গাজীপুর জেলার কাশিমপুর থানা এলাকার গোবিন্দবাড়ী গ্রামের ৪৮টি পরিবারকে হামলা চালিয়ে মারধর করে তাদের পৈত্রিক বাড়ী থেকে উচ্ছেদ করেছে। বিগত ৯ বছর যাবত সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে ও একাধিকবার হামলা চালিয়ে মারধর করে রাস্তার পাশে ফেলে রাখে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে রাতভর হাতুরি ও রড দিয়ে পিটিয়ে নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে। এই ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানে ও ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের জরুরী হস্তক্ষেপের জোড় দাবি জানিয়েছেন। গতকাল সোমবার বেলা ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের দ্বিতীয় তলার মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। এ সময় ভুক্তভোগীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বানু বেগম, খুশি বেগম, মাজেদা বেগম, রাশেদা বেগম, নুরজাহান বেগম, রহিম মিয়া, রেহানা বেগমসহ অন্যান্য ভুক্তভোগীরা।
লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী মোহাম্মদ ঈসমাইল মিয়া জানান, গাজীপুর জেলার কাশিমপুর থানা এলাকার গোবিন্দবাড়ী গ্রামের মিজানুর, হাসনাইন, মোশাররফ হোসেন, হাফিজুর রহমান রাজু, হযরত, ওসমান, ছিদ্দিক, হাসনা বেগম, বিমলা খাতুন, আইরিন বেগম, মোছা. সাহেরা বেগম, মো. মজিবুর শেখ, মো. আব্দুল মান্নান শেখ, মো. হান্নান শেখ, মো. মিনহাজ উদ্দিন শেখ, আব্দুল হাকিম বাচ্চু মিয়া, ফারুক মিয়া, খলিল মিয়া, শাহনাজ, মীর আকবর, নাছিরসহ আরও অজ্ঞাত ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী তাদের পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলার চেষ্টা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিগত ২৭/০৬/২০২৪ ইং তারিখে বিবিধ মামলার শুনানিতে দুপুর ২টার দিকে গাজীপুরের টঙ্গী রাজস্ব সার্কেলের অফিস থেকে বের হলে বাইরে থাকা সন্ত্রাসীরা ভুক্তভোগীদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বলে আবার কোন মামলার শুনানিতে উপস্থিত হলে তাদের অপহরণ করে তুলে নিয়ে হত্যার পর লাশ গুম করে ফেলবে। এছাড়াও ওই সব সন্ত্রাসীরা বিগত ৯ বছর যাবত তাদের পৈত্রিক বাড়ী দখলে নিতে একাধিকবার অস্ত্রের মুখে হামলা চালিয়ে ভুক্তভোগীদের রক্তাক্ত জখম করে। তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগীরা একাধিকবার অভিযোগ দিলেও পুলিশ অদৃশ্য কারণে তাদের কোন সহযোগিতা করেনি। বরং সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করে ওই বাড়ীর এলাকায় আসতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে সন্ত্রাসীরা ভুয়া ওয়ারিশ পরিচয়ে ভুয়া জমির কাগজপত্র জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ৪৮টি গরিব পরিবারের ৫ খতিয়ানের ২৩০ শতাংশ বৈধ পৈত্রিক সম্পত্তি অবৈধভাবে আত্মসাত করে বিক্রি করে দিয়েছে। বর্তমানে অবশিষ্ট ১৫০ শাতাংশ পৈত্রিক জমিও আত্মসাত করার পাঁয়তারা করছে। ভুক্তভোগী ৪৮টি পরিবারকে বাঁচাতে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জরুরী হস্তক্ষেপের দাবি জানান তিনি।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
সন্ত্রাসীদের প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
- আপলোড সময় : ২২-১০-২০২৪ ১২:০৯:০৯ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২২-১০-২০২৪ ১২:০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ