ঢাকা , শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫ , ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
চীন-বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা উন্নয়ন প্রদর্শনীর উদ্বোধন ফ্যাসিবাদী শক্তি দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা করছে- শিল্প উপদেষ্টা খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট নীতিমালা নেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারে, ঝুঁকি বাড়ছে প্রতি বছরই সরকারি খাতে ঋণের পরিমাণ বাড়ছে আয়নাঘর : জীবিতদের প্রতিদিনের জন্য ১ লাখ, নিহতদের ১০ কোটি টাকা দিতে লিগ্যাল নোটিশ ২৬ বাংলাদেশিকে মালয়েশিয়ায় প্রবেশে বাধা ডেঙ্গুতে ৩ মৃত্যু হাসপাতালে ভর্তি ৪০৮ ছাত্র-জনতার আকাক্সক্ষার পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি -শিবির সরকারের ১২ মাসে ১২ সাফল্যের কথা জানালেন প্রেসসচিব অন্তর্বর্তী সরকার মানুষের প্রত্যাশা পূরণে হতাশ করেছে: আসক উত্তর বা দক্ষিণপন্থি নয়, বিএনপি মধ্যপন্থি দল-সালাহউদ্দিন ঢাকায় ফ্লাইট রেস্ট্রিকশন জোনে ৫২৫ উঁচু ভবন রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম পুনর্বিবেচনার রায় পিছিয়েছে কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো নিমজ্জিত ট্রলারসহ নিখোঁজ জেলের লাশ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কর্নেল আজাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিন ইউনিয়ন যাচ্ছে অন্য আসনে, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ টিকিট সিন্ডিকেটে জড়িত এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল দাবি পাবিপ্রবি ছাত্রলীগের ২৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা মোহাম্মদপুরে সেনা অভিযানে ককটেল ও দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৪

শেষ হয়েছে দুর্গোৎসব চোখের জলে প্রতিমা বিসর্জন

  • আপলোড সময় : ১৩-১০-২০২৪ ১১:৩৭:৪৭ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৩-১০-২০২৪ ১১:৫১:৪২ অপরাহ্ন
শেষ হয়েছে দুর্গোৎসব চোখের জলে প্রতিমা বিসর্জন দেবী দুর্গার বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রোববার শেষ হয়েছে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। বিসর্জন দেখতে চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে মানুষের ঢল নামে। ঢোল ও বাঁশি বাজিয়ে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন দেয় সনাতন ধর্মাবলম্বী ভক্তরা
চোখের জলে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে গতকাল রোববার শেষ হয়েছে শারদীয় দুর্গাপূজা। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার মণ্ডপে মণ্ডপে সকাল থেকেই বাজতে থাকে বিষাদের ধ্বনি। গতকাল রোববার বিকেল ৩টা থেকে রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদীর বিনাস্মৃতি স্নানঘাটে শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জন। প্রতিমা বিসর্জন ঘিরে নেওয়া হয় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনী, নৌ-পুলিশ ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ক্রাইম সিন টিম ও সোয়াট দল সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিতে দেখা গেছে।
গতকাল রোববার দুপুর ২টা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন পূজামণ্ডপ থেকে শঙ্খ আর উলুধ্বনি, খোল-করতাল-ঢাকঢোলের সনাতনী বাজনার সঙ্গে দেবী বন্দনার গানের মধ্য দিয়ে প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রা সহকারে বুড়িগঙ্গা তীরের বিনাস্মৃতি স্নানঘাটে আসেন পুণ্যার্থীরা। ঢাকার বিভিন্ন পূজা উদযাপন পরিষদ হাজারো মানুষের শোভাযাত্রা নিয়ে বুড়িগঙ্গা তীরে আসে।
প্রসঙ্গত সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন দেয়ার সময় বেঁধে দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বছর ঢাকার ১১টি স্থানে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়েছে। স্থানগুলো হলো-লালবাগের ওয়াইজ ঘাট, লালকুঠি ঘাট, ওয়ারীর পোস্তগোলা শ্মশান ঘাট, আলমগঞ্জ ঘাট, শীতলক্ষ্যা নদীর ঘাট ও বালু নদের ঘাট, উত্তরার আশুলিয়ার বিআইডব্লিউটিএ ঘাট, রায়েরবাজার, মিরপুর আমিনবাজার ব্রিজের উত্তর পাশ, মতিঝিলের শ্রীশ্রী বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দিরের পাশের পুকুর এবং মতিঝিলের মান্ডা আমিন মোহাম্মদ লেক।
প্রতিমা বিসর্জন শোভাযাত্রার রুট ছিলো ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির থেকে বের হয়ে পলাশী মোড়-জগন্নাথ হল-কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার-দোয়েল চত্বর-হাইকোর্ট বটতলা-সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল-পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স-নগর ভবন-গোলাপশাহ মাজার-বঙ্গবন্ধু স্কয়ার-গুলিস্তান-নবাবপুর লেভেল ক্রসিং-নবাবপুর রোড-মানসী হল ক্রসিং-রথখোলার মোড়-রায়সাহেব বাজার মোড়-শাঁখারিবাজার-জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়-সদরঘাট বাটা ক্রসিং-পাটুয়াটুলী মোড়-সদরঘাট টার্মিনাল মোড় হয়ে ওয়াইজঘাটে গিয়ে শেষ হয়।
অপরদিকে হেমন্তের সন্ধিক্ষণে শরতের শেষান্তে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়িতে ধর্মীয় সম্প্রীতির এক অনন্য মেলবন্ধন রচিত হয়। গতকাল রোববার পড়ন্ত বিকেলে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে বিশাল বিজয়া মঞ্চে বক্তারা বলেছেন, শারদীয় দুর্গোৎসব বাঙালির সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব হলেও এখন সেটি সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। ‘ধর্ম যার যার, উৎসব যেন সবার’-এই ধারণায় বাংলাদেশের সব নাগরিক ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে এর আমেজ, আনন্দ উপভোগ করে আসছে যুগ-যুগান্ত ধরে। বক্তারা আরও বলেন, ‘ধর্মীয় সৌহার্দ্য, সম্প্রীতির অন্যতম পীঠভূমি কক্সবাজার। সম্প্রীতি সর্বদাই শান্তি ডেকে আনে। আসুন আমরা সবাই মিলে একটি উন্নত, বাসযোগ্য, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ি।’
জানা যায়, দুর্গাপূজার শেষ দিনে বিজয়া দশমীতে বিষাদ মনে হাজারো পূজার্থী, ভক্ত সাগরে প্রায় ২৫০টি প্রতিমা ভাসিয়ে দেন। বেলা আড়াইটা থেকে ট্রাকবোঝাই করে আনা হয় প্রতিমা। বিকেল ৪টার আগে কক্সবাজার পৌরসভা, সদর উপজেলা, ঈদগাঁও উপজেলা, ঝিলংজা, উখিয়া, টেকনাক থেকে সমুদ্র সৈকতে আনা হয় প্রায় ২৫০টি প্রতিমা। প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে লাবণী পয়েন্টে নির্মিত হয় সুবিশাল বিজয়া মঞ্চ। বেলা ৩টা থেকে মঞ্চে চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিজয় দশমীর আলোচনা সভা। বিকেল ৫টায় মন্ত্রপাঠের মধ্য দিয়ে প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়। সাড়ে ৫টার মধ্যে বিষাদ মনে একে একে ভাসিয়ে দেয়া হয় প্রায় আড়াই শতাধিক প্রতিমা। এ সময় প্রতিমা বিসর্জন উপভোগ করতে সৈকতে উপস্থিত হয় লাখো পর্যটক ও পূজার্থী। এর আগে কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি উদয় শংকর পাল মিঠুর সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দীপক শর্মা দিপুর সঞ্চালনায় প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানে অতিথির শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবীবিষয়ক সম্পাদক, সাবেক এমপি লুৎফুর রহমান কাজল, জেলা প্রশাসক মো. সালাউদ্দিন, পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ, র?্যাবের-১৫ সিও এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন, কক্সবাজার পৌরসভার প্রশাসক রুবাইয়া আফরোজা, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শামীম আরা সপ্না, কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র সরওয়ার কামাল, শিক্ষাবিদ প্রফেসর সোমেশ্বর চক্রবর্তী, আইনজীবী নেতা অ্যাডভোকেট গোলাম ফারুক খান কায়সার। বক্তব্য রাখেন, পূজা উদযাপন পরিষদ নেতা রতন দাশ, রাজবিহারি দাশ, দোলন ধর প্রমুখ।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স