ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫ , ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সরকারি চাকরি আইন বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভে কর্মচারীরা ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড ৬ জনের যাবজ্জীবন বহাল কালো টাকা সাদা করার বিধান সংস্কারের সম্পূর্ণ বিপরীত-টিআইবি দূরত্ব ঘুচিয়ে চমৎকার জুলাই সনদ তৈরির প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার সারাদেশে একযোগে ২৫২ বিচারককে বদলি টেকসই অর্থনীতির বাজেট এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বঞ্চনার গল্প যেন অরণ্যেরোদন চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলে ৩ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিলেন কর্মচারীরা রাষ্ট্র সংস্কারে উপেক্ষিত নারী তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু-আইন উপদেষ্টা শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি প্রথমবারের মতো বিটিভির স্টুডিও থেকে হচ্ছে বাজেট ঘোষণা ঘাটতি কমানোর লক্ষ্য নিয়ে নতুন বাজেট আজ দুধ শুধু পণ্য নয় এটি সংস্কৃতির অংশÑ মৎস্য উপদেষ্টা রাঙামাটিতে টানা বৃষ্টি পাহাড় ধসের ঝুঁকি সিলেটে টিলা ধসে একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু বিজিএমইএ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে ‘ফোরাম’ প্যানেল বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে লাশ নিয়ে গেছে বিএসএফ জাপা চেয়ারম্যানসহ ২৮০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার মামলা

সরকারের সিদ্ধান্তের অভাবে চালু হচ্ছে না ফার্নেস অয়েলের ৬ বিদ্যুৎ কেন্দ্র

  • আপলোড সময় : ১৩-১০-২০২৪ ১২:০৩:০২ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৩-১০-২০২৪ ১২:০৩:০২ পূর্বাহ্ন
সরকারের সিদ্ধান্তের অভাবে চালু হচ্ছে না ফার্নেস অয়েলের ৬ বিদ্যুৎ কেন্দ্র
সরকারের সিদ্ধান্তের অভাব চালু করা হচ্ছে না ফার্নেস অয়েলের ৬ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এই কেন্দ্রগুলোর কোনো ধরনের ক্যাপাসিটি চার্জ নেই। ফলে কেন্দ্রগুলো সরকারের ওপর আর্থিক চাপও তৈরি করবে না। তাছাড়া ডিজেল ও এলএনজিভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর চেয়ে ফার্নেস অয়েলভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর উৎপাদিত বিদ্যুৎ ৮ থেকে ১৫ শতাংশ কম দামের। কয়লা বা এলএনজিভিত্তিক কেন্দ্রগুলো চালু করতে বেশি সময় প্রয়োজন হয় এবং ধীরে ধীরে লোড সমন্বয় করা হয়। কিন্তু ফার্নেস অয়েলভিত্তিক কেন্দ্রগুলো তাৎক্ষণিকভাবে চালু এবং বন্ধ করা যায়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে এই জাতীয় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ভালো ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, তীব্র লোডশেডিংয়ে সারা দেশে জনজীবন অতিষ্ঠ হলেও বেসরকারি খাতের ৬শ’ মেগাওয়াট ক্ষমতার ফার্নেস অয়েলভিত্তিক ছয়টি কেন্দ্র বসিয়ে রাখা হয়েছে। অথচ ‘নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট (এনইএনপি)’ ভিত্তিতে কেন্দ্রগুলো চালানো গেলে বর্তমানে লোডশেডিং এক-তৃতীয়াংশ কমে আসতো। বর্তমানে দেশে দুই থেকে আড়াই হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং হচ্ছে। আর ওই ছয়টি কেন্দ্র চালু হলে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি হতো। ৬টি ফার্নেস অয়েল প্লান্ট যদি এনইএনপির অধীনে বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রাখার অনুমোদন পায়, তাহলে সরকারের কোনো তাৎক্ষণিক বিনিয়োগ ছাড়াই অন্তত এক-তৃতীয়াংশ লোডশেডিং কমানো সম্ভব হবে। পিক-লোড পাওয়ার প্øান্টগুলোর (সর্বোচ্চ চাহিদার সময় চালানো বিদ্যুৎকেন্দ্র) মধ্যে এই কেন্দ্রগুলো সাশ্রয়ী। সূত্র জানায়, জ¦ালানির অভাবে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ক্রমবর্ধমান চাহিদা মোকাবিলা করতে হিমশিম খাচ্ছে। সারা দেশে তীব্র লোডশেডিং হচ্ছে আর গ্রামীণ এলাকাগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মূলত প্রাথমিক জ¦ালানি সংকট এবং রাষ্ট্র পরিচালিত সংস্থাগুলো দিয়ে জ¦ালানি ক্রয়ের বিপরীতে অতিরিক্ত অর্থ প্রদানের কারণে দেশে বিদ্যুতের লোডশেডিং আবার ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। তাছাড়া বিশ্ববাজারে এলএনজির দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে বেশ কয়েকবার স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি কমাতে বাধ্য হয়েছে পেট্রোবাংলা। পাশাপাশি কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর ক্যাপাসিটি চার্জ হিসাব করে বিদ্যুতের দাম অনেক বেশি পড়ে। আর বিদ্যুৎ খাতে প্রতিবেশী দেশ ভারতের ওপরও অনেকখানি নির্ভরতা বেড়েছে। ২০২৩ সালে কয়লা আমদানিতে বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে না পারায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যায়। ওই সময় ফার্নেস অয়েলভিত্তিক কেন্দ্রগুলো চালিয়ে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা হয়। এই প্রেক্ষাপটে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে ফার্নেস অয়েলভিত্তিক কেন্দ্রগুলো দ্রুত চালাতে সরকার অনুমোদন দিলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। সূত্র আরো জানায়, বিদ্যুতের ব্যবহার বৃদ্ধি সত্ত্বেও সামগ্রিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রাকৃতিক গ্যাসের অবদান ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রায় ৫২ শতাংশে নেমে এসেছে, যা ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৭২ শতাংশ ছিল। ফার্নেস অয়েলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অবদান ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২৭ শতাংশ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২১ শতাংশে নেমে এসেছে। আর ব্যয়বহুল ডিজেল-চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবহার কয়েক বছর ধরে বেড়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশের সামগ্রিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ২ দশমিক ৮ শতাংশ ছিল। আর ২০২০-২১ অর্থবছরে ছিল মাত্র শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। এদিকে জ¦ালানি বিশেষজ্ঞদের মতে, বিগত সময়ে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ¦ালানি ব্যবহারে বৈচিত্র্য এসেছে। ফলে অতিরিক্ত সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সব ভাড়া এবং দ্রুত ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্ষেত্রে বিশেষ বিধান প্রত্যাহার করে এনইএনপি ব্যবস্থাটি বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। অন্যদিকে বাংলাদেশ ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিপ্পা) সভাপতি ফয়সাল খানও ফার্নেস অয়েলভিত্তিক কেন্দ্রগুলো থেকে এনইএনপি প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ কেনার পক্ষে মত দিয়ে জানান, এ ক্ষেত্রে পিডিবি শুধু উৎপাদিত বিদ্যুতের জন্য অর্থ প্রদান করবে। যেহেতু প্রাথমিক বিদ্যুৎ-ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) সময় প্রকল্পের মূলধন খরচ এবং ঋণ পরিশোধ করা হয়; তাই এখানে ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স