১ দশমিক ২৬ একর জায়গায় নির্মাণ করা হয়। চট্টগ্রাম ওয়াসা সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, চট্টগ্রাম ওয়াসার ভান্ডালজুড়ি পানি শোধনাগার প্রকল্পের জন্য ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে একনেক সভায় ১ হাজার ৩৬ কোটি টাকা অনুমোদন হয়। আর ২০২০ সালে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়। কিন্তু শুরুতেই ভূমি জটিলতায় পড়ে প্রকল্পটি তিন বছর আটকে থাকে। ফলে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়। আর ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি প্রথম সংশোধিত আকারে প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। তখন ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত সময় ও ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে ১ হাজার ৯৯৫ কোটি ১৫ লাখ টাকায় দাঁড়ায়। কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংক প্রকল্পের ৮২৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা অর্থায়ন করছে। আর বাংলাদেশ সরকার দিয়েছে ১ হাজার ১৫০ কোটি ৬৫ লাখ এবং চট্টগ্রাম ওয়াসা নিজস্ব তহবিল থেকে দিচ্ছে ২০ কোটি টাকা। সূত্র জানায়, ওয়াসার ভান্ডালজুড়ি প্রকল্পে দৈনিক ৬ কোটি লিটার পানি শোধনের ক্ষমতা সম্পন্ন। প্রকল্পটি থেকে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী, কর্ণফুলী, পটিয়া উপজেলার ১০ হাজার আবাসিক গ্রাহকের মাঝে ২ কোটি লিটার এবং কোরিয়ান ইপিজেড, চায়না অর্থনৈতিক অঞ্চল, সিইউএফএল এবং কাফকোসহ ছোট-বড় ১৩টি শিল্প-বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে ৪ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করার কথা ছিলো। প্রকল্পের মাধ্যমে পানি সরবরাহের জন্য পটিয়া বাইপাস এলাকায় ৫ একর এবং আনোয়ারার দৌলতপুর মৌজায় ২ দশমিক ৯৪ একর জায়গায় দুটি জলাধার নির্মাণ করা হয়। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে ১১৩ কিলোমিটার পাইপ লাইন বসানোর কাজ। চলছে কালারপোলে সেতুর পাশ দিয়ে পাইপলাইন সরবরাহের কাজ। সংযোগের জন্য অনেক আবাসিক ও বাণিজ্যিক গ্রাহক আবেদন করেছেন। এদিকে এ প্রসঙ্গে ওয়াসার ভান্ডালজুড়ি প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম জানান, প্রকল্প এলাকায় ওয়াসার নিজস্ব জায়গা ছিল না। ফলে প্রকল্প অনুমোদনের পর ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত জটিলতায় তিন বছর কেটে যায়। এ সময়ের মধ্যে কোনো কাজই করা হয়নি। পরে নানা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে প্রকল্পটি এগিয়েছে। শুরুতে ১ হাজার ৩৬ কোটি টাকা হলেও এখন ব্যয় বেড়েছে। এখন প্রকল্পের প্রায় ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ। আগামী নভেম্বর মাসের শেষের দিকে প্রকল্পটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ চলছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ