ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
মেধাস্বত্ব সংরক্ষণে সেল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ ইউজিসির বিপুল আমদানিতেও ভোজ্যতেলের বাজার অস্থিতিশীল চিন্ময় দাসের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল মুক্তিযোদ্ধা তথ্যভাণ্ডার তৈরিতে অনিয়ম এ সরকারও কুমিল্লা থেকে খুনের ইতিহাস শুরু করেছে-শামসুজ্জামান দুদু যুব সমাজ দেশে জীবন ও জীবিকার নিশ্চয়তা পাচ্ছে না-জিএম কাদের ট্রাম্পের শুল্কনীতির অস্থিরতায় বিশ্ব অর্থনীতির ঝুঁকি বাড়ছে সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন বাড়ছে পাচার অর্থ ফেরাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা ২৩৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্রয় কমিটিতে ১২ প্রস্তাব অনুমোদন প্রশাসন ক্যাডারের তরুণদের হতাশা-ক্ষোভ গুচ্ছে থাকছে ২০ বিশ্ববিদ্যালয় ৯ বছরেও ফেরেনি রিজার্ভ চুরির অর্থ কারাগার থেকে ফেসবুক চালানো সম্ভব নয় ৮ ফেব্রুয়ারি ছয় সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ-আসিফ নজরুল এক সপ্তাহ পর ক্লাসে ফিরলেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা কোটায় উত্তাল জাবি সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনব্যবস্থা সমর্থন করছি না-মান্না চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের ৪৬ নেতাকর্মী গ্রেফতার বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত আজ

বেড়েছে এনবিআরের রাজস্ব ঘাটতি

  • আপলোড সময় : ১৩-১১-২০২৪ ১০:৫৭:৩০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৩-১১-২০২৪ ১০:৫৭:৩০ অপরাহ্ন
বেড়েছে এনবিআরের রাজস্ব ঘাটতি

* চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে শুল্ক ও কর আদায়ে ২৫ হাজার ৫৯৭ কোটি টাকা ঘাটতি
* কোনো মাসেই এনবিআর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি
* আন্দোলনের পাশাপাশি সাধারণ ছুটি, কারফিউওর প্রভাব পড়েছে শুল্ক-কর আদায়ে।
* আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে সরকার পরিবর্তনের পরও আবার ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।


রাজস্ব আদায়ে পিছিয়ে পড়ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাস জুলাই-সেপ্টেম্বরে সার্বিকভাবে শুল্ক ও কর আদায়ে ২৫ হাজার ৫৯৭ কোটি টাকা ঘাটতি হয়েছে। তিন মাসের কোনো মাসেই এনবিআর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি। মূলত দেশজুড়ে আন্দোলনের পাশাপাশি সাধারণ ছুটির পাশাপাশি বেশ কয়েক দিন কারফিউও ছিল। শুল্ক-কর আদায়ে এসবের প্রভাব পড়েছে। আর আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে সরকার পরিবর্তনের পরও আবার ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। যে কারণে কাক্সিক্ষ হারে রাজস্ব আদায় করা যায়নি। গত জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে এনবিআরের মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৯৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ৭০ হাজার ৯০৩ কোটি টাকা। ওই সময়ে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি হয়েছে ২৫ হাজার ৫৯৭ কোটি টাকা। এনবিআর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে এর আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়েও কম রাজস্ব আদায় হয়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে সব মিলিয়ে ৭৪ হাজার ৪৮৮ কোটি টাকার শুল্ক-কর আদায় হয়েছিল। তার চেয়ে এবার ৪ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা কম আদায় হয়েছে। চলতি অর্থবছরের পুরো প্রথম প্রান্তিকেই রাজস্ব আদায়ে মন্দাভাব ছিলো। কোনো মাসেই রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য অর্জন করতে পারেননি কর ও শুল্ক কর্মকর্তারা। জুলাই মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ২৫ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা। এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ২০ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা। অর্থবছরের প্রথম মাসেই রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি হয়েছে পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি। পরের মাস আগস্টেও একই অবস্থা দেখা গেছে। ওই মাসে ৩১ হাজার ৬০৭ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২১ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা। ওই মাসে রাজস্ব আয়ে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি হয়। আর গত সেপ্টেম্বর মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৩৯ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ২৯ হাজার ২ কোটি টাকা। ওই মাসেও রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি। সূত্র জানায়, জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে আমদানি শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) ও আয়কর- এই তিন খাতের কোনোটিতেই লক্ষ্য পূরণ হয়নি। তিন খাতেই আগের বছরের চেয়ে রাজস্ব আদায় কমেছে, অর্থাৎ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ওই সময়ে সবচেয়ে আয়কর খাতে বেশি ঘাটতি হয়েছে। তিন মাসে ঘাটতি হয় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকার মতো। ওই খাতে আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৩৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। কিন্তু আদায় হয়েছে ২৩ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৬ কোটি টাকা কম। তাছাড়া আমদানি খাতে তিন মাসে ২৮ হাজার ৬৩৭ কোটি টাকার লক্ষ্যের বিপরীতে আদায় হয়েছে ২২ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। ওই খাতে ঘাটতি হয়েছে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে দেড় হাজার কোটি টাকা কম আদায় হয়েছে। আর গত জুলাই-সেপ্টেম্বরে ভ্যাট বা মূসক আদায়ে ঘাটতি হয়েছে ৮ হাজার ৫৮৮ কোটি টাকা। ভ্যাট আদায় হয়েছে ২৫ হাজার ৫৯৩ কোটি টাকা। ওই সময়ে এই খাতের লক্ষ্য ছিল ৩৪ হাজার ১৮১ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে তিন হাজার কোটি টাকার মতো কম রাজস্ব আদায় হয়েছে। চলতি অর্থবছরে এনবিআরের জন্য সব মিলিয়ে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ও কর, অর্থাৎ রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে বাংলাদেশ এখন ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ পাওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। সেজন্য মানতে হচ্ছে বহুজাতিক সংস্থাটির আরোপিত নানা ধরনের শর্ত। ওই শর্ত থেকে রাজস্ব খাতও বাদ যায়নি। ওই খাতে বড় দুটি শর্ত হলো প্রতিবছর জিডিপির দেড় শতাংশ পরিমাণ অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করতে ও ২০২৭ সালের মধ্যে সব ধরনের করছাড় তুলে দিতে হবে এবং আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর কৌশল ঠিক করতে হবে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স