ঢাকা , শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫ , ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে কি না, পুনর্বিবেচনা করবে বিএনপি শাহবাগ ও ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় অবরোধ ছাত্রদলের আন্দোলন স্থগিত করেছেন ইশরাক পদত্যাগ করলেন কুয়েটের উপাচার্য অটোপাস দেয়া হচ্ছে না শিক্ষার্থীদের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ ৫ সিদ্ধান্ত ঈদের আগেই আসছে নতুন নোট থাকছে না কোনো ব্যক্তির ছবি সাগরে রাষ্ট্রীয় তেল চুরি কুমিল্লা সীমান্তে ১৩ জনকে বিএসএফের পুশইন দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা মানবিক করিডরের নামে দেশকে যুদ্ধে নিয়ে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়- দুদু টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রকৃতির সঙ্গে সম্প্রীতি জরুরিÑ পরিবেশ উপদেষ্টা হবিগঞ্জে দুর্ঘটনায় ২ যুবক নিহত, মহাসড়ক অবরোধ ফ্যাসিস্টের দোসর কিবরিয়া হোসনে আরা বহাল তবিয়তে সারাদেশে একই দামে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট জুলাই থেকে কার্যকর ডেঙ্গুতে একদিনে ৪৬ জন হাসপাতালে ভর্তি, করোনায় সংক্রমিত ৬ জন ক্ষুদ্র ও মাঝারি পোলট্রি খামারিরা দিশেহারা আবারও পিএসএল থেকে ক্রিকেটার নিলো আইপিএল উইন্ডিজের বিপক্ষে ইংলিশ দল থেকে ছিটকে গেলেন আর্চার ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় ফিরেছেন ক্যাবরেরা

রামু-ঘুমধুম রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প বাদ

  • আপলোড সময় : ২০-১০-২০২৪ ১১:৫৪:২৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২০-১০-২০২৪ ১১:৫৪:২৮ অপরাহ্ন
রামু-ঘুমধুম রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প বাদ
চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত প্রথম ধাপে ১০০ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ সিঙ্গেল লাইন রেলপথ নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২য় ধাপে প্রকল্প সংশোধনের মাধ্যমে বাদ দেওয়া হচ্ছে ২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণকাজ। বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় রামু-ঘুনধুম অংশ বাদ দিয়ে প্রকল্পের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) দ্বিতীয়বার সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। এতে নির্মাণ ব্যয় ১১ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবটি অনুমোদন পেলে এ প্রকল্পের ব্যয় কমবে ৬ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা। এ ছাড়া প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা অনুমোদিত হলে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৫ সালের ৩০ জুন। জানা যায়, দ্বিতীয় ধাপে রামু স্টেশন থেকে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ঘুনধুম পর্যন্ত ২৮ দশমিক ৭২ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কক্সবাজারের উখিয়া ও বান্দরবানের ঘুনধুমে দুটি স্টেশন নির্মাণ করার কথা ছিল। ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে রুট-১ এ যুক্ত হওয়ার লক্ষ্যে এ প্রকল্প নেওয়া হয়। তবে এ উদ্দেশ্য অবাস্তব বলে মনে করছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, মিয়ানমারের বাংলাদেশ সীমান্তের অংশের পুরোটাই পাহাড়ে ঘেরা। এই পাহাড় ভেদ করে মিয়ানমারের মূল অংশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ অবাস্তব স্বপ্ন। প্রকল্পটি সংশোধনের কারণে ভূমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসন, মূল রেললাইন নির্মাণ, নতুন আরোপিত সিডি-ভ্যাট, পরামর্শক, প্রকল্প ব্যবস্থাপনা ইউনিট ও মূল্য সমন্বয় ব্যয় কমছে। প্রকল্পের বর্তমান ব্যয় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৩ হাজার ১১৫ কোটি টাকা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণ। বাকি ৪ হাজার ৯১৯ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকারের। ডিডিপির দ্বিতীয় সংশোধনীতে এডিবির ঋণ ৮ হাজার ৬৫১ কোটি ও বাংলাদেশ সরকারের অংশ ২ হাজার ৭১২ কোটি টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। জানা যায়, ২০১০ সালে তৎকালীন সরকারের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন দেওয়ার সময় দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার ও রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুনধুম পর্যন্ত ১২৯ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার ও রামু থেকে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ঘুনধুম পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণে প্রকল্প নিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। ২০১০ সালে অনুমোদন পায় প্রকল্পটি। রেলওয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, অদূরভবিষ্যতে রুটটি কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা কমে আসায় আপাতত কক্সবাজার রেল প্রকল্প থেকে রামু-ঘুনধুম অংশ বাদ দেয়া হচ্ছে। প্রকল্পটির ডিপিপি সংশোধনীতেও বিষয়টির উল্লেখ করা হয়েছে। বর্তমান ডিপিপি অনুযায়ী, প্রকল্প বাস্তবায়ন এলাকার আওতায় রয়েছে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, কক্সবাজারের চকরিয়া সদর, রামু, উখিয়া ও বান্দরবানের ঘুনধুম। দ্বিতীয়বার সংশোধনীর মাধ্যমে এখান থেকে কক্সবাজারের উখিয়া ও বান্দরবানের ঘুনধুম এলাকা বাদ দেয়া হয়েছে। রামু-ঘুনধুম অংশটি স্থগিত রাখা ছাড়াও প্রকল্পটির আরো ছয়টি অনুষঙ্গ সংশোধনের কারণে ব্যয় কমেছে বলে সংশোধনী প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে। অনুষঙ্গগুলো হলো ভূমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসন, মূল রেলপথ নির্মাণ, নতুন আরোপিত সিডি-ভ্যাট, পরামর্শক, প্রকল্প ব্যবস্থাপনা ইউনিট ও মূল্য সমন্বয়। এসব অনুষঙ্গের কোনোটিতে ব্যয় বেড়েছে, কোনোটিতে কমেছে। প্রকল্পটির বর্তমান ব্যয় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৩ হাজার ১১৫ কোটি টাকা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণ। বাকি ৪ হাজার ৯১৯ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকারের। ডিডিপির দ্বিতীয় সংশোধনীতে এডিবির ঋণ ৮ হাজার ৬৫১ কোটি ও বাংলাদেশ সরকারের অংশ ২ হাজার ৭১২ কোটি টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। দোহাজারী-কক্সবাজার রেলালাইন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. সুবক্তগীন জানান, ঘুনধুম অংশ বাদ দেওয়ায় নির্মাণ ব্যয় কমছে। ফিডিক কন্ট্রাক্টের সব নিয়ম মেনে ডিপিপি সংশোধনের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স