ঢাকা , বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
৮ ফেব্রুয়ারি ছয় সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ-আসিফ নজরুল এক সপ্তাহ পর ক্লাসে ফিরলেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা কোটায় উত্তাল জাবি সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনব্যবস্থা সমর্থন করছি নাÑ মান্না চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের ৪৬ নেতাকর্মী গ্রেফতার বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত আজ শুক্রবার সকালেও মেট্রোরেল চালুর পরিকল্পনা থানা স্থানান্তরের দাবিতে সড়ক অবরোধ, যানজট তিতাসের অভিযানে ৮শ অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন আড়ালে সবাই আওয়ামী লীগকে কাছে চায় : নুর শেরপুরে গরু চোর সন্দেহে দু’জনকে পিটিয়ে হত্যা লক্ষ্মীপুর ও রাঙামাটিতে ২ লাশ উদ্ধার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জমি নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২ গণতান্ত্রিক সরকার নেই বলেই বিনিয়োগ হচ্ছে নাÑ রিজভী ঢাকায় চলবে গোলাপি বাস, চড়তে লাগবে টিকেট ফেনীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৩ যুবক নিহত সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন ১৯ জনের মৃত্যু মহালছড়িতে ভাইয়ের বিরুদ্ধে সম্পদ আত্মসাতের অভিযোগ শ্রীপুরে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে থানার এএসআই ক্লোজড সাঘাটার ভূমিদস্যু সুইট ও সহযোগীদের শাস্তির দাবি

স্মার্টকার্ড ছাপানো ও বিতরণ নিয়ে জটিলতা

  • আপলোড সময় : ০৭-১১-২০২৪ ০২:৪০:৪০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৭-১১-২০২৪ ০২:৪০:৪০ অপরাহ্ন
স্মার্টকার্ড ছাপানো ও বিতরণ নিয়ে জটিলতা
* স্মার্টকার্ড ছাপানো হয়েছে আট কোটি ১৪ লাখ ৩৬ হাজার ৯৫টি
* বিতরণ করা হয়েছে ছয় কোটি ৬৪ লাখ ছয় হাজার ২৫৯টি
* মোট অবিতরণকৃত কার্ডের সংখ্যা এক কোটি ৫০ লাখ ২৯ হাজার ৮৩৬টি


গত আট বছরে দেশের ৮ কোটি নাগরিককে উন্নত মানের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা স্মার্টকার্ড সরবরাহ করলেও এখনও ১৪৩টি উপজেলার নাগরিকদের স্মার্টকার্ড ছাপাতে পারেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ছাপানোর পর মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হলেও বিতরণ হয়নি এমন স্মার্টকার্ডের সংখ্যা এক কোটি ৫০ লাখ ২৯ হাজার ৮৩৬টি। জানা যায়, ২০১৬ সালে স্মার্টকার্ডের বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা পর থেকে এ পর্যন্ত দেশের ৮ কোটি ৯ লাখ ২১ হাজার ১৩০ জন পেয়েছেন। এখনো বিতরণের অপেক্ষায় রয়েছে ১ কোটি ৫১ লাখ ৭৬ হাজার ১৪৭ জনের কার্ড। সবচেয়ে বেশি স্মার্টকার্ড বিতরণ হয়েছে ঢাকায়, ১ কোটি ৫০ লাখ ৩ হাজার ৮৬টি। সবচেয়ে কম বিতরণ হয়েছে সিলেটে ৩৭ লাখ ২১ হাজার ৮৬৬টি। উদ্বোধনের পর আট বছর কেটে গেলেও এখনো ১৪৩টি উপজেলার লাখ লাখ ভোটারের উন্নত মানের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা স্মার্টকার্ড ছাপাতে পারেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ছাপানো হলেও ৪৭ টি উপজেলার ৭২ লাখের মতো কার্ড বিতরণ হয়নি। নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম এসব তথ্য জানিয়েছেন। জানা গেছে, এ পর্যন্ত স্মার্টকার্ড ছাপানো হয়েছে আট কোটি ১৪ লাখ ৩৬ হাজার ৯৫টি। বিতরণ করা হয়েছে ছয় কোটি ৬৪ লাখ ছয় হাজার ২৫৯টি। মোট অবিতরণকৃত কার্ডের সংখ্যা এক কোটি ৫০ লাখ ২৯ হাজার ৮৩৬টি। নির্বাচন কমিশন ১০টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে কার্ড বিতরণ করে থাকে। এর মধ্যে বরিশাল অঞ্চলে আট লাখ ৪৮ হাজার ২৪৪টি, চট্টগ্রাম অঞ্চলে ১২ লাখ ৫৯ হাজার ৬২০টি, কুমিল্লা অঞ্চলে ১৯ লাখ ৪৭ হাজার ৭৩৫টি, ঢাকা অঞ্চলে ৩৭ লাখ ৭৩ হাজার ১৬৫টি, ফরিদপুর অঞ্চলে ছয় লাখ ৭৩ হাজার ৪১টি, খুলনা অঞ্চলে ১৪ লাখ ৪৯ হাজার ৬৭০টি, ময়মনসিংহ অঞ্চলে ১৭ লাখ আট হাজার ৬৯১টি, রাজশাহী অঞ্চলে ১১ লাখ ৫০ হাজার ৬০০টি, রংপুর অঞ্চলে ১৩ লাখ ৮৯ হাজার ৫৯৩টি এবং সিলেট অঞ্চলে আট লাখ ৩৯ হাজার ৪৭৭টি স্মার্টকার্ড বিতরণ হয়নি। ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অবিতরণকৃত স্মার্টকার্ড দ্রুত বিতরণের জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে। সম্প্রতি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনের আবেদন নিষ্পত্তিতে আবেদনকারীকে তথ্য বা দলিলাদি দাখিলের সময় দিতে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেই সঙ্গে এনআইডি সেবা দিতে কোনোরকম শিথিলতা বরদাশত করবে না বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। ইসির এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক মো. মাহবুব আলম তালুকদার এরইমধ্যে নির্দেশনাটি মাঠপর্যায়ে পাঠিয়েছেন। জানা গেছে, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর লিখিত নির্দেশনায় এনআইডি মহাপরিচালক বলেন, ‘গ’ ক্যাটাগরির আবেদন (অধিক জটিল আবেদন) সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা চেষ্টা করছেন ‘গ’ ক্যাটাগরি কমিয়ে আনার। তবে সংশোধনের বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে শুধু আবেদনগুলো নিষ্পত্তিতে প্রয়োজনে আবেদনকারীকে অধিকতর দলিলাদি দাখিলের সময় দিয়ে এবং তদন্ত করে আবেদনগুলো আন্তরিকভাবে যাচাই-বাছাই করে নিষ্পত্তি করতে হবে। এদিকে, ইসি সচিব শফিউল আজিম এক নির্দেশনায় কর্মকর্তাদের বলেছেন, সব কর্মকর্তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে যথাসময়ে উপস্থিত থেকে জনগণের কাক্সিক্ষত সেবা প্রদান করতে হবে। সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে কোনোরকম অনিয়ম বা শিথিলতা বরদাশত করা হবে না। বর্তমানে নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যক্রম না থাকায় বিভিন্ন ধরনের সংশোধনের অনিষ্পন্ন আবেদনসমূহ নিষ্পন্নের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রত্যেকটি কার্যালয়ের অফিস প্রাঙ্গণ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রেখে জনসেবা বান্ধব করতে হবে। এছাড়া নতুন ভোটার, জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন বিষয়ে প্রয়োজনীয় দলিলাদির তালিকা প্রদর্শন ও প্রচারের ব্যবস্থাকরণ, স্থানীয় প্রেস ক্লাবসহ অন্যান্য গণমাধ্যমের সহযোগিতা গ্রহণের নির্দেশনাও দেন তিনি। অন্যদিকে এনআইডি সেবাকে সহজ করতে জেলা ও উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি তুলে ধরা, স্বচ্ছতা ও দক্ষতার সঙ্গে এসব কার্যালয়ে সেবা প্রদান নিশ্চিত করা, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অধস্তনদের মনিটরিং করা, ভালো কাজের প্রশংসা করার জন্যও বলেন ইসি সচিব।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স