ঢাকা , বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫ , ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকায় নেই বিল গেটস পাকিস্তানে ভারি বর্ষণ ও বন্যায় ১৯ জনের মৃত্যু শিশুদের ম্যালেরিয়া চিকিৎসায় প্রথমবারের মতো ওষুধের অনুমোদন নেপাল-চীন সীমান্তে বন্যায় নিখোঁজ অন্তত ২৯ নাইজেরিয়ায় অতর্কিত হামলায় নিহত অন্তত ৪০ মানবতার গল্প নিয়ে পর্দায় আসছে ‘সুপারম্যান’ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন নীল ছবির তারকা যে কারণে রাশমিকার সঙ্গে জুটি বাঁধতে বিজয়ের আপত্তি পোশাকের কারণে সমালোচনার মুখে নেহা কক্কর প্রকাশ পেলো ‘কান্তারা: চ্যাপ্টার ১’ এর প্রথম ঝলক নতুন সিনেমা নিয়ে আসছেন জয়া আহসান ফরিদা পারভীনের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে যা জানা গেলো অবশেষে বড়ো পর্দায় ফিরছেন মিম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে আনার পরামর্শ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা ৭৫ জন জুলাইযোদ্ধার বিদেশে চিকিৎসা খরচ ৭৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা কাকরাইলে পুলিশের বাধার পর শহীদ মিনারে বিডিআর সদস্যরা চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের ওপর জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ চুন্নু আউট, জাপার নতুন মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী ১৫ শতাংশ ভোট পেতে পারে কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত আ’লীগ : সানেমের জরিপ ঝিনাইদহে পুলিশ হত্যায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

বিচারিক হাকিমদের নিয়ন্ত্রণ কেন রাষ্ট্রপতির হাতে

  • আপলোড সময় : ২৮-১০-২০২৪ ০৪:১০:২২ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৮-১০-২০২৪ ০৪:১০:২২ অপরাহ্ন
বিচারিক হাকিমদের নিয়ন্ত্রণ কেন রাষ্ট্রপতির হাতে
রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত ওই দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগের সরাসরি হস্তক্ষেপ দেখা যায়, যা বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে খর্ব করে, বলা হয়েছে আবেদনে

সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অধস্তন আদালতে বিচারবিভাগীয় দায়িত্ব পালনরত হাকিমদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলাবিধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত থাকা কেন ‘অসাংবিধানিক’ হবে না, তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ গতকাল রোববার এ রুল জারি করে।
রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সৈয়দা সাজিয়া শারমিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান।
অ্যাডভোকেট তানিম খান বলেন, সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে বর্ণিত অধস্তন আদালতের দায়িত্বপালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতিদান ও ছুটি মঞ্জুরসহ) ও শৃঙ্খলাবিধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত থাকার বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৫ অগাস্ট হাই কোর্টে এই রিট মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ জন আইনজীবী।
সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ কেন অসাংবিধানিক হবে না, সেই প্রশ্নে রুল জারির আবেদন করা হয় সেখানে। এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেছে।
রিট আবেদনকারী আইনজীবীরা হলেন মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, মো. আসাদ উদ্দিন, মুজাহিদুল ইসলাম, জহিরুর ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, শাইখ মাহাদী, আবদুল্লাহ সাদিক, মিজানুল হক, আমিনুল ইসলাম শাকিল এবং যায়েদ বিন আমজাদ।
আইন মন্ত্রলায়ের লেজিসলেটিভ ও পার্লামেন্টারি অ্যাফেয়ার্স বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব এবং সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারকে বিবাদী করা হয়েছে এ রিট আবেদনে।
সেখানে বলা হয়েছে, সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করবেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত ওই দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগের সরাসরি হস্তক্ষেপ দেখা যায়, যা বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে খর্ব করে।
রিট আবেদনে আরো বলা হয়, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংবিধানের মৌলিক কাঠামো। ১১৬ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে এই মৌলিক কাঠামো ‘বিনষ্ট করা’ হয়েছে। একই সঙ্গে বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির বাস্তবায়ন কার্যত আইন মন্ত্রণালয়ের হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে।
সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী ইতোমধ্যে বিলুপ্ত হয়েছে। পঞ্চম সংশোধনী অসাংবিধানিক ঘোষিত হয়েছে। পঞ্চদশ সংশোধনীতে ১১৬ এর বিধান বহাল রাখা হয়েছে, যা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও আইনের শাসনের পরিপন্থি।
পৃথক সচিবালয় না থাকায় বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। অধস্তন আদালতের ওপর আইন মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণের কারণে বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা স্বাধীনভাবে বিচারকার্য পরিচালনা করতে পারছেন না।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স