ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫ , ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
বিএসএফ মহাপরিচালকের ব্যাখ্যায় দ্বিমত বিজিবির ডিজির ১৪ সদস্যের ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন মৎস্য ভবনের সামনে সড়ক অবরোধ প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের শিশু ধর্ষণ আশঙ্কাজনক বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ সিলেটে পুকুর থেকে সাদাপাথর উদ্ধার ভোলাগঞ্জের পাথর লুট করে ১৫০০-২০০০ ব্যক্তি বাংলাভাষী লোকজনকে ‘বাংলাদেশি’ আখ্যা দিয়ে দেশছাড়া করতে দেব না- মমতা রোডম্যাপকে স্বাগত জানাই-জোনায়েদ সাকি ইসির রোডম্যাপে খুশি বিএনপি-মির্জা ফখরুল ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা মেসির জোড়া গোলে ফাইনালে ইন্টার মায়ামি টাইব্রেকারে গ্রিমসবির কাছে হেরে বিদায় নিলো ম্যানইউ নতুন মাইলফলক স্পর্শ করলেন হামজা ‘মুসলিম হওয়ার কারণে অনেকে আমাকে টার্গেট করেন’ ভারতের ২৬ বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ দেখছেন না শ্রীকান্ত নতুন ক্যাটাগোরিতে বেতন কত কমল বাবর-রিজওয়ানের? বড় ব্যবধানে হারলো সাকিবের ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স বাংলাদেশকে হারানো সহজ হবে না: স্কট এডওয়ার্ডস রাকসু নির্বাচনের তফসিল ৩য় বারের মতো পুনর্বিন্যস্ত পিছিয়েছে ভোট জকসু নির্বাচনে বয়সসীমা থাকছে না

মার্কিনিদের মধ্যে উদ্বেগ

  • আপলোড সময় : ৩০-১০-২০২৪ ০২:২৪:১৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ৩০-১০-২০২৪ ০২:২৪:১৬ অপরাহ্ন
মার্কিনিদের মধ্যে উদ্বেগ
আর মাত্র এক সপ্তাহ পরেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। শুধুমাত্র মার্কিনিরাই নয়, এ নির্বাচনের দিকে চেয়ে আছে পুরো বিশ্ব। এবারের নির্বাচনে রিপাবলিকান দল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প আর ডেমোক্রেটিক থেকে কমলা হ্যারিস। এবারের নির্বাচনে যদি ফের ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসেন, তাহলে দেশ-বিদেশে এর কী প্রভাব পড়বে তা নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। তবে এর বিপরীতটাও দেখা গেছে। যদি নির্বাচনে ট্রাম্প হেরে যান তাহলে পরিস্থিতি কেমন হবে বা ট্রাম্প বিষয়টিকে মেনে নেবেন কি না-এ নিয়েও বহু মার্কিনির মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা গেছে।
এর আগে ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আসেন ট্রাম্প। পরেরবার অর্থাৎ ২০২০ সালের নির্বাচনে তিনি ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেনের কাছে পরাজিত হন। তবে, ওই নির্বাচনে নিজের পরাজয় আজ পর্যন্ত মেনে নেননি সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পরাজয় মেনে নিতে ট্রাম্পের এই অস্বীকৃতি মার্কিন জনগণের মধ্যে ব্যাপক বিভক্তি তৈরি করে। ট্রাম্পের আহ্বানে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি তার উগ্র সমর্থকেরা ক্যাপিটল হিলে (মার্কিন কংগ্রেস ভবন) হামলা চালায়। ট্রাম্পের এ উগ্র কর্মকাণ্ডই এবার উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করেছে মার্কিনিদের মনে। অনেকের আশঙ্কা, এবারের নির্বাচনে ট্রাম্প হেরে গেলে ২০২১ সালের ক্যাপিটল হিলের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের বিংহামটন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডোনাল্ড নেইম্যান বলেন, ‘এবার যদি তিনি (ট্রাম্প) হেরে যান, তাহলে আবার যে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলবেন, তা নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই। আর ভোটের ফল পাল্টে দিতে এমন কোনো চেষ্টা নেই, যা তিনি করবেন না। এছাড়া কমলা হ্যারিসের অভিষেক অনুষ্ঠানেও তিনি অংশ নেবেন না।’ নেইম্যান আরও বলেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) এমন এক ব্যক্তি যিনি কখনোই পরাজয় মেনে নেবেন না।’ ট্রাম্পের অতীত কর্মকাণ্ডের যে ইতিহাস তা বলছে, আসন্ন নির্বাচনে তার প্রতারণার চেষ্টা করা কোনো অমূলক বিষয় নয়।
এদিকে ট্রাম্পের সমালোচকেরা ২০২১ সালে ঘটে যাওয়া সহিংস ঘটনার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা করছেন। সেবার তিনি ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছিলেন। যদিও তার এই অভিযোগটি মিথ্যা ছিল। সেসময় তিনি রিপাবলিকান সমর্থকদের কংগ্রেস ভবনে যেতে বলেন। আর ট্রাম্পের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তার উগ্র সমর্থকেরা ওয়াশিংটন ডিসিতে জড়ো হন এবং প্রাণঘাতী দাঙ্গায় জড়ান। তবে সমালোচকদের আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না। কেননা, গত মাসেই মিশিগানে এক নির্বাচনী সমাবেশে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি যদি হেরে যান, তাহলে তাদের (ডেমোক্রেটদের) প্রতারণার কারণেই হারবেন। প্রতারণা ছাড়া তাকে কোনোভাবেই হারানো যাবে না। ট্রাম্প ও তার সহযোগীরা আইনি উপায় অবলম্বন করেও ২০২১ সালে দাঙ্গার ক্ষেত্র তৈরি করেছিলেন। সেসময় তারা ৬০টিরও বেশি মামলা করেন। এসব মামলায় এমন অভিযোগও করা হয় যে, মহামারির অজুহাতে ভোটের নিয়ম পরিবর্তন করেছে স্থানীয় নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ। তবে, তারা সব মামলায় হেরে যান। তাই এবার আটঘাট বেঁধেই মাঠে নেমেছেন ট্রাম্প ও তার দল। আগাম ভোট শুরুর আগেই তারা ১০০টিরও বেশি মামলা করেছেন। এসব মামলায় মার্কিনিরা কীভাবে নিবন্ধিত হন, কীভাবে ভোট দেন, কারা ভোট দিতে পারেন- এরকম নানা বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের উটাহ-ভিত্তিক পিআর প্রতিষ্ঠান ক্রোনাস কমিউনিকেশনসের প্রতিষ্ঠাতা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অ্যাড্রিয়েন উথে বলেন, ট্রাম্প হেরে গেলে আইনি লড়াই সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে চলতে পারে। এর তীব্রতার ওপর ভিত্তি করে কিছু কিছু এলাকায় বিক্ষোভ, এমনকি বিক্ষিপ্ত সহিংসতাও হতে পারে।
গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত স্ক্রিপস নিউজ/ইপসোস-এর একটি জরিপে দেখা গেছে, এবার নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা নিয়ে আশঙ্কা করছেন প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ অংশগ্রহণকারী (জরিপে)। যার ফলে আগামী ৫ নভেম্বর ভোটগ্রহণ শুরুর পর সম্ভাব্য অস্থিরতা দমনে জরিপে অংশগ্রহণকারী অধিকাংশই সামরিক বাহিনী মোতায়েনের পক্ষে মত দিয়েছেন। ইউগভের একটি জরিপে দেখা গেছে, এক-চতুর্থাংশের বেশি অংশগ্রহণকারী মনে করেন, নির্বাচনের ফলকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে। আর ১২ শতাংশ অংশগ্রহণকারী বলছেন, তারা এমন ব্যক্তিদের চেনেন, যারা ট্রাম্প প্রতারিত হয়েছেন বলে মনে করলে হাতে অস্ত্র তুলে নিতে পারেন। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালকের দফতর থেকে আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিদেশিদের হুমকির বিষয় নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সম্ভাব্য রক্তপাতের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদেশিদের মাধ্যমে বা ইন্ধনে হিংসাত্মক প্রতিবাদ, সহিংসতা বা প্রত্যক্ষ হুমকির কারণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন। বিংহামটন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক বিশ্লেষক নেইম্যানের মতে, তার সবচেয়ে বড় ভয় উইসকনসিনের ম্যাডিসন, মিশিগানের ল্যান্সিং কিংবা পেনসিলভানিয়ার হ্যারিসবার্গে ট্রাম্পের সশস্ত্র সমর্থকেরা সহিংস হয়ে উঠতে পারেন।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স