ঢাকা , শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫ , ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
ট্রাভেল এজেন্সি অধ্যাদেশ-২০২৫ বাতিলের দাবি সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি গুলিস্তানে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ফের অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেল লাইনে আগুন নগরজুড়ে বিএনপি-এনসিপি ও জামায়াতের মহড়া রাজশাহীতে বাসায় ঢুকে বিচারকের ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা নির্বাচনে নিরাপত্তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্বেগ, সংঘর্ষ চায় না ইসি প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের রূপরেখা নেই-ব্যারিস্টার আনিসুল নির্বাচনের দিনই গণভোটে জনগণের আকাক্সক্ষার প্রতিফলন হয়নি-পরওয়ার প্রধান উপদেষ্টা নিজের স্বাক্ষরিত জুলাই সনদ নিজেই লঙ্ঘন করেছেন-সালাহউদ্দিন সরকারের আনুষ্ঠানিক নির্দেশনার পর গণভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত-সিইসি নিউমুরিং টার্মিনাল আপাতত বিদেশিদের হস্তান্তর নয়-হাইকোর্ট গণভোট ‘অপ্রয়োজনীয়’, বলছে সনদে সই না করা বাম দলগুলো বিটিভিকে স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হচ্ছে-তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা প্রসঙ্গ হ্যাঁ-না : চার প্রশ্নের উত্তর একটাই প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আলী রীয়াজ শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ সাজার প্রত্যাশা চিফ প্রসিকিউটরের শেখ হাসিনার মামলার রায় ১৭ নভেম্বর গণভোট নিয়ে বিএনপি জামায়াতের টানাটানি জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের গেজেট জারি

ভারত থেকে আমদানি বাড়লেও কমেছে রফতানি

  • আপলোড সময় : ১২-১১-২০২৪ ১০:৪৪:১৯ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১২-১১-২০২৪ ১০:৪৪:১৯ অপরাহ্ন
ভারত থেকে আমদানি বাড়লেও কমেছে রফতানি
প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে পণ্য আমদানি বাড়লেও কমেছে দেশ থেকে রফতানি। গত এপ্রিল-আগস্ট ওই পাঁচ মাসে ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য আমদানি প্রায় ৪ শতাংশ বেড়েছে। আর একই সময় দেশটিতে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পণ্য রফতানি কমেছে প্রায় ৬ শতাংশ। চলতি ভারতীয় অর্থবছরের এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত সময়ে দেশটি থেকে বাংলাদেশের পণ্য আমদানির অর্থমূল্য ছিল ৪৩৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে আমদানির অর্থমূল্য ছিল ৪১৭ কোটি ৫৩ লাখ ডলার। ওই হিসাবে ওই পাঁচ মাসে ভারত থেকে বাংলাদেশের পণ্য আমদানি বেড়েছে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ দশমিক ৯ শতাংশ। আমদানি-রফতানি বাণিজ্য সংশ্লিষ্টদের সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, আগস্ট মাসে ভারত থেকে আমদানি কমেছে ১৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ। আর জুলাই মাসে তীব্র হওয়া ছাত্রজনতার আন্দোলনের মুখে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির প্রভাব দুই দেশের বাণিজ্যেই পড়ে। বেনাপোল বন্দর দিয়ে টানা তিন দিন ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ ছিল। ভারতসহ প্রায় সব দেশের সঙ্গেই বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য জুলাই ও আগস্ট মাসে বিঘ্নিত হয়। তারপর সেপ্টেম্বর মাসের পর চলমান অক্টোবরেও বাংলাদেশের বাজারে দামের ঊর্ধ্বগতি সামাল দিতে ভারত থেকে পেঁয়াজ, ডিম ও কাঁচামরিচের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য বিপুল পরিমাণে আমদানি হচ্ছে। সূত্র জানায়, ভারতীয় অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে দেশটিতে বাংলাদেশ থেকে পণ্য রফতানি হয়েছে ৭৬ কোটি ৭৬ লাখ ডলারের। গত অর্থবছরের একই সময়ে রফতানি হওয়া পণ্যের অর্থমূল্য ছিল ৮১ কোটি ৬৪ লাখ ডলার। ওই হিসাবে ভারতে বাংলাদেশের পণ্য রফতানি কমেছে ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ। ভারত থেকে বাংলাদেশে শীর্ষ আমদানি পণ্য হলো তুলা। দ্বিতীয় শীর্ষ পণ্য হলো সিরিয়াল বা খাদ্যশস্য। পাশাপাশি আমদানি হয় খনিজ ও জ্বালানি পণ্য। আর বাংলাদেশ থেকে ভারতে রফতানি হওয়া প্রধান পণ্য হলো তৈরি পোশাক। বাণিজ্যসংশ্লিষ্টদের মতে, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের তারতম্য স্বাভাবিক বিষয়। কারণ ভারত যত ধরনের পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ তত ধরনের পণ্য রফতানি করতে পারে না। বাংলাদেশের রফতানি ঝুড়ি ছোট, ভারতের বড়। আবার দুই দেশের অর্থনীতিরও তুলনা চলে না। ভারত থেকে অনেক ধরনের পণ্য বাংলাদেশে আমদানি করতে হয়। যেমন কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ বা চালের মতো নিত্যপণ্যের বড় একটি অংশ আমদানি করতে হয়। পাশাপাশি তুলা আমদানি করতে হয় টেক্সটাইল মিল চালানোর জন্য। কারখানায় পোশাক তৈরির জন্য কাপড়ও আমদানি করতে হয়। এগুলোর জন্য নির্ভরতা থাকায় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের ঘাটতি থেকেই যায়। সূত্র আরো জানায়, ভারতীয় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুই দেশের মধ্যে মোট পণ্য বাণিজ্য হয়েছে ১ হাজার ২৯১ কোটি ৬ লাখ ৩০ হাজার ডলারের। এর মধ্যে ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য আমদানির অর্থমূল্য ছিল ১ হাজার ১০৬ কোটি ৫৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার। আর রফতানি হয়েছে ১৮৪ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার ডলারের পণ্য। চলতি ২০২৪-২৫ ভারতীয় অর্থবছরে দেশটি থেকে পণ্য আমদানির মাসভিত্তিক পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রথম মাস এপ্রিলে আমদানি কমেছিল আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ দশমিক ৯১ শতাংশ। এরপর মে থেকে জুলাই টানা তিন মাস আমদানি বাড়ে। ওই তিন মাসে দেশটি থেকে পণ্য আমদানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ১৩ দশমিক ৯৩, ২৪ দশমিক ৮৮ ও ১১ দশমিক ১৩ শতাংশ। এরপর আবার আগস্টে আমদানি কমে যায়। ওই সময় প্রতিবেশী দেশটি থেকে বাংলাদেশে পণ্য আমদানি কমেছে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ। আর এপ্রিলে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পণ্য রফতানি কমে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ। মে মাসে তা বাড়ে ২৭ দশমিক ৫২ শতাংশ। এর পর জুনে আবার রফতানিতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়। ওই সময় রফতানি কমেছে ২৮ দশমিক ২৩ শতাংশ। জুলাইয়ে আবার পণ্য রফতানি বেড়ে যায়, ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ। আগস্টে প্রতিবেশী দেশটিতে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ কম অর্থমূল্যের পণ্য রফতানি করেছে বাংলাদেশ। এ প্রসঙ্গে ইন্ডিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আইবিসিসিআই) কোষাধ্যক্ষ দেওয়ান সুলতান আহমেদ জানান, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি সব সময় থাকবে। তবে এদেশের রফতানি এখন ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। দুই বছর আগেও যা ছিল ১ বিলিয়নের নিচে। পরিস্থিতি উন্নত হচ্ছে। তারপরও বাণিজ্য ঘাটতি থাকবেই। এক্ষেত্রে সমান হওয়ার সুযোগ কম। তবে এদেশের অর্থনীতি বড় হয়েছে। অনেক শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। দেশের টেক্সটাইল মিলগুলোর উল্লেখযোগ্য পরিমাণের তুলার উৎস ভারত। পোশাক কারখানার উল্লেখযোগ্য পরিমাণের কাপড়ও ভারত থেকে আসে। সাম্প্রতিক সময়ে আমদানি বাড়ার কারণ জরুরি ভিত্তিতে কাঁচামরিচ, ডিম আমদানি করতে হয়েছে। আর রফতানি স্বাভাবিক গতিতেই এগোচ্ছে। রফতানি যা হওয়ার তাই হয়েছে। অতিরিক্ত আমদানি করার প্রভাব রফতানিতেও পড়েছে। ভারতের সঙ্গে অনেক অনানুষ্ঠানিক বাণিজ্য হচ্ছে। এটি যদি প্রতিরোধ করা যায় তাহলে রফতানি আরো বাড়বে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ