ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫ , ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সরকারি চাকরি আইন বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভে কর্মচারীরা ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড ৬ জনের যাবজ্জীবন বহাল কালো টাকা সাদা করার বিধান সংস্কারের সম্পূর্ণ বিপরীত-টিআইবি দূরত্ব ঘুচিয়ে চমৎকার জুলাই সনদ তৈরির প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার সারাদেশে একযোগে ২৫২ বিচারককে বদলি টেকসই অর্থনীতির বাজেট এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বঞ্চনার গল্প যেন অরণ্যেরোদন চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলে ৩ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিলেন কর্মচারীরা রাষ্ট্র সংস্কারে উপেক্ষিত নারী তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু-আইন উপদেষ্টা শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি প্রথমবারের মতো বিটিভির স্টুডিও থেকে হচ্ছে বাজেট ঘোষণা ঘাটতি কমানোর লক্ষ্য নিয়ে নতুন বাজেট আজ দুধ শুধু পণ্য নয় এটি সংস্কৃতির অংশÑ মৎস্য উপদেষ্টা রাঙামাটিতে টানা বৃষ্টি পাহাড় ধসের ঝুঁকি সিলেটে টিলা ধসে একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু বিজিএমইএ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে ‘ফোরাম’ প্যানেল বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে লাশ নিয়ে গেছে বিএসএফ জাপা চেয়ারম্যানসহ ২৮০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার মামলা

অভিযান চালিয়েও নিয়ন্ত্রণে আসছে না মাদক কারবার

  • আপলোড সময় : ০৫-১১-২০২৪ ১২:৩৭:৪৯ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৫-১১-২০২৪ ১২:৩৭:৪৯ পূর্বাহ্ন
অভিযান চালিয়েও নিয়ন্ত্রণে আসছে না মাদক কারবার
দেশে মাদকের বিস্তার ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। অভিযান চালিয়েও নিয়ন্ত্রণে আসছে না মাদকের কারবার। এদিকে, অভিযানে সাধারণত মাদকবহনকারীরা গ্রেপ্তার হয় কিন্তু ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় মাদকের গডফাদারর। বিগত দিনেও তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা যায়নি কোনোভাবেই। ফলে এলাকাভিত্তিক মাদকের সিন্ডিকেটে কোনো রদবদলও হচ্ছে না। এ অবস্থায় যথারীতি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্যাম্পাস ও এলাকাভিত্তিক মাদক ব্যবসার কৌশল পাল্টে চালিয়ে যাচ্ছেন কারবারিরা। যদিও মাদককারবারিদের পেছনে থাকা গডফাদারদের গ্রেপ্তারে সম্প্রতি কঠোর হওয়ার কথা জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশের একটি সূত্র বলছে, সম্প্রতি যারা মাদক নিয়ে ধরা পড়ছে তাদের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি ইয়াবা ও গাঁজা উদ্ধার হচ্ছে। আর এরপরের তালিকায় রয়েছে ফেনসিডিল, জি-মরফিন ইনজেকশন, মদ জাতীয় দ্রব্য। তবে মাঝে মধ্যে আইস উদ্ধারের কথাও শোনা যাচ্ছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বছরে গড়ে ৬৫ হাজারেরও বেশি অভিযান চালিয়েও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এসব অভিযান ও বছরব্যাপী অধিদপ্তরের নানা কার্যক্রমের ফলে মাদক কারবার কমার কথা থাকলেও দিন দিন বাড়ছে মামলা, আসামি ও মাদক জব্দের পরিমাণ। নিয়ন্ত্রক সংস্থা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর প্রতিদিন সারাদেশে পরিচালনা করছে গড়ে প্রায় তিনশ’ অভিযান। এসব অভিযানে মাদকদ্রব্য জব্দের পাশাপাশি হচ্ছে মামলা ও গ্রেপ্তার। তিন দশকের বেশি সময় ধরে সংস্থাটি নানামুখী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। রয়েছে সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে সচেতনতামূলক কর্মসূচি জরুরি। একই সঙ্গে অভিযান আরও বাড়াতে হবে। দূর করতে হবে সহজলভ্যতা। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, সব পেশার মানুষের মধ্যেই মাদকের উপস্থিতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন । তিনি বলেন, মাদক ব্যবসার সঙ্গে এক লাখ ৬৫ হাজার মানুষ জড়িত। আমাদের অধিদপ্তর থেকে আমরা ছোট-বড় কোনো মাদক ব্যবসায়ীকেই ছাড় দেই না। তথ্য পাওয়া মাত্রই আমরা অভিযান পরিচালনা করি।  খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এক জরিপে দেখে গেছে যারা মাদকসেবন করেন তাদের ৯০ শতাংশই পুরুষ। বাকি ১০ শতাংশ নারী। তবে তাতে আমাদের খুশি হওয়ার কোনো কারণ নেই। মাদকসেবনে নারীদের সংখ্যা কম হলেও নারীদের মাধ্যমে বিভিন্ন অভিনব উপায়ে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করা হয়ে থাকে। সূত্রমতে, বিগত ২০২৩ সালে সারা দেশে চার হাজার ৪৫৩টি অভিযান পরিচালনা করে নয় হাজার ৯৩৯ জন মাদককারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ সময়ে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া চলতি বছরও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দেশজুড়ে মাদক কারবার কমিয়ে আনার বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা গেলে মাদক কারবার অনেকটা কমে যাবে। কর্মকর্তারা জানান, ৬৪টি জেলা ও মেট্রোপলিটন এলাকায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে ইউনিট রয়েছে। তাদের মাধ্যমে অভিযান চালানো হয় শুধু মাদক ধরা নয়, প্রতিরোধের জন্যও। মাদকের বিস্তার না কমার পেছনে কারণ হলো প্রচুর মাদক দেশে আসছে। এর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী দেশও জড়িত। আমদানি দ্রব্য, খাদ্যদ্রব্য থেকে শুরু করে নানাভাবে মাদক দেশে আসছে। ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে জানিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অভিযানে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি মাদক ব্যবসায়ীদেরও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আমরাও জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছি। সমাজ থেকে মাদক দূর করতে হলে পরিবার থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষদের সচেতন হতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স