ঢাকা , বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫ , ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
একটি দল সম্পর্কে লিখছেন না, সাংবাদিকদের মির্জা আব্বাস আবারও শাহরুখ-মাধুরী জুটিকে দেখতে চায় দর্শক! সমালোচনার জবাব দিলেন প্যারিস জ্যাকসন মারা গেলেন ব্রিটিশ তারকা সাইমন ফিশার ইন্ডাস্ট্রিকে থেকে তারা আমাকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিল : গোবিন্দ ইফতারে যোগ দিয়ে তোপের মুখে বিজয় এবার ভারতীয় সিনেমায় দেখা যাবে হানিয়া আমিরকে ভারতের ফিল্মফেয়ারে মনোনীত হলেন বাংলাদেশি তিন তারকা ওমরাহ হজ পালন করতে মক্কায় বর্ষা উত্তোলন করা হলো তানজিন তিশার সহকারীর লাশ শ্রীপুরে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ, যুবক আটক অংশগ্রহণমূলক ভোটের পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়তা করতে চায় যুক্তরাজ্য রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত চেয়েছে ঐকমত্য কমিশন আসামিদের পক্ষে দাঁড়াবেন না আইনজীবীরা মধ্যরাতে আদালতে চার আসামি রিমান্ড মঞ্জুর পাচারকৃত টাকা ফেরাতে আগামী সপ্তাহে নতুন আইন -প্রেস সচিব সাবেক ৬৪ সচিবের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে যাচাই করবে সরকার চোখের পাতা নেড়েছে সেই শিশুটি নিরাপত্তায় কঠোর হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার করারোপের আগে বাজার প্রভাব বিশ্লেষণ চান ব্যবসায়ীরা

দুই সপ্তাহেরও বেশি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন কুড়িগ্রামের ৩ গ্রাম

  • আপলোড সময় : ২২-১০-২০২৪ ১২:১০:৫৫ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২২-১০-২০২৪ ১২:১০:৫৫ পূর্বাহ্ন
দুই সপ্তাহেরও বেশি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন কুড়িগ্রামের ৩ গ্রাম
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে জীবনযাপন করছেন তিন গ্রামের প্রায় সাড়ে তিনশ গ্রাহক। ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনের কবলে পড়ে উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের চর শাখাহাতী, গয়নার পটল ও শহিদুল মিস্ত্রির গ্রামের শত শত গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকলেও চালু করার কোনো উদ্যোগ নেয়নি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস)। ফলে বিড়ম্বনায় পড়েছেন তিন গ্রামের শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ব্রহ্মপুত্রের তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে চিলমারী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে সরকার। চরের গ্রামগুলোতে বৈদ্যুতিক খুঁটির মাধ্যমে গ্রাহকদের বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এতে কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। সম্প্রতি ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনের মুখে সরবরাহ লাইনের খুঁটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। কিছু খুঁটি নদীতে পড়ে যায়। ভাঙনে সরবরাহ লাইন নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কায় স্থানীয়রা বিদ্যুৎ বিভাগকে অবগত করলেও তারা আমলে নেয়নি। এ অবস্থায় গত ৪ অক্টোবর বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় পবিস। সরকারি সম্পদ নদীতে ভেসে যেতে পারে এমন আশঙ্কায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পবিস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্থানীয়রা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা কয়েকটি খুঁটি স্থানান্তর করে। সরবরাহ লাইনও স্বাভাবিক করে। তবে তখন থেকে আর বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করেনি পবিস। গত ১৭ দিন ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছন্ন হয়ে আছেন ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের প্রায় সাড়ে তিনশ গ্রাহক। শাখাহাতী গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম ও মাইদুল জানান, ভাঙনে বেশ কিছু বৈদ্যুতিক খুঁটি নদীতে চলে গেছে। গ্রামবাসী নিজ উদ্যোগে কিছু খুঁটি সরিয়ে নিয়ে সরবরাহ লাইন মেরামত করেছে। এখনও বিভিন্ন স্থানে খুঁটি পড়ে আছে। লাইন মেরামত কিংবা বিদ্যুৎ চালু করা নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের কোনো মাথাব্যথা নেই। মাইদুল বলেন, কত খুঁটি যে নদীতে চলে গেছে তার ঠিক নাই। চিলমারীর দায়িত্বে থাকা এজিএম ও ডিজিএমকে জানালে তারা বলেন সব নদীতে গেলেও আমাদের কিছু করার নাই। কিছু খুঁটি স্থানীয়রা সরিয়ে নতুন করে স্থাপন করেছে। কিন্তু তারা দেখতেও আসছে না, বিদ্যুৎ চালুও করছে না। আমরা অন্ধকারে আছি। বাচ্চাদের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। ভোগান্তিতে থাকা গ্রাহক গওছুল মুন্সি ও নুরু মিয়া বলেন, আগে সোলার ব্যবহার করতাম। তখনই ভালো আছিল। বিদ্যুৎ আসার পর সোলার বাদ দিছি। পইড়া থাইকা সব নষ্ট হইছে। অহন বিদ্যুৎ নাই। আমরা অন্ধকারে পইড়া গেছি। লাইন মেরামতে অংশ নেওয়া স্থানীয় ইলেক্ট্রিশিয়ান আপেল বলেন, চেয়ারম্যান বিদ্যুতের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে আমাদেরকে লাইন মেরামত করতে বলেন। আমরা করি। কিন্তু এরপর বিদ্যুতের লোকজন লাইন দেখতে আসে নাই, বিদ্যুৎ চালুও করে নাই। এখন বলতেছে লাইন নাকি অবৈধ। সাড়ে তিনশ বাড়িতে কারেন্ট নাই। আমি থানাহাট অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করছি। তারা বলে, আমি কেন লাইন ঠিক করছি? আমার নামে নাকি মামলা হবে। চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎ অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করতেছি। ডিজিএম, এজিএম সবাইকে বলছি, তারা খালি বলছে দেখি দেখি। ইঞ্জিনিয়ার ফোন ধরেন না। পবিস চিলমারী জোনাল অফিসে যোগাযোগ করে বিদ্যুৎ বিভাগের অবহেলা নিয়ে স্থানীয়দের অভিযোগের সত্যতা মেলে। গ্রাহকদের অন্ধকারে থাকা নিয়ে যেন তাদের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। চিলমারী জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) মো. আলামিন বলেন, তারা (স্থানীয়রা) নিজে নিজে লাইন নতুন করে নির্মাণ করেছে। তাহলে নতুন পাওয়ার প্ল্যান করে বিদ্যুৎ নিয়ে নিক! এটা তো আমাদের রুলস ও রেজুলেশনে পড়ে না। এখন কোনোভাবে লাইন দেওয়ার সুযোগ নাই। বিস্তারিত জানতে হলে আপনি অফিসে আসেন। ডিজিএমের সঙ্গে কথা বলেন। চিলমারী অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মোস্তফা কামালকে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি। কিছুক্ষণ পরে আবারও যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। কয়েক শত গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকলেও তা অবগত নন কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পবিস এর জেনারেল ম্যানেজার মো. মহিতুল ইসলাম। এই প্রতিবেদকের কাছে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন তিন গ্রামের নাম জেনে নিয়ে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিচ্ছি।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য